আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী-রাব্বি (পর্ব-৩)

Estimated read time: 5 min
গল্পঃ অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী
লেখকঃ রাব্বি
পর্বঃ ৩



তার পর সকালের নাস্তা করার পর আমি ও মায়া এই রাজ্য দেখতে বের হলাম।আর আমাদের সাথে ওদের সেনাপতি আসলো।আমরা সব ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম।সন্ধার সময় মহলে ফিরে আসলাম।
তখন আমি মায়াকে বললাম ফ্রেশ হয়ে আমার সাথে একবার দেখা করো কিছু কথা জানার আছে।মায়া,আচ্ছা আমি একটু পরে আসতেছি।তারপর মায়া চলেগেলো।আর আমি আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বসে আছি।প্রায় আধা ঘন্টা পর মায়া কিছু ফল ও মিষ্টি নিয়ে আমার রুমে আসলো।এবং বললো সারা দিন অনেক ঘুরা ঘুরি হয়েছে যার কারনে শরীরটা ক্লান্ত হয়েছে।এখন এগুলো খাও শরীরে কিছুটা শক্তি ফিরে পাবে।তার পর আমি ও মায়া এগুলো খেতে খেতে কথা বলতে থাকি।
তখন আমি মায়াকে জিগাস করলাম।আচ্ছা তুমি আমাকে এই রাজ্যের সব কিছু দেখিয়েছো এবং তার সমন্ধে সব কিছু বলেছো।কিন্ত একটা ঘরের সামনে দিয়ে চলে আসলে এবং সেটা আমাকে দেখালে না ও তার বিষয়ে কিছু বললেও না।এর কারনটা কি আমি জানতে পারি।মায়া, কোন ঘর আমি বুঝতে পারছিনা।আমি,যেই ঘরের সামনে অনেক গুলো প্রহরী পাহারা দিতেছিলো।মায়া ও এই কথা আমি তোমাকে এটার কথাই এখন বলতেই চাইছিলা।

