ধ্রবতারা
লিখেছেনঃ গল্পকন্যা (ছদ্ম নাম)
পনেরো দিন পর।
তুর হেলান দিয়ে বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে বসে আছে। মন খা'রা'প যেন ভি'ষণ ভাবে তুরকে ভর করেছে।আজ পনেরোটা দিন হলো ধ্রুবকে সামনা-সামনি দেখতে পারছে না।বুকের ভেতরটা হা'হা'কার করছে একটু দেখার জন্য।বিয়ের পর থেকে কেন যেন,না চাইতেই লোকটাকে এতো আপন মনে হয়।একটু দেখার জন্য মনটা ছ'টফ'টায়।
এক সপ্তাহ আগে একবার এসেছিল।একদিন থেকে চলে গেছে।ল'জ্জা'য় তুর সামনে যায়নি।মানে একেবারে ঘর থেকেই বের হয়নি।শুধু একবার করিডোর থেকে নিচে তাকিয়ে একপলক দেখেছে।
চৌদ্দ দিন ধ্রুবর বাসায় ছিল।কতো খেয়াল রেখেছে।
এক দিনের ঘটনা,
বাসায় ফিরার পথে হাতে করে হেয়ার অ'য়েল নিয়ে আসে।রাতে খাওয়ার পর রুমে এসে বিছানায় বসে।তুর ধ্রুব কে বিছানায় বসতে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।
"কি হলো? স'ঙ দেখছিস নাকি? "
"আপনি...! এখানে কি চান?"
"কাজ আছে নিচে বোস বলছি।"
জো'র করে টেনে নিচে বসায়।আর খোঁপা থেকে চুলের কা'টা খুলে চুল গুলো আলগা করে দেয় ।তুর তো যারপর নাই অবাক।
"এই লোক কি এখন এখানে বসিয়ে রেখে চুল টা'নবে নাকি!"
দু'হাতে তেল নিয়ে তুরের মাথায় সিথি করে করে একটু একটু করে তেল দিয়ে দেয়।সুন্দর করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় তেল ম্যা'সেজ করে।বোঝা যাচ্ছে পারুক আর না পারুক খুব চেষ্টা করছে।তুরের মনে এক উ'ষ্ণ ভালো লাগার অ'নুভূতি দোলা দিচ্ছে।সেই অ'নুভূতিটা যেন শ'ক্ত খো'ল'সে আ'বৃ'ত মনটাকে গ'লিয়ে দিচ্ছে।
সেদিন আরো একবার বুঝতে পারে লোকটা কতটা কেয়ারিং ওর প্রতি।
একা একা এসব আকাশ পাতাল ভাবছে।সব স্মৃ'তি আওরাচ্ছে।আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেছে,
শোনো ছেলে....
তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
তাহলে ওই কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে, কিছু রাঙা ফুল নিয়ে এসো।
শোনো ছেলে.......
যদি ভালবাসো?
ওই বকুল তলা থেকে,কিছু বকুল নিয়ে এসো।
শোনো ছেলে.......
সত্যই যদি মনে ধরে?
ওই কাঠগোলাপের গাছ থেকে,লুকিয়ে কিছু কাঠগোলাপ নিয়ে এসো।
শোনো ছেলে.......
অবেলায় যদি মনে পড়ে?
ওই তিস্তা নদীর পার আছে না,সেখান থেকে কিছু সাদা কাশফুলোও নিয়ে এসো
শোনো ছেলে......
যদি আমার ভিষণ মায়ায় পড়?
