গল্পঃ অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী
লেখক-রাব্বি
পর্ব-১
আজ কেনো জানি মনটা খুব খারাপ লাগছে এবং নিজেকে খুব একা একা লাগছে।আর আমার মন যেদিন খারাপ থাকে সেদিন আমি বসে বসে এই বাঁশিটা বাজাই।আজও ঠিক তাই করছি আমাদের বাসার ছাদে বসে বাঁশি বাজাচ্ছি।ওহো আমিতো আমার পরিচয়টা দিতে ভুলেই গেছি।
বন্ধুরা আমি রাব্বি পেশায় একজন শিক্ষক।আমি আমার বাবা মার একমাত্র সন্তান।আমাদের পরিবার বলতে আমরা এই তিন জনি।এই বাঁশি বাজানোটা আমার সখ।এটা আমি আমার দাদুর কাছ থেকে শিখেছিলাম।আজ দাদু আমাদের কাছ থেকে অনেক দুরে চলে গেছে।দাদু তার মিত্যুর কিছুদিন আগে আমাকে এই বাঁশিটা দিয়েছিলো।এবং বলেছিলো দাদু এটা কোন সাধারন বাঁশি না।এর দুইটা বিশেষ গুন আছে এক হলো কারো যদি মন খারাপ থাকে তাহলে এই বাঁশি বাজালে তার মন ভালো হয়ে যায়।আরেকটা হলো না থাক এটা বলবোনা।
তখন আমি বললাম বলোনা দাদু আরেকটা কি হবে।দাদু বললো এটা এখন বলবোনা তুমি পরে নিজেই বুঝতে পারবে।তবে এটা বলি কোন এক সময় এই বাঁশিটা তোমার খুব দরকার হবে।
দাদুর মৃত্যুর পর আমি এই প্রথম বাঁশিটা বাজাচ্ছি কিছু সময় বাজানোর পর মনটা ভালো লাগছে।তার পর আমি ছাদ থেকে চলে আসি এবং খাওয়া দাওয়া করে তারা তারি ঘুমিয়ে পরি।সকালে আবার স্কুলে যেতে হবে।এর পর সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে স্কুলে চলে যাই।সকাল ৮টা থেকে পরানো শুরু আর বিকাল ৪টায় শেষ।তার পর বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হই।তার পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরি।
ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেতে খেতে রাত প্রায় ১০ টার মতো বেজে গেলো।এর পর কিছু সময় টিভি দেখলাম।রাত তখন ১১টার মতো হবে তখন কেন জানি বাঁশিটা খুব বাজাতে মনে চাচ্ছে।তাই বাশিটা নিয়ে ছাদে চলে গেলাম।এবং বাঁশিটা বাজাতে থাকলাম হটাত আমার চোঁখ আকাশের দিকে পরলো।এবং দেখলা কিছু একটা নিচের দিকে নামছে। সেটা ধিরে ধিরে আমাদের ছাদের উপরে নামলো।আমি দেখে বুঝতে পারছিনা কি করবো।এতো একটা মেয়ে এত সুন্দর মেয়ে আমি আমার জিবনে দেখিনি।এমনকি তার রুপের আলোতে সম্পন্ন ছাদ আলোকিত হয়ে গেছে।তার শরীর দিয়ে এত সুন্দর একটা সুগন্ধ আসতেছে।যার গন্ধে সারা ছাদ ভরে গেছে।তার পরনে সাদা কালারে অনেক সুন্দর একটা জামা ও পিছনে পাখিমতো দুইটা ডানা।আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো।তখন সে আমাকে বললো ভয় পেয়েও না আমি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা।আমি তোমার বাঁশি বাজানো শুনতে এসেছিলাম।তখন আমি বললাম কে তুমি।
তখন মেয়েটা আমাকে বললো আমি পরী রাজ্যের রাজকন্যা নাম মায়া।আজ সরাদিন আমার মনটা খারাপ ছিলো।কিন্ত তোমার বাঁশির শুর শুনে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেছে।তাই দেখতে আসলাম এত সুন্দর করে কে বাঁশি বাজায়।তখন আমি বললাম আমি কি জানতে পারি কি কারনে তোমার মন খারাপ হয়েছিলো।মায়া বললো,আজকের এই দিনে আমার বাবা মারা গেছে তাই বাবার কথা মনে পরাতে মনটা খারাপ হয়েছিলো কিন্ত এখন ভালো লাগছে।তুমি বাঁশি বাজাও না কেনো আমি শুনতে আসলাম।আচ্ছ বাজাচ্ছি তুমি এখানে বসো।তার পর আমি বাশি বাজাতে থাকি।রাত যখন একটার মতো বাজে তখন মায়া বললো।আজ আমি আসি কেমন কাল কিন্ত আবার আসবো শুনতে। ভালো থেকো ও হে তোমার নামতো জানা হলো না।তখন আমি বললাম আমার নাম রাব্বি।মায়া বললো আচ্ছা আমি আজ আসি।
এই কথা বলে মায়া চলে গেলো আর আমিও আমার রুমে চলে গেলাম ঘুমাতে।সকালে আম্মুর ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো।আজ সকালে উঠতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।তারাতারি করে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে স্কুলে চলে গেলাম।তার পর ক্লাস করানো শুরু করলাম কিন্ত ছাত্রদের প্রতি আমার আজ কোন মনোযোগ নাই।মনে মনে সুধু মায়ার কথা ভাবছি।আর ভাবতেছি কখন রাত হবে আর মায়ার সাথে দেখা হবে।আজ সময় মনে হয় জেতেই চাচ্ছেনা।ঘরির কাটা মনে হয় এক জাগাতেই দারিয়ে আছে।
অনেক কষ্টে দিন ফুরিয়ে সন্ধা হলো আমি ছাদে বাঁশি নিয়ে বসে আছি।আর ভাবছি কখন মায়া আসবে।দেখতে দেখতে রাত প্রায় সারে দশটার মতো বেজে গেলো।আজ মনে হয় মায়া আসবেনা, তাই যখন চলে যাবার জন্য হাটা ধরলাম ঠিক তখনি আমার নাকে কালকের সেই সুগন্ধ টা আসলো।আমি তখনি আকাশের দিকে তাকালাম আর দেখলা মায়া নিচে নামছে।ধিরে ধিরে ও আমার কাছে আসলো।এবং আমাকে বললো কেমন আছো।আমি বললাম ভালো তুমি কেমন আছো।মায়া,ভালো আছি আর তুমি এত আগে থেকেই এসে বসে আছো কেনো।তুমি কি করে জানলে আমি অনেক আগে থেকে এসে বসে আছি।মায়া বললো আমরা পরীরা অনেক কিছুই পারি যা মানুষরা পারেনা বুঝলে।আর হে কাল থেকে এত আগে আসার দরকার নেই।আমি আসার পরে আসবে।
আমি বুঝবো কি করে কখন তুমি আসবে।তখন মায়া আমাকে একটা আংন্টি দিয়ে বললো এটা যখন লাল হবে তখন মনে করবে আমি তোমার খুব কাছাকাছি আছি।আর যেদিন নিল হবে সেদিন মনে করবে আমি কোন কারনে আজ আসবোনা।তোমার যদি আমার সাথে দেখা করতে মনে চায় তাবে আংন্টি টাকে বলবে।তাহলে আমি তোমার কথা শুনতে পারবো।আরেকটা কথা আমি বা আমার আংন্টির কথা কিন্ত কাওকে বলবেনা।তার পর.....
(চলবে)