আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে- গল্পকন্যার ধারাবাহিক প্রেমের গল্প ( পর্ব- ১২ )

রাত পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে ওর ফোনে পানি ঢুকে ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।পাপড়ির কাঁধে ওয়াটারপ্রুফ ছোটো একটা ব্যাগ ছিলো ,তাই ওর ফোন রেহাই পেয়েছে।.....…..
হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে- গল্পকন্যার ধারাবাহিক প্রেমের গল্প ( পর্ব- ১২ )
হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে- গল্পকন্যার ধারাবাহিক প্রেমের গল্প ( পর্ব- ১২ )

#হৃদয়ের_নিকুঞ্জ_নিড়ে
পর্বঃ ১২
#গল্পকন্যা

 রাত পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে ওর ফোনে পানি ঢুকে ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।পাপড়ির কাঁধে ওয়াটারপ্রুফ ছোটো একটা ব্যাগ ছিলো ,তাই ওর ফোন রেহাই পেয়েছে।

কিন্তু ছবি তুলতে তুলতে ফোনের চার্জ এসে দশ পারসেন্টে ঠেকেছে।

সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে।যতদ্রুত সম্ভব যেতে হবে।

হিমছড়ির এক অনন্য সৌন্দর্য্য হচ্ছে সূর্যাস্ত দেখা।তাই সূর্যাস্ত দেখেই শুরু করে ফেরার যাত্রা।

প্রায় সাত কিলোমিটার অতিক্রম করে ওদের যাত্রার মাঝামাঝি চলে এসেছে,এমন সময় বাইকে কেমন ঘরঘর শব্দ হচ্ছে।দুবার এমন শব্দ হয়ে বাইকের স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে।কোনো ভাবেই স্টার্ট নিচ্ছে না।

বাইক থেকে নেমে বারবার চেক করছে।কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।অতঃপর হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাইডে কোনো গাড়ির আশায়।কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আবারো বৃষ্টি নামতে শুরু করে।

রাত ও পাপড়ি একটা গাছের নিচে দাঁড়ায়।ত্রিশ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরও বৃষ্টি কমার নাম নেই,কমার বদলে বাড়তেই থাকে।রাত একা হলে সমস্যা ছিলো না কিন্তু সাথে পাপড়ি।নিরব নিস্তব্ধ সৌন্দর্য্য পূর্ণ রাস্তাঘাট-ই রাতের বেলা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ।পাহাড়িরা মানুষ গুলো যেমন ভালো আবার কিছু কিছু অনেক খারাপ-ও হয়।

এভাবে আরো কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর বুঝতে পারে এ বৃষ্টি কমার নয়।কিছুক্ষণ অতিবাহিত হতেই ধীরে ধীরে বৃষ্টি ঝড়ে রুপান্তরিত হচ্ছে।

প্রচন্ড বাতাস আর  বিরতিহীনভাবে বৃষ্টিতে ভিজে পাপড়ির শরীরে কাঁপুনি উঠে গেছে।দাঁতে দাঁত বারি লাগছে।রাত পাপড়ির অবস্থা দেখে ওর কাছে যেয়ে হাতে ধরে।হাত গুলো একেবারে বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে।

পড়নে হালকা বেগুনি রঙের সুতির থ্রিপিস,ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে আছে।শরীরের অবয়ব স্পষ্ট।এমতাবস্থায় কোন পুরুষ বা ছেলের নজরে পড়াটা ও বিপদজনক।আর ভিজে শরীরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাবে।দ্রুত কোনো একটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

রাত পাপড়ির হাতে ঘষছে,পাপড়ির কাঁপুনি কিছুতেই কমছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে রাত পাপড়িকে বুকে জড়িয়ে ধরে।

কাঁপুনির জন্য পাপড়ি কিছু বলতেও পারছে না।রাতের বুকের

উষ্ণতায় যদি একটু কমে।মিনিট দশেক এভাবে থাকার পর পাপড়ির কাঁপুনি কিছুটা কমে যায়।রাত ডিসিশন নেয় জাহিদকে ফোন করবে।ইতিমধ্যে আটটা বেজে গেছে। 

চারদিকে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে।রাতের ফোন বন্ধ তাই পাপড়ির ফোন নেয়।পাপড়ির ফোন দিয়ে জাহিদের নাম্বারে কল দিয়ে  বলে,"বিপদে পড়েছি দোস্ত...."আর কিছু বলার আগেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়।কথা ও শেষ করতে পারে না।বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়ে একেবারে-ই আসে।

