গল্পঃ অন্ধকার জগতের শয়তান ও পরী
লেখকঃ রাব্বি
পর্বঃ ২
এর পর আমি বাঁশি বাজাতে থাকি আর মায়া তা শুনতে থাকে।এই ভাবেই চলতে থাকে আমাদের দিন গুলো।আস্তে আস্তে আমরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই।কিন্ত আমি মায়াকে কখন যে আমার মনের অজান্তে ভালোবেসে ভেলেছি তা বুঝতেই পারিনি।
কিন্ত ওকে বলতে পারিনা যে মায়া আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমার জিবনের থেকে বেশি।কারন ভয় হয় যদি আমাদের এতদিনের বন্ধুক্তটা নষ্ট হয়ে যায়।মায়া যদি আমাকে ভুল বুঝে চিরদিনের মতো চলে যায়।এই কারনে আমি মায়াকে কিছু বলতে পারিনা।
আজও প্রতিদিনের মতো আমি বাঁশি বাজাচ্ছি আর মায়া তা শুনছে।হটাৎ মায়া আমাকে বললো আচ্ছা রাব্বি তুমি আমাকে এতো ভালোবাসো তাহলে আমাকে নিজের মুখে বলোনা কেনো।মায়ার এই কথা শুনে আমি হতভাগ হয়ে গেছি।বুঝতে পারছিনা ওকে কি বলবো।বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
তখন মায়া আমাকে বললো কি হলো কথা বলো না কেন।না মানে,তুমি কি করে জানলে আমিতো কোনদিন তোমাকে বলিনাই।বা এমন কোন ব্যবহার করিনি যা থেকে তুমি বুঝতে পারবে।তখন মায়া বললো,আমি মনের কথা বুঝতে পারি।এখন বলোতো এত দিন আমাকে বলো নি কেনো।তুমিনা মনের কথা বুঝতে পারো তাহলে এটা বুঝতে পারছোনা।মায়া,পারি কিন্ত আমার সামনে বা আশেপাশে যারা মনে মনে কিছু ভাবে তাদের কথা।ও,আমি আসলে বলতে ভয় পাচ্ছিলাম কারন তুমি যদি আমাকে ছেরে চলে যাও তাই।মায়া,তুমি যদি আমার মতো মনের কথা বুঝতে পারতে তাহলে আর এমন করে ভয় পেতেনা।
আমি তোমার কথার মানে বুঝলাম না।তখন মায়া বললো মানে হলো আমিও তোমাকে ভালোবাসি কিন্ত আমিও বলতে পারছিলাম না।এই কথা শুনে তখন আমি যে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।আমার মাথা কাজ করছেনা খুশিতে মায়াকে জরিয়ে ধরলাম।মায়াও আমাকে কিছু খন পরে জরিয়ে ধরলো।কতখন যে আমরা এই ভাবে দুইজন দুজজনকে জরিয়ে ধরেছিলা জানিনা।হটাৎ মার ডাকে আমার হুশ ফিরলো।মা বলছে কিরে এত অন্ধকারের মধ্যে ছাদে কি করছিস।তখন আমি মাকে বললাম না মানে তুমি কী আমার পাশে কাওকে দেখতে পাচ্ছোনা।
মা বললো কি আবুতাবুল বলছিস এখানেতো সুধু তুই আর আমিই আছি আরতো কেও নাই।তখন মায়া আমাকে বললো আমি দেখা না দিলে আমাকে কেও দেখতে পারবেনা।তখন আমি বললাম এ আমার মা তুমি তাকে দেখা দেও।তারপর মা মায়াকে দেখে বললো কে এই মেয়ে এত সুন্দর।তখন আমি বললা ওর নাম মায়া ও পরী রাজ্যের রাজকন্যা।এবং মাকে প্রথম থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যা যা হয়েছে সব খুলে বললাম।