আসলে ওই ঘরে থাকে অন্ধকার জগতের শয়তান।তখন আমি বললাম কি বলছো তুমি।আমি কি এর বিষয়ে সব জানতে পারি।মায় বললো আমি তোমাকে বলবোনা এমন হতে পারে।শুনো তাহলে ওর কথা আমি ওর বিষয়ে আমার দাদুর কাছ থেকে যেতোটুক শুনেছি তাই বলছি।এর শুরুটা হয় অনে বছর আগে বা হাজার হাজার বছর আগে।এই শয়তান দুনিয়া আক্রমন করে।তখন সারা দুনিয়া অন্ধকারে ঢেকে যায়।কোথায় কোন আলো ছিলোনা।ছিলো সুধ অন্ধকার আর অন্ধকার।তখন ও মানুষ পশুপাকি যা সব কিছু ধিরে ধিরে খেয়ে ফেলতে থাকে।কিন্ত কোন ভাবেই ওকে মারা বা আটকানো যাচ্ছেনা।কারন ওকে মারতে হলে দুনিয়ার সব বা প্রতিটা জাগায় অন্ধকার সরিয়ে আলোকিত করতে হবে।যা কোন দিন কোন ভাবেই সম্ভব  না।তাই এক কথায় বলতে গেলে ওকে চির অমর  বলাই যায়।তখন আমি বললাম তাহলে ওকে আটকালো কি করে।মায়া বললো ওকে মারা যায়না ঠিক কিন্ত ওকে বশ করা যায়।যা কোন একটা উপায়ে আমাদের পূর্ব পুরুষরা করে ছিলো এবং এই দুনিয়াকে ধংশের হাত থেকে বাচিয়ে ছিলো।কিন্ত এখন যদি ও কোন ভাবে মুক্তি পায় তাহলে ও সবকিছু শেষ করে দিবে।তখন আমি বললা আল্লাহ যেনো এমন না করে সেই দুয়া করি।মায়া বলল ঠিক বলেছো তুমি।তখন আম্মা মানে মায়ার মা আমাদের রাতের খাবার খাওয়া জন্য ডাকতেছে।তখন আমি ও মায়া খাবার রুমে চলে আছি 
তার পর খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর আম্মা বললো দেখো বাবা তুমি ও মায়া যখন একি অপরকে ভালোবাসো।সেই কারনে আমি চাই তোমাদের দুইজনের চার হাত এক করেদিতে।তখন মায়া আম্মার এই কথা শুনে লজ্জা পেয়ে রুম থেকে চলে গেল।এর পর আম্মা বললো তুমি যদি বলো তাহলে কাল সকালে আমি তোমার আব্বু আম্মুকে আনতে লোক পাঠাবো।আর আমি চাই বিয়েটা এই খানেই হোক কি বলো বাবা তুমি।তখন আমি বললাম,আপনারা আমাদের গুরুজন আপনারা যা ভালো মনে করবেন আমি সেটাতেই রাজি।আমার কোন আপত্তি নাই।
তখন আম্মা বললো,ঠিক আছে তাহলে কাল সকালেই তোমার বাবা মাকে এইখানে নিয়ে আসবো।তার পর আমি সেখান থেকে মায়ার রুমে চলে আসলাম এবং দেখলাম মায়া দারিয়ে কিছু একটা ভাবছে এবং মিটি মিটি হাসতেছে।তখন আমি মায়ার পিছন থেকে ওকে জরিয়ে ধরলাম এবং বললাম আমার বৌটা একা একা কি ভাবছে তা কি আমি জানতে পারি।তখন মায়া বললো কি বলো এসব আমার বুঝি লজ্জা লাগেনা।তাই নাকি তোমার লজ্জা লাগছে।তাহলে আমাকে একটা কিস করো সব লজ্জা চলে যাবে।মায়া,আমি পারবোনা ছারো আমাকে।
আমি,তোমাকে পারতে হবেনা এটা বলে আমি ওর ঠোঁটে কিস করি এবং কত খন যে এই ভাবে ছিলাম জানিনা।হটাং মায়ার একজন বান্ধবী এসে বললো আরে আমার বান্ধবী টাতো মরে জাবে এখনতো ওকে ছারেন দুলাভাই।তখন আমরা স্বাভাবিক হলাম।ওর বান্ধবী তখন বললো আজ বাদে কাল বিয়ে আর এই দুইদিন সজ্জ করতে পারছেন না।এই কথা শুনে আমি কিছুটা লজ্জা পেয়ে মায়ার রুম থেকে বের হয়ে আমার রুমে চলে আসি।পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাবা মা সবাই এখানে চলে এসেছে।তখন মা আমাকে বললো কি এখানে এসেতো আমাদের কথা ভুলেই গেছিস।আমি,কিযে বলো আমি কী তোমাদের ভুলতে পারি।মা,হয়ছে আর বলতে হবেনা তা দেখলামিতো এই কয়দিনে।তখন আম্মা এসে আব্বু ও আম্মুকে ডেকে নিয়ে গেলে।

(কয়েকদিন পর)

আজ আমাদের বিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে আনন্দ উৎসব হচ্ছে।অনেক বড় আয়োজন করেছে আম্মা মায়া ও আমার বিয়ের জন্য।ভালো ভাবেই আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলে।আজ আমাদের বাসর রাত, আমি রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে মায়ার সব বান্ধবীরা চলে গেলে।আজ মায়াকে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।তখন মায়া আমাকে সালাম করলো।তখন আমি ওকে আমার বুকে টেনে নিলাম এবং বললাম তোমার স্থান ওখানে না আমার বুকে।এটা বলে ওকে জরিয়ে ধরি এবং বলি এখনো কি তোমার লজ্জা করছে।তখন মায়া বললো হ্যা করছে।আমি, ঠিক আছে আজ রাতে আমি তোমার সব লজ্জা ভেঙ্গে দেবো

