(অন্তিম পর্ব)
ধ্রবতারা
লিখেছেনঃ গল্পকন্যা (ছদ্ম নাম)
ধ্রুব হাত বাড়িয়েছে প্রেয়সীর পানে,ঢেকে রাখা হাত দুটো সরাতে যাবে,অমনি তুরের ফোন বেজে ওঠে।
ধ্রুবর মে'জা'জ তো সপ্তম আসমানে।তুর ও হাত সরিয়ে তাকায়।ধ্রুব ফোন হাতে নিয়ে দেখে তন্নি ফোন করেছে।রে'গে তুরের দিকে তাকায়।
"আমি কি করলাম।"
"শশুর বাড়ি গিয়েও এই রাত দুপুরে তোকে কল করে কেন?বা'সরের গল্প বলতে।"
রেগে তুরের আর ওর দুজনের ফোন বন্ধ করে রাখে।
"এমনি একজনের ল'জ্জা আমার জীবন তা'মা তা'মা করে দিচ্ছে।তার উপর ভাইবোন গুলো জুটছে,মাশাল্লাহ।জীবনে আমার কপালে মনে হয় বা'সর নেই।"
বলেই চলে যাওয়ার জন্য ওঠে দাঁড়ায়।তুর খ'প করে হাতে ধ'রে আ'ট'কে দেয়।
ধ্রুব তুরের চোখের দিকে তাকায়।বোঝার চেষ্টা করে তুরের মনের অনূভুতি।তুরের লা'জু'ক চোখের চা'হুনি আবারও ওকে মা'তা'ল করে তুলে।
কাল'বি'লম্ব না করে,প্রেয়সীকে কাছে টে'নে নেয়। এক'ত্রিত হয়ে যায় দুজনের ও'ষ্ঠ।তৃ'ষ্ণার্থ পথিকের নেয়,ম'ত্ত হয়ে যায় প্রেয়সীতে।কাঠগোলাপের সৌরভে আরো মাতো'য়া'রা হয়ে উঠে দুজনে।ভালোবাসার সাত রঙে রা'ঙিয়ে দিচ্ছে প্রেয়সীকে।অপর দিকে তুর বারংবার বি'লীন হয়ে যাচ্ছে প্রিয় মানুষটার আ'দুরে স্প'র্শে।এক স্বর্গীয় অনু'ভূতি কাঁ'পন তুলিয়ে দিচ্ছে র'ন্ধে র'ন্ধে।আজ হা'র মেনে যায় তুরের সকল ভ'য়,সকল ল'জ্জা।হা'রিয়ে যায় অজানা সুখের খোঁ'জে।
অনেক কা'ঠখো'ট্টা পেরিয়ে এসেছে ওদের এই শুভক্ষণ।
পুর্ণিমার চাঁদের উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত আকাশ।ওই সদূরে থাকা চকচকে ধ্রবতারাটি ও আজ হিং'সা করছে।হিং'সে করে আরো বেশি জ্ব'লে উঠছে।জ্ব'লজ্ব'ল করতে করতে ওদের এই মধু'ময় রাতের সা'ক্ষী হয়ে আছে।
___________
ধ্রুব এখনি বাড়ি ফিরতে চায় না। একা'ন্তে আরো কিছু সময় কা'টাতে চায়।ডুবে থাকতে চায় প্রেয়সীর স্নিগ্ধতায়।তুরের ঠে'লাঠে'লি আর বাড়ির ফোনের য'ন্ত্র'ণা'য় অ'তি'ষ্ট হয়ে ওঠে।মধু'চ'ন্দ্রিমা রিসোর্টে আরো দুদিন কা'টিয়ে তবেই বাড়ি ফিরে।
তাও আবার এক শ'র্তে,বিয়ের দুদিন পর থেকে ধ্রুব যতদিন চাইবে ততদিন ঘুরবে।বা'ধ্য মেয়ের মতো তুর রা'জি হয়।অতঃপর বাড়ি ফিরে।
বাড়িতে বিয়ের আয়োজন ভরপুর।সবাই খুব ব্য'স্ত সময় পার করছে।
মেহেন্দি,হলুদ,বিয়ে,বউভাত একে একে সু'শৃ'ঙ্খ'ল' ভাবে সব শেষ হয়।