ওই শিউলি তলার শিউলি গুলোও,কুড়িয়ে নিয়ে এসো।
#গল্পকন্যা
___________
ব্যাক টু বৃষ্টির রাত।
সে রাতে তুর ধ্রুবর পাগল করা আ'দররে ডো'জ হজম করতে না পেরে জ্ঞা'ন হা'রা'য়।আর ধ্রুবর উপরই ঢোলে পড়ে।তো ভ'য় পেয়ে যায়।পড়েছে ম'হা'বি'প'দে।এতো দু'র্ব'ল মেয়ে,একে নিয়ে কি করবে।একতো কা'রে'ন্ট নেই তার উপর ভে'জা শ'রী'র।নিজেকে গাল ম'ন্দ করতে করতে গলা শুকিয়ে ফেলেছে।কোনো মতে বি'ছানায় শু'য়ায়।তুরের ফোনের লাইট অন করে বাথরুম থেকে মগ দিয়ে পানি নিয়ে আসে।তুরের চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়।তুর চোখ মেলে ধ্রুবকে দেখে দু'হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে।ধ্রুব তুরের অ'ব'স্থা বুঝতে পেরে উঠে দাঁড়ায়।রুম থেকে বের হয়ে যায়।
পরের দিন সকালে দুজনেই দশটা পর্যন্ত ঘুমায়।ধ্রুব ঘুম ভা'ঙতেই কিচেনে গিয়ে স্যান্ডউইচ আর ডিম পোস করে।নাস্তা রেডি করে তুরের জন্য অপেক্ষা করছে আর ফোন টিপছে। কিছুক্ষণ পর ই দরজায় কেউ আসে।ধ্রুব দরজা খুলে দেখে বাবা চাচারা তিন জন এক সাথে ।
ধ্রুব ভী'ষণ ভী'ষণ অবাক।ওনারা ভেতরে ঢুকে সোফায় বসেন।ধ্রুবও ওনাদের পাশে বসে।সবাই মিলে নানা ধরনের কথা বলতে শুরু করে। জহির সাহেব কোন কথা না বলে ফ্ল্যাট টা ঘুরে ঘুরে দেখছে।কি'চেন দেখছে।ব্যালকনি দেখছে।রুম গুলো দেখছে।
এক রুমের বিছানায় এ'লো'মে'লো চা'দর দেখে বুঝতে পারে এখানে গত রাতে কেউ ছিলো।ঘুরে ঘুরে সামনে আর একটা রুমে দেখে দরজা চাপানো, ভিতরে কেউ আছে।বুঝতে পারে দু'জনে এখনো আ'লা'দা আছে।তারপর ডাইনিং টেবিলের খাবার গুলো দেখে।
"এই সব খাওয়াচ্ছো আমার মেয়েকে?এমনি রোগা পা'তলা শ'রী'র, তার উপর তোমার এইসব খাবার খেয়ে এতো দিন তো মনে হয় পাট কা'ঠি হয়ে গেছে।"
ধ্রুব পরেছে বি'পা'কে।
জহির সাহেব বসে বলেন,"মূল কথায় আসা যাক।আমরা তুর কে নিতে এসেছি।"
ধ্রুবর ভিতরটা মনে হচ্ছে কেউ মু'চ'ড়ে ধ'রেছে।"জি... না।কোনো আ'প'ত্তি নেই। "
কবির সাহেব বলেন,"আসলে আমরা চাইছি তোমাদের বিয়েটা আ'নু'ষ্ঠা'নিক ভাবে দিতে সামনের মাসেই।তাই নিয়ে যেতে চাই তুমি কি বলো?"
জহির সাহেব "আরে ও কি বলবে তোর মেয়ে আর আমার বাড়ির বউ নিতে আসছি,কারো কথা শোনার সময় আছে নাকি?"
তুর ঘুম থেকে উঠে লিভিং রুমের আ'ও'য়াজ পেয়ে উঁকি দেয়।বাপ চাচাদের এক সাথে দেখে খুশিতে আ'ত্ম'হা'রা হয়ে সব ভুলে ছুটে আসে ছুটে আসে...