এদিকে বৃষ্টি বাড়তে বাড়তে ঝড় বইতে শুরু করেছে।বাতাস ও বৃষ্টির ঝাপটায় দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না।পাপড়ি আবার-ও হুহু করে কাঁপতে থাকে।

রাতকে বলে,"রাত আমার বোধ হয় জ্বর আসছে।"রাতের খুব খারাপ লাগছে,যদি না ও এখানে পাপড়িকে নিয়ে আসতো,পাপড়ির এতো কষ্ট হতো না।রাত দুঃখভরাক্রান্ত মনে বলে,"আ'ম সো সরি।আমার জন্য আপনাকে এতো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আমি কিছুই করতে পারছি না।"

পাপড়ি কাঁপতে কাঁপতে রাতের টি-শার্টে মুষ্টি করে ধরে,"বেশি পাঁকা কথা বললে,এক চড় মারবো।দেখ আসে পাশে কোথাও কোনো মানুষের বসবাস আছে কিনা।"

রাত বাইকটা সাইড করে লক করে,তারপর পাপড়ির পারমিশন না নিয়েই ফের পাপড়িকে জড়িয়ে ধরে রাস্তা থেকে নেমে পরে আবাদি জমিতে, হাঁটতে থাকে জনমানবের খোঁজে।

রাত নিজেই ওর ষাট কেজি ওজনের শরীরটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না,সেখানে পাপড়ির এই পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চির বেয়াল্লিশ কেজি ওজনের শরীরটা তো কখনই ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যেতো।নেহাত-ই রাত ধরে আছে।

ফাঁকা জমি পেরিয়ে-ই একটি ঝঙ্গল।বিদুৎ এর ঝলকে দেখা যাচ্ছে এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য একটা সরু রাস্তা ।হয়তো এদিক দিয়ে কারো যাতায়াত আছে তাই দুইপাশের গাছগাছালির মধ্যে এমন রাস্তার মতো হয়ে আছে।উপর ওয়ালার উপর ভরসা করে রাত এই রাস্তা ধরে-ই অন্ধকারে আনুমানিক ভাবে পা ফেলছে।

পাপড়ি এবার ভিষন ভয় পাচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে জীবনে কোনোদিন পরেনি।কখনো পড়তে হবে সেটাও ভাবেনি।মাথার উপরে বাঁশ ও গাছ গুলো ঝড়ের দাপটে একেবারে ভেঙে আসছে।ভয়ে চিৎকার করে রাতকে জড়িয়ে ধরে রাখে।

রাতও খানিকক্ষণ এভাবেই থাকে।কিন্তু পাহাড়ি সাপ ও জোঁকের ভয় আছে এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যে,তাই দ্রুত পা ফেলে।

দু'জনেই ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাঁটতে থাকে।হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেক দূর এসেছে কিন্তু বের হওয়ার কোনো রাস্তা পাচ্ছে না।কোনো ভুল রাস্তায় এগোচ্ছে না তো।এদিকে পাপড়ির অবস্থা ভালো না মনে হচ্ছে এক্ষুনি মূর্ছা যাবে।ওর শরীর 

অসাভাবিক ভাবে কাঁপছে।

রাতের ভেতরে এবার ভয় কাজ করছে।আকস্মিক পাপড়ি দাঁড়িয়ে যায়,আর আহহ করে চেঁচিয়ে উঠে।রাত অন্ধকারে বুঝতে পারছে না কি হয়েছে।রাত পাপড়ির হাতে টেনে ধরে যার ফলে কিছু ছিঁড়ে যাওয়ার শব্দ হয়।পাপড়ি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে রাত আমার জামা আটকে আছে,মনে হয় ছিঁড়ে গেছে।

রাত অন্ধকারে পাপড়ির পিঠে হাত রাখে।বুঝতে পারে জামার পেছন দিকের গলা থেকে পিঠের নিচে অব্দি ছিঁড়ে গেছে।রাত আটকে যাওয়া জামাটা ছাড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু পুরো চেষ্টা-টা-ই ব্যর্থ।  জামাটা ছাড়াতে না পেরে  অধৈর্য্য হয়ে এক টানে ছিঁড়ে ফেলে। এদিকে জামা ছেঁড়ার ফলে ঘটেছে বিপত্তি।হাঁটার সময় বারবার জঙ্গলি গাছের ডালপালার আঁচড় লাগছে পিঠে।