এর পর মা আমাকে বললো আচ্ছা তোরা কথা বল আমি যাই।তার পর আমি ও মায়া কথা বলতে থাকি।তখন মায়া আমাকে বললো তুমি আমাদের রাজ্যে যাবা।তখন আমি বললা যেতেতো ইচ্ছা হয় যে জ্বীন পরীর রাজ্য দেখবো।মায়া,আচ্ছা তুমি কাল রাতে রেডি থেকো আমি তোমাকে নিতে আসবো।তখন আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।তার পর মায়া আমাকে বললো আমাকে এখন যেতে হবে।আমি,এখনি চলে যাবে আরেকটু সময় থাকোনা আমার কাছে।মায়া,না সোনা আমার এখনি যেতে হবে।তার পর মায়া আমাকে জরিয়ে ধরে একটা কিস করলো।তখন আমার মনে হচ্ছিলো যে আমি এই দুনিয়া নাই।বেস কিছু সময় পর মায়া আমাকে ছেরে দিয়ে ও চলে গেলো।তার পর আমি ঘরে এসে সুধু মায়ার কথা ভাবতে থাকি।কখন যে মায়া আসবে এবং আমাকে নিয়ে যাবে ওদের রাজ্যে।দেখতে দেখতে রাত ফুরিয়ে দিন হলো,এবং দিন গরিয়ে সন্ধা হয়ে গেলো।আমি আব্বু আম্মুকে বলে রেডি হয়ে থাকলাম।রাত প্রায় ১০:৩০মিনিটের সময় মায়া আসলো।এবং আমাকে বললো আমার হাত ধরো।
তখন আমি বললাম কেনো হাত না ধরে তোমাকে জরিয়ে ধরলে হয়না।তখন মায়া বললো সবসময় খালি দুষ্টামি করতে মন চায় না।আমি,কেনো চাইবেনা এত সুন্দর একটা পরী সামনে দারিয়ে থাকলে কার না এমন চিন্তা আসবে।মায়া আচ্ছা ঠিক আছে আর লেকচার দিতে হবেনা।আমাকে জরিয়ে ধরো, শক্ত করে ধরবে কিন্ত।আমি, আচ্ছা ঠিক আছে,এই কথা বললে আমি মায়াকে জরিয়ে ধরি।তার পর এক পলোকেই আমরা রাজ্যে চলে আসি।আমাদের দেখে সবাই সম্মানোনা জানাচ্ছে।আর মহল পর্যন্ত ফুলের পাপরি দিয়ে রাস্তা বানানো।কিছুটা সামনে যাবার পর একজন বৃদ্ধ মহিল আমার সামন্নে এসে দারালো।তখন মায়া আমাকে বললো ইনি হলেন আমার মা এই কথা শুনা মাত্র আমি তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলাম।তখন মায়ার, মা আমাকে বললো বেচে থেকো বাবা বেচে থেকে।তুমি কিন্ত আমাকে আম্মা বলতে পারে।তখন আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আম্মা।তখন আমি মনে মনে ভাবতে থাকলাম এর মানে সবাই আমার ও মায়াে কে মেনে নিয়েছে।তখন আম্মা আমাকে বললো ভিতেরে চলো এর পর আমরা প্রাসাদের ভিতরে গেলাম।তখন মায়া আমাকে বললো এখন ফ্রেশ হয়ে নেও এবং আমাকে ওয়াসরুম দেখিয়ে দিলো।তার পর আমরা সবাই রাতের খাবার শেষ করে একটা রুমে তিন জন বসে নানান কথা বার্তা বলতে থাকি।বেশ কিছু সময় পর আম্মা আমাকে বললো এখন ঘুমাও কাল সকালে এই রাজ্যটা ঘুরে দেখো কেমন লাগে।এর পর আম্মা চলে গেলে আর মায়া আমার কাছে এসে আমাকে একটা কিস দিয়ে চলেগেলো।সকাল হলো তার পর আমি ফ্রেশ হয়ে....?
(চলবে)