ওনারা জানায় নিতে এসেছে।তুর যেতে না'রা'জ। তিন জন মিলে তুরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে সাথে করে নিয়ে চলে।
এ কদিনে একটু একটু করে এ বাসার সব বুঝে নিচ্ছিল।কতো ক'ষ্ট আর কতো ম'ধুর স্মৃ'তি আছে এ বাসাটায়।এ বাসাটা কদিনেই খুব আপন হয়ে গেছে।আর আপন হয়ে গেছে বাসার মানুষটা।তাকে ছেড়ে যেতে খুব ক'ষ্ট হচ্ছে।বের হওয়ার আগে,আগের রাতের কথা মনে হতে আর সামনে যেয়ে বি'দা'য়টা ও নেয়া হয়নি।বড়দের সাথে বের হয়ে এসেছে।
এদিকে ও চলে এসেছে ঠিকি,কিন্তু খা'লি বাসাটায় রেখে গেছে 'র'ক্তা'ক্ত' হৃ'দ'য়ের এক প্রেমিক পু'রু'ষকে।
যার ঘুম খাওয়া শান্তি সব সাথে করে নিয়ে এসেছে।
সপ্তাহ খানেক পরে ধ্রুব একবার বাড়ি আসে।আর যে না দেখে থাকতে পারছে না।কিন্তু কোনো ভাবে তুরের দেখা পায় না।মনে মনে ভ'য় হতে থাকে সে রাতের ঘ'টনার জন্য ভুল বুঝছে না তো।
বউটাকে একপলক দেখার জন্য যে মনটা আ'কু'পা'কু করছে।এভাবেই পুরো একটা দিন আর রাত কাটিয়ে আসে কিন্তু প্রেয়সীর দেখা পায় না।এদিকে বাড়ি থেকে জানায় আর এ'কু'শ দিন পরে বিয়ে।
সব যো'গা'ড়য'ন্ত করছে।এখন যেন ছুটি না নেয়।একেবারে বিয়ের জন্য সব তুলে রাখে।ভেবে চিন্তে ধ্রুব ও তাই করে মনকে সং'যত করে অ'পে'ক্ষা করে।
এদিকে তুরকে বাড়ি নিয়ে আসার পরে ফজিলাতুন্নেছা,রাণী বেগম আর কোনো খোঁ'চা মা'রা টাইপ কথা,ক'ষ্ট দা'য়ক কথা বলতে পারেনি।তবে এবার বাড়ি আসার পর তুরের প্রতি বাকিদের আদর যেন চ'ক্র বৃ'দ্ধি হা'রে বেড়ে গেছে।
রায়হান বাড়িতে খুশির আমেজ।কিন্তু যাদের নিয়ে এতো আমোদ তাদের মনে শান্তি নেই।দু'জনেই এক বি'র'হে বি'র'হি'ত।
সময় কোনো বা'ধা মানে না।বা'ধা'বি'হী'ন স্রোতের মতো বইতে থাকে।দেখতে দেখতে আঠারো দিন পার হয়ে যায়।বিয়ের শপিং দাওয়াত এসব করতে করতে সবাই ক্লান্ত।এতো সবের মধ্যে একটি বারের জন্য দুই মানব-মানবীর সাক্ষাৎ ঘটেনি।সব শান্তির মধ্যে ও যেন এক চা'পা ক'ষ্ট।
তুর কিছু দিন আগের সব ঝা'মে'লার কথা সবার আদরে প্রায় ভুলে গেছে।
বাড়িতে মেহমান আসতে শুরু করেছে।ধ্রুবর নানু কাজিনরা আসছে।জহির সাহেব অনেক রি'কো'য়েস্ট করেছেন।শাহানা বেগম ও খুব কান্না কাটি করে মাকে আসতে বলেন।সব ভুলে নাতির বিয়েতে সামিল হতে।ধ্রুবর জন্য দোয়া করতে।অ'তঃ'প'র আজকে আসছে।
ফে'স'বুক স্ক্র'ল করতে করতে কখন যে চোখটা লেগে যায়।ফোনের রিংটোনে লাফিয়ে উঠে।চেয়ে দেখে ধ্রুবর নাম।বুকের ভিতর যেন এক শী'তল অনুভূতি হয়।রিসিভ করে কানে ধরে।ল'জ্জা'য় ফোন কানে নিয়ে চোখ ব'ন্ধ করে চুপ করে আছে।নি'শ্বা'সটা ও আ'ট'কে রেখেছে।নি'শ্বা'স নিলে ও যেন ধ্রুব টের পেয়ে যাবে।
"কেমন আছিস? "
-------
"কথা বলবি না!"