তন্নি সেদিন খুব অভি'মা'ন করেছিলো।তাই বা'সর রাতে ও ঘুম থেকে ওঠে তুরকে কল করে, ব'কুনি দেয়ার জন্য।ওর সাথে ওর শশুর বাড়ি আসার কথা ছিলো,কিন্তু আসেনি। বিদা'য়টা অ'ন্তত দিয়ে যেতো।
অভি'মান করে ওদের মেহেদীর অনুষ্ঠানে আসেনি।তুর অনেক কান্নাকাটি করে আসার জন্য।জিসান জো'র করে তন্নিকে নিয়ে হাজির হয়।ধ্রুব তুর মিলে ওর অভি'মান ভা'ঙ্গা'য়।
ধ্রুবর কথা মতো সত্যি সে বিয়ের দুদিনের মাথায় হানি'মুনের উ'দ্দে'শ্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
প্রথমেই তুরকে তুরের মায়ের জন্ম স্থান ল'ন্ডনে,নিয়ে যায়।যেটা পূর্ব পরি'ক'ল্পনা ছিলো।তুরকে সারপ্রাইজ দিবে বলে আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো।তুর এতো বড়ো সার'প্রাইজ পেয়ে খুশিতে ধ্রুব কে জ'ড়িয়ে ধ'রে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে।
সেখানে বেশ কয়েক দিন কা'টিয়ে তুরের মায়ের কথা মতো সব করে।
সেখান থেকে দার্জি'লিং যায়।পুরোদমে ঘুরে বেড়ায় দুজনে।
দা'র্জি'লিং এ এক শীতের রাতে।একি কম্বলের তলায় ধ্রুবর কোলে বসে আছে তুর।তুরকে আ'ষ্টে'পৃ''ষ্টে জ'ড়িয়ে রেখেছে ধ্রুব।খোলা বারান্দা দিয়ে তুষার'পা'ত দেখা যাচ্ছে। তুর মনো'যো'গ দিয়ে তুষার'পা'তের দৃশ্য অব'লো'কন করছে।আর ধ্রুব অব'লো'কন করছে তার পোলস্টারকে,পোলস্টারের অপ'রূপ মা'ধু'র্য্যকে।
ধ্রুব ক্ষণে ক্ষণে হা'রিয়ে যায় ওর পোলস্টারের র'ন্ধ্রে 'র'ন্ধ্রে।ভেবে পায় না,পৃথিবিীর সব মায়া কি এই মেয়ের মাঝে জো'ড়ো করা।কেন বারবার ওর স্নিগ্ধতায় মা'তা'ল হয়ে যায়।আবার ভাবে,অনেক ক'ষ্টে অ'র্জন করা অমূ'ল্য র'ত্ম।মা'তা'ল না হয়ে উ'পায় আছে।
তুরের টিশার্ট গ'লি'য়ে উ'দ'র চে'পে ধ'রে।গ'ল'দে'শে ও'ষ্ঠে'র অ'জ'স্র কো'ম'ল স্প'র্শে ভরিয়ে তুলে।ডুবে যায় আরও গ'ভী'র থেকে গ'ভী'রে।
"তোমার জন্য শা'ন্তিতে তুশার'পা'ত ও দেখতে পারবো না।সারাক্ষণ কি খালি মাথায় এসব ঘুরে।"
"হুম... জান।বলে ছিলাম না।যা যা করছো,সব উ'সু'ল করবো।এখনি তো সেই দে'না-পাও'নার সময়।অনলি আ'দ'র,নো ছা'ড়া ছা'ড়ি।"
"তাই বুঝি? "
"হুম "
"এখনো তোমার দে'না-পাও'না শেষ হয়নি বুঝি ?শেষ হয়ে গেলে তো আর আমাকে লাগবে না?তখন?"
"তোমার সে দে'না আমার কাছে কোনো দিন শেষ হবে না,জান।সো ডো'ন্ট ডিস'ট্রার্ব মি।আমার এখন অনেক অনেক ভালোবাসা চাই।"
"ওলে বাবা লে.... কতো ভালোবাসা চাই আপনার,হুম...."