হাঁটতে হাঁটতে একপর্যায়ে কামিজে সামনের পার্টের অংশও একটা কাঁটা গাছের সাথে আটকে যায়।যেটা কোনো কিছু করা সম্ভব হচ্ছিল না।পাপড়ি ওর পরিনতি বুঝতে পেরে অন্ধকারে রাতের মুখের দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে।রাত আর কোনো উপায় না পেয়ে ওর টি-শার্ট টা ওকে পরতে দিয়ে উল্টো ঘুরে দাঁড়ায়।উপায়ন্তর না পেয়ে কামিজাটা কোনো মতে টেনে খুলে টি-শার্টটা পড়ে নেয়।

অতঃপর আবারো হাঁটতে থাকে, হাঁটতে হাঁটতে যখন কোনো কূল কিনারা পাচ্ছে না।তখন-ই একটা ছাউনি দেয়া জায়গা দেখতে পায়।জায়গাটা তূলনামূলক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।এখানে জঙ্গলি গাছগাছালি কিছুটা কম।

দু'জনেই ছাউনির নিচে দাঁড়ায়।পাপড়িকে জড়িয়ে রাত দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু হঠাৎ পাপড়ি গগনবিদারী চিৎকার করে উঠে।রাত বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, "কি হয়েছে।"

 পাপড়ি বলে,"কোনকিছু আমাকে কামড়ে দিয়েছে।"

রাত বসে বিদ্যুৎ চমকানোর আলোতে দেখতে পায় পাপড়ির পায়ে এক সাথে অনেক গুলো জোঁক কামড়ে ধরে আছে।রাত দ্রুত সেগুলোকে টেনে টেনে ফেলে।ওর জিন্স প্যান্ট ও ক্যার্স জুতো পায়ে থাকায় ওকে ধরতে পারেনি।সব গুলো টেনে ফেলে দেয়ার পর কামড়ের জায়গা গুলো থেকে রক্ত বেরোতে থাকে।

এভাবে দাড় করালে আবারো জোঁকের আক্রমণ হবে তাই পাপড়িকে কোলে তুলে নেয়।জোঁকের কামড়ের ক্ষত গুলোর জলুনিতে পাপড়ি  কাঁদতে থাকে।

রাত পাপড়ির বন্ধ চোখ জোড়ার দিকে তাকায়।বিদ্যুৎ চকমকানোর আলোতে এই মুখশ্রীটা বড্ড মায়াবী লাগছে।কখনো ভাবেনি এমন দুর্যোগে উছিলায় এতো কা়ছাকাছি আসতে পারবে।পরক্ষণেই ভাবে এটা ভাবা অন্যায়,"তোর জন্য মেয়েটার এতো কষ্ট হচ্ছে।"নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ কাজ করছে।

ভাবনার মধ্যে কারো পায়ের আওয়াজ শুনতে পায়।পাপড়ি ভয়ে রাতের গলায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে।রাতের মধ্যেও এক অজানা আতংক ভর করে।কোনো বিপদে পড়তে যাচ্ছে না তো।

হঠাৎ কেউ রাতের চোখ টর্চের আলো ফেলে।রাত চোখ বন্ধ করে নেয়।একজন লোক চট্টগ্রামের ভাষায় বলে,"ছি ছি ছিহ, কি খা্ল আইসসে জঅলর ভোতর আইয়রে পোয়াইনদে কুহাম গরে।"(ছি ছি ছিহহ,কি যুগ আইলো,এই জঙ্গলের মধ্যে আইসা পোলাপান নষ্টামি করতাছে)

সাথে আরো কিছু লোকজন।তারাও তাল মেলালো।রাত বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে ওরা বিপদ পড়েছে।কিন্তু ওদের কোনো কথাই শুনছে না।

একে তো রাত খালি গায়ে তারউপর এভাবে পাপড়িকে কোলে নিয়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে।ভয়ে পাপড়ির শরীরে কম্পন উঠছে,দাঁতে দাঁত বারি লাগছে।

লোকগুলো টেনে নিয়ে চলে দু'জনকে।কোথায় যাচ্ছে জানে না,শুধু যেতে বাধ্য হচ্ছে।একেক জন ওর বাবার বয়সি লোক।কিছু করতেও পারছে না।

ওদেরকে নিয়ে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটা কাঠের ঘরের সামনে দাঁড়ায়।রাত আশ্চর্য্য হয়ে যায়,কারণ এতো চেষ্টার পরে ওরা জনমানবের একদম কাছে এসে হাঁপিয়ে গিয়েছিলো।