-------
"সে রাতের জন্য আমাকে ভু'ল বুঝিস না প্লিজ।"
--------
"জানি না কি হয়েছিলো আমার ,আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি।"
--------
"কিছু বলবি না?"
--------
"এতো পা'ষা'ণ্ড কিভাবে হলি রে?"
-------
"তুর...।"
"হুম... "
"আমার শা'স্তি কি এখনো শেষ হয়নি?"
------
"আর যে পারছি না..."
-------
"কথা বলবি না তো।জানি না আর কতো দিন 'শা'স্তি ভো'গ করে যেতে হবে।ফাহিম তোকে একটা ব্যাগ দিবে।ওটাতে একটা জি'নিস আছে তোর জন্য।ভালো থাকিস..."
ফোনটা কে'টে গেলো।তুর ভালো লাগা খা'রা'প লাগা মিশ্রিত এক অনুভূতি নিয়ে বসে আছে।
নিচ থেকে শ'ব্দ ভেসে আসছে।মেহমান এসেছে বো'ধ হয়।
রুম থেকে বের হয়।করিডোর থেকে উঁকি দিয়ে দেখে ধ্রুবর নানু বাড়ির লোকজন আসছে।তুরের মাঝে হঠাতই যেন এক আ'তং'ক ভর করে।তবু নিচে যায়।ধ্রুবর নানুকে হাতে ধ'রে সালাম করে।
"এডা আবার কেমন ধরনের সালাম।সালাম না করলে ই তো পারতা।"
তুর ভ'রকে যায়।পাশে দাঁড়ানো তুরের মা বলেন,"পায়ে ধরে সালাম করতে নেই খালাম্মা..."
"হো বুঝছি তুমগো সব কিছুই অন্য ধা'রার"
রাইসা, রিয়া ,ঐশী সবার সাথে তুর কু'শ'লা'দি বি'নিময় করে।কিন্তু রাইসা কোনো জবাব দেয় না।
তুর ও যে'চে আর কিছু বলে না।
বিয়ে বাড়িতে প্রে'ম প্রে'ম অ'নু'ভূতিটা একটু বেশি ই থাকে। ফাহিম তো রিয়াকে পেয়ে চু'টিয়ে রিয়ার সাথে প্রে'ম করছে।
বিকেলের দিকে ফাহিম একটা ব্যাগ এনে তুরের হাতে ধ'রিয়ে দিয়ে চলে যায়।তুর ব্যাগ খুলে দেখবে কি আছে।তখনই নিচ থেকে ডাক পরে।
দ্রুত ব্যাগটা কাবার্ডে রেখে নিচে ছু'ট লাগায়।
তুরের মা তুরকে একটু একটু করে সব ধরনের রান্না শিখাচ্ছেন।সব কাজ শিখাচ্ছেন।শাহানা বেগম ছেলের পছন্দের সব কিছু শিখাচ্ছেন।দু'জনে যেন একদম পা'কা গৃ'হিণী গড়ে তুলবে প'ণ করেছে।
তুর এখনো শুক্রবার এলে দাদির ঘরে ছুটে যায় দাদির ন'খ 'কে'টে দেয়ার জন্য।
সব সময়ের মতো আজোও ছুটে যায়।
কিন্তু ঘরে ঢুকে তো অবাক।পুরো যেন গোল মি'টিং বসেছে।দাদি,ধ্রুবর নানি,রাইসা ,রিনা বেগম সবাই বসে কথা বলছে।তুরকে দেখে সকলের মুখ আ'ধা'র হয়ে গেছে।
তুরের নানি বলে উঠেন ,"কি চাও এনে ,এম্নে হা কইরা চাইয়া কি দেখো?"
