গল্পঃ অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী
লেখকঃ রাব্বি
পর্বঃ ৪
সবাই ফারুকের নিথর দেহটার দিকে তাকিয়ে আছে।মায়ার চোঁখ দিয়ে পানি গরিয়ে পরতে লাগলো।তখন আমি মায়াকে শান্তনা দিয়ে বুঝাতে লাগলাম।তখনি আমার মনে পরে ওই শয়তানটা এখন কি করেছে না জানি সে কত নিরীহ মানুষ দের হত্যা করছে।আমি আম্মাকে বললাম এখন কি কোন উপাই নাই ওই শয়তানটাকে আটকানোর।তখন আম্মা বললো ওকে আটকানোর উপায় আমাদের কারো জানা নাই,যে জানতো সে অনেক আগে মারা গেছে।কে সে যে জানতো কিন্ত কাওকে বলেনি।আম্মা,সে হলো আমার শশুর ও তার বন্ধু যখন এই দুনিয়া এই শয়তানের জন্ম হয় এবং সবাইকে মারতে থাকে তখন আমার শশুরের বাবা তাকে বশ করে এখানে আটকে রাখে।তার পর তার যখন মৃত্যু হয় তার আগে আমার শশুরের বাবা আমার শশুরকে বলেছিলে যে কি ভাবে তাকে বশ করতে হয়।কিন্ত আমার শশুর সেটা কাওকে বলেনি শুধু বলেছিলো তার বন্ধুকে।কিন্ত একদিন সকালে আমারা তাদের দুইজনেরি মৃত্য দেহ এক জাগায় পাই।এবং তারা কাওকে এই বিষয়ে বলার সময় পায়নি।
তখন আমি বললাম সেটা কি ভাবে হতে পারে।আমার মন বলছে তারা কিছু একটা না একটা উপায় রেখে গেছে।আচ্ছা তাদের মৃত্যুর পর কি কেও সেই ঘরে গেছিলা বা কিছু পেয়েছিলো।আম্মা বলল না আমার শশুরের মৃত্যু পর সেই ঘরে কেও প্রবেশ করতে পারেনি।সুধু মায়া একবার অনেক ছোট থাকতে সেই ঘরে একবার ঢুকতে পেরেছিলো।কিন্ত তখন কিছু একটা দেখে মায়া অনেক ভয় পেয়ে যায়।এবং সাথে সাথে ঘর থেকে বের হয়ে আসে তার পর আর কেও সেখানে জাবার সাহস করেনি।এমন কি আছে সেই ঘরে যার কারনে কেও সেখানে ঢুকতে পারেনা।আর মায়া তুমি এমন কী দেখেছিলে যা দেখে তুমি ভয় পেয়ে গেছিলে তোমার কি কিছু মনে আছে।তখন মায়া বললো না আমার কিছুই মনে নাই।তখন আম্মা বললো ওর মনে না থাকারি কথা কারন তখন ও অনেক ছোট ছিলো।আমি বললা মায়া তুমি যখন সেই ঘরে যেতে পারো তাহলে একবার সেই ঘরে চলো যদি কোন উপাই পেয়ে যাই।আর এখন হয় তোবা তুমি ভয় পাবেনা কারন তুমি আর সেই ছোট মেয়ে নাই।তখন আম্মা বললো না কিছুতেই আমি ওকে সেখানে জেতে দেবোনা যদি কিছু হয়ে যায়।মায়া বললো মা আমার কিছু হবেনা,আর যদি কিছু হয় তাও ভালো কারন আমার জিবনের বিনিময়ে হলেও যদি এত গুলো মানুষ ও জ্বীন পরীদের জীবন বেচে যায়।তার পরেও আম্মা মায়া কে জেতে দিতে চায়ছেনা।অনেক জোরাজোরির পর মায়া যখন রাজমহল থেকে বের হলো তখনি দেখলাম আমাদের সামনে পাহাড়েত মতো বিশাল একটা দানব দারিয়ে আছে।