এর পর আমি মায়াকে কিস করতে শুরু করি।এবং ধিরে ধিরে আমরা একি অন্যের সাথে মিশে যেতে থাকি।আমরা দুইজন ভালোবাসার দুনিয়া হারিয়ে যেতে থাকি।আজ দুইটি আত্মা যেনো এক হয়ে গেছে।আমরা দুইজন ভালোবাসা সাগরে ভাচ্ছি।এই ভাবেই চলতে থাকলো আমাদেরকে বাসর রাত।

রাত তখন প্রায় অনেক একটা কি দুইটা হবে তখন বাইরে থেকে অনেক চেচা মেচির আওয়াজ শুনতে পেলাম মনেহয় খুব বড় একটা ঝামেলা হয়েছে।যখন আমি উঠতে যাবো তখন দেখলা মায়া আমার বুকে উপরে মাথা দিয়ে নিস্পাপ শিশুর মতো ঘুমিয়ে আছে।এটা দেখে আমি ওকে আর ডাক দিলাম না। আস্তে করে ওর মাথাটা বালিশের উপরে নামিয়ে দিয়ে আমি বাহিরে আসলাম।তখনি কিছু প্রহরি এসে আমাকে বললো বাহিরে জাবেননা বাহিরে বিপদ আছে।আমি বললাম কিসের বিপদ কি হয়েছে তোমাদের তোমরা এত ভয় পাচ্ছো কেনো।কখন যে মায়া এসে আমার পিছে দারিয়েছে বুঝতেই পারিনাই।তখন মায়া বলল কি হয়েছে বাইরে সবাই এত চেচাঁমেচি করছে কেনো।তখন আম্মা আসলো এবং বললো।অন্ধকার জগতের শয়তান মুক্ত হয়ে গেছে।
তখন মায়া বললো কি বলছো মা ও কি করে মুক্ত হলো আর এখন কোথায় গেছে।
আম্মা বললো জানিনা তবে নিচের দিকে যেতে দেখেছি গ।
তখন আমি বললাম তাহলেতো ও পৃথিবীটাকে শেষ করে দিবে।এখন ওকে আটকাবো কি করে।
এমন সময় ফারুক আসলো ফরুক হলো মায়াদের সেনাপতির ছেলে।ও বললো তোমরা ভাবছো ও কি করে ছারা পেল তাইনা।তাহলে শুনো আমি ওকে ছেরে দিয়েছো।
তখন আম্মা বলল তুই এমন কেনো করলি তুই জানিশ না সেই শয়তানটা কত ভয়ানক হতে পারে তাহলে এমন কেনো করলি।ফারুক বললো আমি অনেক ছোট থেকে মায়াকে পছন্দ করি এবং ওকে অনেক ভালোবাসি কিন্ত মায়াকে কখনো বলার সাহস হয়নি।কারন সে একজন রাজকন্যা আর আমি সামান্য সেনাপতির ছেলে মাত্র।যদিও সাহস করে বলতাম তার পরেও হয়তো আমাকে মেনে নিতেন না বা ছোট মুখে বড় কথা বলার কারনে আমার হয়তো মৃত্যুদন্ড দিতেন তাই না।আর মায়া যখন আমার হবে না তাহলে আর কারো হতেও দিবোনা।আর আমিতো কিছু করতে পারবোনা তাই এই শয়তানটাকে ছেরে দিয়েছি।তখন আম্মা প্রহরীদের বললো ফারুককে কারগারে বন্ধি করতে।প্রহরীরা যখন ফারুক কে ধরতে যাবে।তখন ফারুক বললো দারাও আমাকে ধরে আর কি করবে আমিতো এখন মরেই জাবো কিন্ত তোমাদের কি হবে সেটা একবার ভাবো।এই কথা বলে ফারুক মাটিতে লুটে পরলো।এবং ধিরে ধিরে ওর সারা দেহ নিল হতে লাগলো।এর মানে ফারুক বিষ খেয়েছে।তার পর....

(চলবে)


ভুল গুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
কেমন হলো জানাবেন।
আপনার মুল্যবান সময়দিয়ে গল্পটা পরার জন্য ধন্যবাদ

إرسال تعليق

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.