যদি বের হয়ে সাহায্য চাইতো হয়তো ওদের এখনকার মতো কোনো বিপদে পড়তে হতো না।একজন লোক ঘর থেকে বের হয়,তারপর নিজেদের মধ্যে কিছু কথা বলাবলি করে।তারপর ওদের কাছে এসে পরোক্ষ করে।

পাপড়ির ও রাতের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে ওদের ধারনা দু'জনে ওখানে কোনো অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়েছে।আর মেয়েটির চিৎকার শুনেই সবাই ওখানে গিয়েছে। এই অবৈধ্য কাজ ওদের  সমাজের জন্য অভিশাপ ডেকে আনবে।তাই দ্রুত মসজিদের ইমামকে ডেকে আনে।

রাত ওদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারছে কিন্তু পাপড়ি একটা ঘোরের মধ্যে আছে।সব দেখছে ঠিক-ই তবে কিছু বলতে পারছে না।ওর গা  গরম হয়ে উঠছে।চোখ গুলো লাল হয়ে যাচ্ছে।

এমন সময় রাত বয়স্ক একজনের হাতে ধরে বলে,"আপনারা যেমন ভাবছেন তেমন কিছু নয়,আমরা স্টুডেন্ট,ও আমার বন্ধু।পিকনিকে ঘুরতে এসেছি।আমরা ফিরে যাচ্ছিলাম,কিন্তু পথিমধ্যে বিপদে পড়েছি,ঝড়ের কবলে পরে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি।এমনটা করবেন না দয়া করুন।আমাদের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে।প্লিজ...,আমার কথাটা শুনুন,আমাদেরকে সাহায্য.... "

রাতের কোনো কথা না শুনে একজন হুজুর মতো লোক দোয়া পড়া শুরু করে।তার দোয়া পড়া শেষ হলে বলে,"কবুল হ।"

 পাপড়ি চুপ।তখন-ই একজন বুজুর্গ রাতকে কষে এক চড় মারে।অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে বলে,"হা**র পোয়া* অহাম গরিবি আর বিয়া ন গরিবি।"(খা**র পো*,আকাম করবি আর বিয়া করবি না।)তাই দেখে পাপড়ি ভয়ে বলে কবুল।

এভাবে রাতকে বলে কবুল বলতে।উপায়ন্তর না পেয়ে রাতকে ও বলতে হয়।দুজনেই স্তব্ধ হয়ে যায়।তারপর ওদের একটা ঘরে রাতটা থাকতে দিয়ে চলে যায়।


অতিরিক্ত জ্বরে পাপড়ি মূর্ছা যায়।

একজন মহিলা এসে একটা লুঙ্গি আর আর মহিলাদের পড়ার জন্য শাড়ির মতো চাকমাদের পোশাক দিয়ে যায়।রাতের অনুরোধ মহিলাটি পাপড়ির ড্রেস চেঞ্জ করে দিয়ে যায়।

সারা রাত পাপড়ির প্রচুর জ্বরে কাটে।জলপট্টি দিয়ে ও তাপমাত্রা কমানো যায়নি,হঠাৎ হঠাৎ অসাভাবিক ভাবে কেঁপে উঠে।গায়ে দেয়ার মতো কোনো চাদর না থাকায় রাত পাপড়িকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে।

সারাটা রাত পাপড়িকে বুকে নিয়ে ভেবে যায় অবাঞ্ছিত ঘটনার কথা।এ রাতের কথা রাত কখনো ভুলবে না।

পাপড়ির কাছে হয়তো এটা দুঃস্বপ্নের মতো, কিন্তু ওর কাছে এক নতুন স্বপ্ন।যেটা না চাইতেই সম্পূর্ণ উপরওয়ালার ইচ্ছেতে হয়ে গেছে।

রাত ভাবে আজ থেকে পাপড়ি ওর বউ।ওর লালটুকটুকে বউ।এসব ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত চোখ জোড়া মুদে আসে। 

চোখ মেলে পাপড়ির কান্নার শব্দে।দিনের আলো ফুটে উঠেছে।গত রাতের ঘটনা  ভেবে পাপড়ি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।


(গল্পের স্বার্থ  কিছু কিছু কাল্পনিক জায়গার কথা উল্লেখ হয়েছে,বাস্তবের সাথে এর কোনো মিল নেই।)


চলবে......

Post a Comment

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.