তার সারা দেহ কালো তার চারপাশে অন্ধকার আর অন্ধকার।তখন আমি মায়া কে বললাম এটা কে বা কি।মায়া বলল ও হলো অন্ধকার জগতের শয়তান।আমি বললাম এর সাথে এখন আমরা কি করে পারবো আমরাতো কেও জানিনা কি করে ওকে বদ করতে হয়।তখন মায়া বললো চিন্তা করোনা আল্লাহ একটা না একটা পথ ঠিক বের করে দিবে।এর পর দানব টা আমাদের দিকে আসতে থাকে।তখন আম্মা সব সিপাহীদের হুকুম দিলো তাকে আক্রমন করার জন্য।কেও জেতে চাইছে না সবাই ভয় পাচ্ছে।আর পাবেনাই বা কেন কারন সামনে গেলেই মৃত্যু অনিভায্য।তখন কিছু সিপাহী সাহস করে এগিয়ে গেলো।কিন্ত শয়তানটা তাদের জিবন্ত অবস্তায় তাদের খেয়ে ফেললো।এটা দেখে সবাই পলিয়ে যেতে লাগলো।আর শয়তানটা একটা একটা করে সবাইকে খেয়ে ফেলতে লাগলো।তখন মায়া আমাকে বললো আমার হাত ধরো, তখন আমি মায়া হাত ধরলাম এবং ধিরে ধিরে হাওয়ার সাথে মিলে জেতে থাকলাম।তখন মায়া বলল শক্ত করে ধরো কোন ভাবেই কিন্ত ছারবেনা।আমি বললাম ঠিক আছে তুমি চিন্তা করোনা কিন্ত আমরা যাচ্ছি কোথায় সেটাতো বলো।মায়া, আমরা দাদাু বাড়ীতে যাচ্ছি।এখন আর কথা বলোনা এতে আমারা ভুল পথে চলে জেতে পারি।তার পর আমরা একটা অনেক পুরনো বাড়ীতে আসলাম।তখন মায়া বলল এটাই দাদুর বাড়ী।এবং আমাকে বললো তুমি এখানে থাকো আমি ভিতরে যাই।তখন আমি মায়াকে বললাম তোমাকে একা ছারতে আমার ভয় করচ্ছে, যদি তোমার কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি কিন্ত বাচবোনা।মায়া,এমন কথা বলতে নাই আমার কিছু হবে না তুমি ভয় পেয়েও না।তার পর মায়া রুমের ভিতরে চলে গেলো।এমন সময় কোথা থাকে যেনো একটা বাঘ আসলো এবং আমা তারা করলো তখন আমিও এক দোরে দাদুর রুমে চলে আসলাম।এবং আমি অবাক হয়ে গেলাম যে ঘরে মায়া ছাড়া আর কেও ঢুকতে পারেনা সেখানে আমি আসলাম আমারতো কিছুই হলোনা।তখন মায়া বললো তুমি ভিতরে আসলে কি করে তোমার কিছু হয়নি।আমি বললাম না কিছু হয়নি আর আমাকে বাইরে থেকে একটা বাঘ তারা করেছিলো আর তখন আমি এই ঘরে চলে আসি কিন্ত আমার কিছুই হলোনা।তখন মায়া বললো কি বলছো তুমি গত ১৯ বছরের মধ্যে আমি আমাদের রাজ্য বাঘ দেখাতো দুরের কথা এর নামটা পর্যন্ত শুনি নাই।তখন আমি বললাম তাহলে সেটা কি ছিলো আর আমিকি ভুল দেখেছি।নাকি আমাকে এখানে আনার জন্য কেও এমন করেছে।তখন মায়া বললো হতে পারে আচ্ছা আমরা এটা নিয়ে পরে ভাববো এখন জার জন্য এসেছি তাই করি।তার পর............?
(চলবে)
ভুল গুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ৷