গল্পঃ অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী
লেখকঃ রাব্বি
পর্বঃ ৫
এর পর আমি এবং মায়া দুইজন মিলে খুঁজতে থাকি সেই শয়তান বদ করা উপায়।হটাৎ আমার চোঁখ পরলো একটা বাক্সর উপরে।মায়া দেখো ওটা কি তখন মায়া সেটা খুললো এবং ভিতরে একটা ছোট বাক্স পেলাম। সেটা খুলার পর আমরা একটা কাগজ পেলাম।যার একপাশে সাদা কিছুই লেখা নাই।আর একপাশে লেখা আছে চোঁখের পানি।এটা দেখে আমরা কিছুই বুঝলাম না।আর কিছু পেলাম না নিরাশ হয়ে মহলের দিকে আসতে লাগলাম।এশে দেখলা এটা একটা শষান হয়ে গেছো সবাইকে মেরে ফেলেছে শয়তানটা।শুধু আম্মা ও কিছু লোক বাদে।আমাদের দেখে আম্মা ছুটে এলো।বললো দেখ কি হাল করেছে ও।আমরা খুব কষ্টকরে বেচেছি।কিছু কি পেয়েছি মা শতানটাকে মারার।মায়া নিরাশ কন্ঠে বললো না মা।তখন আমার কেন জানি মনে হল আম্মা এই কথা শুনে মনে মনে কিছুটা খুশি হলো।বুঝতে পারলাম না এর কারন।তখন আম্মা বললো ঠিক আছে তোরা ঘরে যা।আর চিন্তা করিস না একটা না একটা উপায় ঠিক বের হবে।এর পর আমি ও মায়া ঘরের ভিতরে গেলাম।মায়া অনেকটা ভেঙ্গে পরেছে।ও কাঁদছে তখন আমি কাগজ টাকে নিয়ে দেখতে থাকলাম।হটাৎ আমার হাত থেকে কাগজ টা পরে গেলো।এবং মায়ার সামনে গিয়ে পরলো।তখন মায়া কাঁদছে সেই অবস্থায় ও কাগজটা উঠাতে গেলো এবং ওর চোখের কয়েক ফুটা পানি সেই কাগজে পরলো।এবং কাগজটা ধিরে ধিরে রং বদলাতে লাগলো।এবং কিছু লেখা চলে আসলো।তখন আমি ও মায়া সেই কাগজটা নিয়ে ভালো করে দেখতে লাগলাম কি লেখা আছে এখানে।
সেই কাগজ টাতে লেখাছিলো যে,পাতাল পুরে আছে ঘর জেতে হবে সেখানে তোমার,দিতেহবে শুর তার তবে জাগবে সে আবার, করবে বদ শয়তানেকে আবার।
তার পরের দিকে আরো কিছু লেখা ছিলো তা হলো,পরকে করিও বিশ্বাস আপনকে করিও না।সবচে বড়ো শত্রু তোমার ছদ্মবেশী মা।পর হইবে আপন যেদিন শত্রু পাবে ছারা সেদিন,শত রক্ষি থাকলেও পাহারায়।আপন হয়ে জাবে পর বশবতি মায়ার উপর।হোকনা যতো প্রিয় তোমার।আপন সেদিন হবে তোমার জিবন সাথী মহিমাময়।ভুল বুঝোনা কোনকিছুর কারন অকারনে তার।
তখন আমি মায়া কে বললাম কিছু বুঝেছো আমি কিন্ত প্রথমের দিকের সব কথা বুঝতে পেরেগেছি।তখন মায়া বললো আমিও কিছুটা বুঝেছি তবে তুমি কি বুঝেছো।পাতাল দেশে একটা ঘর আছে সেখানে জেতে হবে এবং কোন কিছুর শুর দিতে হবে।তার পর এই শয়তানটাকে বদ করার জন্য কিছু একটা জেগে উঠবে।যা দিয়ে শয়তানটাকে বদ করা যাবে।