চ'ট করে কো'লে তু'লে নেয়,"দেখাচ্ছি.....।"
দা''র্জি'লিং এ বাকি দিন গুলো পুরো দ'স্তু'র ম'ধু'চ'ন্দ্রিমা সেরে বাড়ি ফিরে।
তিন মাস ছুটি কা'টিয়ে,পুন'রা'য় ধ্রুবর কাজে জয়েন হয়।কিছু দিন যাওয়ার পর ধ্রুবর ফ্ল্যাটে দুজন শি'ফট হয়।
তুর আর ফাহিম একি ভার্সিটিতে চা'ন্স পাওয়ায়,প্রায় প্রতিদিন ভার্সিটিতে দুজনের দেখা হয়।মাঝে মধ্যে তুর ফাহিমের সাথে বাড়ি চলে যায়।সেদিন ফ্ল্যাটে ফিরে,বাসা খালি পেয়ে ধ্রুব মা'রা'ত্মক লেভে'লের রে'গে যায়। তাৎ'ক্ষণা'ত সে ও বেরিয়ে পরে রায়হান বাড়ির উদ্দেশ্যে।সকলে ধ্রুবর পাগ'লা'মো দেখে হাসে।
দিন দিন ধ্রুবর পাগ'লা'মো আর ভালবাসার অ'ত্যা'চা'র বেড়েই চলেছে।তুরও চায় এভাবেই যেন সারাজীবন এই লোকটা ওর জন্য,ওর কাছে থাকার জন্য পাগ'লা'মো করে।
এভাবেই দুজনের ভালবাসা,মান-অভি'মান চলতে থাকে।
___________
পাঁচ বছর পর ।
আজ ধ্রুব তুরের দুই বছরের মেয়ে তৈয়্যিবার
জন্ম'দিন।বাড়িতে এ'তি'ম বা'চ্চাদের খাওনোর ব্য'বস্থা করা হয়েছে।আর কাছের আত্মীয় স্বজনরা সবাই এসেছে তৈয়্যিবাকে দোয়া করবে বলে।
জিসানের পরিবার এবং ধ্রুবর নানা বাড়ির লোকজন ও এসেছে।জিসান ও তন্নির একটা চার বছরের ছেলে আছে,সে ও এসেছে।
পূর্ব পরি'ক'ল্পনা মতো,ধ্রুব সবার সামনে ধ্রুবর বড়ো মামার কাছে ফাহিমের সাথে রিয়ার বিয়ের প্র'স্তা'ব তুলে ধরে।
কিন্তু রাইসার সাথে ধ্রুবর বিয়ে না হওয়ায় উনি বরাবরের মতোই না'কো'জ করে দেন।
"দেখুন মামা,ওরা অনেক দিন যাবৎ দুজন দুজনকে ভালোবাসে।দয়া করে আমার সাথে রা'গ করে,শা'স্তি ওদের দিবেন না।"ধ্রুব মাথা নিচু করে হাত জো'র করে ক্ষ'মা' চায়।
"কেন?তুমিই তো বলেছিলে,ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে স'ম্ভব নয়। এখন আবার ভাইবোনের মধ্যে এসব আসে কোথা থেকে।"
"মামা আমি রাইসা,রিয়া,ঐশী,তন্নিকে কোনো দিন বোন ছাড়া অন্য ন'জ'রে দেখিনি।আমি তো শুধু তুরকে....সে সবই আপনাদের জানা।পুরোনো সব কথা ভু'লে দুজনের বিয়েটা মেনে নিন।অনেক তো হলো।ওরা আমাদের আশায় আছে।আমরা তো ওদের ভালো চাই। মামা প্লিজ বিয়েটা মেনে নিন।"
------------
রাইসা বলে উঠে ,"বাবা ধ্রুব ভাইয়া অনেক আগে থেকেই তুরকে পা'গ'লের মতো ভালোবাসে।সেখানে জো'র করে ও যদি আমাকে ওনার সাথে বিয়ে দিতে,আমি কোনো দিন সুখি হতাম না।ওনার সাথে বিয়ে হয়নি,তা বলে কি আমাকে তুমি বিয়ে দাওনি।আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছে।তুমি এক মেয়ে দিয়ে তোমার বোনের সাথে আত্মীয়তা করতে পারোনি,তো কি হয়েছে?আরেক মেয়ে দিয়ে করবে।বাবা ফাহিম রিয়া দুজন দুজনকে ভালোবাসে।তোমার মেয়ে সুখি হবে,ওরা দুজন সুখি হবে।এটা কি তুমি চাও না? মেনে নেও বাবা।একবার রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখো।কবেই ওরা তোমার অ'বা'ধ্য হয়ে বিয়ে করে নিতে পারতো।শুধু তোমার অনু'ম'তির আশায় আছে।দেখো ধ্রুব ভাইয়া কোনো ভু'ল না করেও,নিজের মান সম্মানের কাছে ছোট হয়ে ওদের দুজনের জন্য,কিভাবে তোমার কাছে ক্ষ'মা চাইছে। এর পর ও অ'মত করবে?করো না বাবা।"