"কিছু না ,দাদির ন'খ 'কা'টতে আসছিলাম।"
দাদি বলে উঠেন"এসব লোক দেখাইন্না। আমার নাতির জী'ব'ন'ডা ' ধ্বং'স কইরা।অহন আইছে মন ভুলাইতে।আমি সব বুঝি।"
রাইসা বলে, "আমি এটা বুঝতে পারছি না,আপনারা কিভাবে এমন একটা রা'স্তার মেয়ের সাথে ,ধ্রুবর বিয়ের বিষয় মেনে নিচ্ছেন। কার না কার পা'পে'র ফ'স'ল,এ বাড়িতে এতদিন উ'ৎ'পা'দ'ন করেছেন।এখন কোথাও একটা বিয়ে দিয়ে বি'দা'য় করবেন,তা না।এখন নিজের বাড়ির ছেলের ঘা'ড়ে চা'পিয়ে দিচ্ছেন।"
দাদি"কি করমু চেষ্টা তো করছি,এই মুখ পু'ড়ি হইতে দিল কই।"
তুরের কাছে এসে রাইসা বলে,"তোর মা ছিলেন এক জনের 'র'ক্ষি'তা।তার পা'পে'র ফ'স'ল তুই।পনেরো দিন ধ্রুবর বাসায় ওর 'র'ক্ষি'তা হয়ে থেকে আ'শ মে'টে'নি।নাকি আরও কোন পা'পে'র ফ'স'ল আনতে চাইছিস?শোন তোকে ধ্রুবর মতো কারো 'র'ক্ষি'তা হিসেবে মানায়।বউ হিসেবে না।এই তুই জানিস তোর বা'প কে বা ক'য় জন।তোর মা কে।ছি'হ'.. তোর জায়গায় আমি হলে ম'রে যেতাম এ মুখ কাউকে দেখাতাম না।এ বাড়ির কাজের লোক হওয়ার যো'গ্যতাও তুই রাখিস না।'জা'র'জ 'বে'জ'ন্মা' কী'ট।ছি'হ'...তোকে দেখলে ঘৃ'ণা হয়।"
বলে মাটিতে এক দলা থু'থু ছিটায়।
তুরের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।কিন্তু মুখ'শ্রী ক'ঠি'ন রূপ ধা'র'ণ করেছে।সত্যি এবার নিজের প্রতি ঘৃ'ণা জ'ন্মা'চ্ছে।রুম ছেড়ে বের হয়ে সোজা বাবার কাছে যায়।
কবির সাহেব মেয়ের চোখে পানি দেখে জিজ্ঞেস করেন ,"কি হয়েছে মামুণি?"
তুর কোনো উত্তর না দিয়ে টা'নতে টা'নতে লিভিং রুমের সকলের সামনে দিয়ে দাদির রুমে নিয়ে আসে।বাড়ির সকলে এ দৃ'শ্য দেখে।বাপ মেয়ের পিছু পিছু যায়।
"বাবা... আজকে তোমাকে বলতে হবে কে আমাকে জ'ন্ম দিয়েছে।কার পা'পে'র ফ'স'ল আমি।কেন আমাকে এখানে এনেছো।আর কতো স'হ্য করবো।আজকে তোমাকে বলতে হবে।না হয় এখনি এ বাড়ি থেকে চলে যাব।"
--------
"বাবা,চুপ করে থেকো না। বলো আমি আর স'হ্য করতে পারছি না।নিজের প্রতি ঘৃ'ণা হচ্ছে আমার।তুমি চুপ করে থেকো না। কিছু বলো?না হয় যে আমি এত অ'প'মা'নিত,লা'ঞ্ছি'ত হয়ে আর বাঁ'চতে পারবো না।ম'র'তে বা'ধ্য হব।"
রাইসা "এ না'ট'ক'টা না করলে কি হতো না।"
কবির সাহেব বিছানায় বসা সবার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে এরা আবার ওনার কলিজা কে ক'ষ্ট দিয়েছে।রাইসাকে বলেন,"তুমি চুপ থাকো।"
"আজকে তোকে এবং বাড়ির সবাইকে আমি সব কিছু বলবো।কোনো কিছু লুকোবো না।কাঁদিস না মা,আয়।সবাই লিভিং রুমে আসো।"
সবাই লিভিং রুমে উপস্থিত হয়।তুর পা'থরের মতো বসে আছে।চোখের পানি যেন বা'ধ মানছে না।
কবির সাহেব বলতে শুরু করেন........
চলবে.....