তখন মায়া বললো আমি পরের টা যা বুঝেছি তুমিও কী তাই বুঝেছো।আমি বললাম তুমি বুঝেছো।মায়া,এখানে লেখা আছে পরকে করিও বিশ্বাস আপনকে না,আগে তুমি ছিলে আমার পর তোমাকে তখন বিশ্বাস করতে বলেছে কিন্ত আমার আপন জনকে না।সবচেয়ে বড় শয়তান তোমার সন্দবেশি মা।পর সেদিন হবে তোমার জীবন সাথী মহিমায়,ভুল বুঝোনা তাকে তুমি কারন বা অকারনে।মানে হলো তুমি সেদিন আমার এই দুনিয়াতে জীবন সাথী হয়েছিলে।এবং তোমাকে কোন ভাবেই ভুলবুঝা জাবেনা।
তখন আমি বললাম সবিতো বুঝলাম কিন্ত পাতাল পুরিতে যাবো কি করে।এই কথা যখন আমি মায়াকে বললাম তখনি কাগজের রং টা বদলে গেলো।আর কিছু লেখা চলে আসলো তাহলো।শক্ত করে ধরে আমায়,দুইজনের হাত রেখে এক জাগা,বলবে মনে মনে জাবো পাতাল পুরে।
এর পর মায়া বললো এত দিন যাকে মা জানতাম সে আসলে আমার মা না তাহলে আমার মা কোথায়।এবং সে আমাকে এতদিনে মেরে কেনো ফেললো না।তখনি আমাদের ঘরে আম্মা আসলো এবং বললো তোদের এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিতেছি।তখন মায়া বললো মা তুমি এখন এখানে।আম্মা বললো কিসের মা আমি তোর বা কারো মা না।মায়া,তাহলে কে তুমি আর আমার মা কোথায়া।আম্মা,আমি হলো এই অন্ধকার জগতের রানি আর যাকে এতদিন তোরা আটকিয়ে রেখেছিলি সে আমার রাজা মানে এই অন্ধকার জগতের রাজা।
আর তোর বাবা মাকে তো আমি কবেই মেরে ফেলেছি।এমন কি তোর দাদুকেও আমি মেরেছি।তখন মায়া বললো তাহলে আমাকে বাচিয়ে রেখেছিলে কেনো।শয়তান বললো কারন তোকে যদি আমি মেরে ফেলতাম তাহলে আমি আমার রাজাকে ছারাতে পারতাম না।এর কারন হলো তোর যেদি বিয়ে হবে এবং কারো সাথে মিলোন হবে তখন এই কারাগার দুরবল হয়ে পরবে।আর তখন যদি কোন জ্বীন সেই কারাগারের দরোজা খুলে দেয় তাহলেই ও ছারা পাবে।আর এই কারনেই আমি ফারুককে বশ করে নিয়েছিলাম যাতে ও গেট খুলে দিতে পারে।তাহলে ওকে তুমি মারলে কেনো কি ক্ষতি করেছিলো ও তোমার।আম্মা বললো কোন ক্ষতি করেনি কিন্তু করতে চেয়েছিলো,আর তখন ও যাকিছু বলেছিলো সব আমি বলিয়েছিলাম।বলতে বলতে যখন দেখলাম ওর বশ কেটে যাচ্ছে তখনি ভাবলাম ওরতো কাজ শেষ তাহলে আর ওকে বাচিয়ে রেখে কি করবো।
এখন আমি তোদেরকে মারবো দেখি কে তোদের বাচায়।তার পর তোদের রক্ত পান করে আমি আরো শক্তি ধর হবো।তখন মায়া বললো এই জিবনে তোর আর এই ইচ্ছার পুরোন হলোনা।এই কথা বলে মায়া আমার এক হাত শক্ত করে ধরলো।তার পর যা হলো....
তা জানতে হলে পরের পর্ব জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
(চলবে)
ভুলগুকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।কেমন হচ্ছে জানাবেন সবার মতামত আশা করছি।