রিয়া ফাহিমকে কাছে ডাকেন।সবাই কিছুটা আ'তং'কে আছে।চ'ড়'ট'ড় না জানি মে'রে বসে।কিন্তু সবাই কে ভু'ল প্র'মাণ করে,দুজনকে বুকে জ'ড়িয়ে নেন।
ধ্রুবকে ডেকে বলে,"ভাগ্নে দ্রুত বিয়ের আয়োজন করো।আমার মেয়েকে আমি ফাহিমের হাতে তুলে দিবো।"
সকলে সস্থি পায়।দুই পরিবারের মান অভি'মান মি'টে যাওয়াতে।ফাহিম ধ্রুবকে খুশিতে ঝা'পটে ধ'রে কেঁদে ফেলে। আবারও খুশিতে ভরে উঠে রায়হান বাড়ি।
আনন্দের সাথে সকলের নয়নের মণি তৈয়্যিবার জন্ম দিন কে'টে যায়।
___________
মাঝ রাতে হাঠাত তুরের ঘুম ভে'ঙ্গে যায়।দেখে পাশে ধ্রুব নেই।উঠে বারান্দায় যেয়ে দেখে।ধ্রুব বারান্দায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।চি'ন্তা ভাব'না'য় ম'গ্ন।
"কি করছো একা একা?আমাকে ডাকতে।"
"ভাবছি কিভাবে তোকে পেলাম।কতো সাধ'না'য় অ'র্জিত স'ম্পদ তুই আমার।"
"আবারো তুই।তাহলে আমি ও কিন্তু ভাইয়া ডাকবো।"ধ্রুব হেসে উঠে।তুরকে কাছে টে'নে ফ্লোরে বসায়।কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। পে'টে মুখ গুঁ'জে দেয়।তুর কেঁ'পে ওঠে।
"এক বা'চ্চার বাবা হয়ে গেছে,এখনো ওনার পাগ'লা'মো যায় না।দে'না-পাও'না কি এখনো শেষ হয়নি?"
"নাহ...!এ দেনা যে শো'ধ হওয়ার নয়।এক বাচ্চার বাপ হলে ও কি করবো বল,যার বউ এতো সুন্দরী তার জন্য তো প্রতি রাত ই বিয়ের প্রথম রাত।"
"হুম বলেছে।আমি মো'টেও এখন সুন্দরী নই।বেবি হয়ে মু'টিয়ে গেছি।"
"তোর চোখ দিয়ে তো আমি তোকে দেখি না।আমার চোখ দিয়ে দেখি।আর প্রিয় মানুষের সৌন্দর্য্য মনের চোখ দিয়ে দেখতে হয়,মনের চোখেই ধ'রা পড়ে সে সৌন্দর্য্য।সেটা তুই বুঝবি না।বয়স হয়নি আরো বড়ো হয়ে নে পড়ে বুঝবি।"
"আরো বড়ো হতে হবে।? "
তুরের নাক টে'নে বলে,"হুম... ডিয়ার পোলস্টার।"
তুরের কোলে শুয়ে আকাশের দিকে মুখ করে চিৎ'কা'র বলে,"এই আকাশ... তোমার বুকে রাত ছাড়া,তোমার ধ্রুবতারাকে দেখা যায়? যায় না.....তো।
চেয়ে দেখো....., আমার ধ্রবতারাকে দিন রাত সব সময়,আমার বুকে দেখা যায়।"
"এই এই কি করছো তৈয়্যিবা উঠে যাবে তো।"
চিৎ'কা'র করতে দেরি মেয়ের উঠতে দেরি হয়নি।বাবা পাগ'লি রাজকন্যা সেই ছোট্ট তুরের মতো ডেকে ওঠে,"ধুবববববববব।ধুববববববব।"
ধ্রুব তুর মেয়ের ডাকে এক সাথে হোহো করে হেসে উঠে।
ধ্রুব মেয়েকে কোলে নিয়ে বারান্দায় বসে।মেয়েকে কোলে বসিয়ে এক হাতে প্রেয়সীকে জ'ড়িয়ে ধ'রে।তিন জন এক সাথে বসে জোছনা বি'লাস করছে।
কিছু ক্ষণ পর তৈয়্যিবা ঘুমিয়ে পড়ে।ধ্রুব ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আসে।
তুরের দু'গালে দু'হাত রেখে বলে,"তুর সেই পূর্নিমার রাতের মতো আমি তোমার মাঝে হা'রিয়ে যেতে চাই।তুমি কি আমাকে আবারও তোমার মা'ঝে তোমার মায়ায় ডু'বে যেতে দিবে,জান?"
তুর ল'জ্জা পেয়ে চোখ ব'ন্ধ করে ফেলে।ব'ন্ধ করেই মাথা না'ড়িয়ে স'ম্ম'তি' জানায়।ধ্রুব তুরকে কো'লে তু'লে নেয়।প্র'স্থা'ন করে ফ্ল্যাটের অন্য রুমে।হা'রি'য়ে যায় আবারও দুজন দুজনাতে।আবারও সা'ক্ষী হয়ে রয় ঐ আকাশের জ্ব'ল'জ্ব'লে ধ্রবতারা।
পরিশেষে বলবো,
সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন।কখনো অনেক ক'ষ্ট জীবনকে বি'ষা'দময় করে তোলে,কখনো বা এক রাশ সুখ এসে হাসি আনন্দে ভরিয়ে তোলে,পুরোনো ক্ষ'ত সারিয়ে দেয়।তবে সুখের চেয়ে দুঃখের সময়টাই আমাদের চোখে পড়ে বেশি। তেমনি তুর ধ্রুবর জীবনে ও হয়েছে।তবে এখন কিন্তু ওরা অনেক অনেক হেপি আছে।আশা করি আপনারাও ওদের হোপিনেস দেখে খুশি হয়েছেন।
সমাপ্তি।
লেখকের কথাঃ
আসসালামু ওয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ।
টানা দু'মাস পর গল্পটি শেষ হলো।
গল্প পড়তে পড়তে শখের বশে লেখার চেষ্টা করেছি।জানিনা কতটা মন ছোঁয়াতে পেরেছি।তবে এই গল্পের কোনো কিছুই কিন্তু বা'স্তব কারোর জীবন থেকে নেয়া না।গল্পটি পুরোটাই মন গড়া।
পাঠক পাঠিকাগণ আপনারা অনেকে সেই প্রথম থেকে ধৈর্য নিয়ে এই গল্পটি পড়েছেন। আপনাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।যারা পরে পড়েছেন নিয়মিত না দিতে পারার কারণে তাদেরকেও ধৈর্য ধরে পড়তে হয়েছে।সে জন্য আপনাদেরকে ও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন নতুন লেখিকা হওয়ায় অনেক অনেক বা'ধা পেড়িয়ে এই পর্যন্ত এসেছি।শুধু আপনাদের সাপোর্ট আর আপনাদের ভালোবাসায়।পেজ আর গ্রুপের এডমিন মডারেটররা ও আমাকে অনেক অনেক সাহায্য করেছো।তোমাদের সাহায্য না পেলে আমি কখনো এগোতে পারতাম না,আর গল্পটি এতোজনের কাছে পৌঁছাতো না।তোমাদেরকে ও অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।পুরো গল্পটি কেমন লাগলো,দয়া করে প্রত্যেকে আপনাদের একটি গঠনমূলক মন্তব্য রেখে যাবেন।যেটা আমার প্রথম গল্পে স্মৃতি হয়ে থাকবে। ভালো লাগলে অন্যদেরকে পড়ার জন্য সাজেস্ট করবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।দোয়া করবেন যেন খুব শীঘ্রই নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে পারি।অনেক অনেক ভালোবাসা নিবেন।❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️