আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

ভয়ংকর রহস্য (পর্ব ০৫) - Nayeem Chowdhori

নাইম বুঝতে পারলো না কি হচ্ছে । নাইম আর মুগ্ধ দুইজনের পিছনে দৌড়াতে লাগল । নাইম আর মুগ্ধ একটু আগে দৌড়াতে দৌড়াতে জিসান দের বাড়িতে আসার কারণে এখন.....
ভয়ংকর রহস্য (পর্ব ০৫) - Nayeem Chowdhori
ভয়ংকর রহস্য (পর্ব ০৫) - Nayeem Chowdhori


ভয়ংকর রহস্য
পর্ব ৫
লেখকঃ Nayeem Chowdhori


৪র্থ পর্বের পর থেকেঃ
নাইম পাশেই তাকাতে দেখে কোন মানুষ নেই । মুগ্ধ একটা চিৎকার দিয়ে তার বাইকের কাছে গেল দেখলো বাইক মাটিতে পড়ে আছে । নাইম ভয়ে ভয়ে বাইকটা তুলে স্টাট দিল বাইক । নাইম এতটাই ভয় পেয়েছে যে নাঈমের কপাল বেয়ে ঘাম পড়ছে । এই সময়ে নাইম কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে নাহ 

নাইম নিজের ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখলো কোন নেটওয়ার্ক নাই । নাইম চিন্তায় পড়ে গেল । নাইম জঙ্গলের কাছে আসতেই ওর বার বার মনে হচ্ছে ওর পিছনে কেউ বসে আছে কিন্তু নাইম বাইকের আয়নায় দেখে কেউ নাই ।

নাইম অনেক ভয়ে ভয়ে বাইক চালাতে থাকে । নাইম কিছুদূর যেতেই ওর মনে হয় কেউ পিছন থেকে তাঁকে ডাকছে । নাইম পিছনে ঘুরতেই দেখে কেউ নাই তাই নাইম যখনই সামনে তাকাই দেখে একটা চাদর পড়া লোক লাঠি ভর করে যাচ্ছে , নাইম সেই লোকটাকে বাঁচাতে বাইকে সজোরে ব্রেক কষতেই সেখানে পড়ে গেল বাইক নিয়ে ।

বাইকের স্পিড তেমন না থাকায় নাইম হাল্কা কিছুদূর ছেছড়ে গেল । বাইক এক জায়গা পড়ল আর নাইম ছিট্টে গিয়ে আরেক জায়গায় পড়ল । নাঈমের তাড়াতাড়ি উঠতেই দেখে তার হাত আর পা অনেক খানি ছিলে গেছে । হাত আর পা থেকে অনেক রক্ত ওহ পড়ছে সেদিকে কোন খেয়াল না করে লোকটার দিকে তাকাতেই দেখে লোকটা এখনো একটা জায়গায়ই লাঠি ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ।

নাইম দূর থেকে দেখলে লোকটার গায়ে অনেক বড় বড় চুল আর দাড়ি , একটা চাদরে আবদ্ধ করে রেখেছে সে আর একটা অদ্ভুত ধরনের লাঠি নিয়ে ভর করে আছে সে । নাইম এক এক এগিয়ে যেতেই শুনতে পাই কিছু কথা । নাইম লোকটার কাছে খোড়াতে খোড়াতে গেল দেখলো লোকটা একটা কথাই বার বার বলছে ,,,,কেউ বাঁচবে না ওদের দুইজনের পাপের ফল ওহ পেতে হবেই ...

নাইম বুঝতে পারলো না লোকটা এই কথা কেন বলছে । নাইম লক্ষ্য করলো লোকটার বাম হাতে একটা বই । নাইম লোকটাকে বলল ,,,কোন দুইজনের কথা বলছেন আপনি ! লোকটা বলল ,,,সেই দুইজন যারা মেয়েদের ধর্ষণ করে ব্রিজের নিচে মাটি চাপা দিয়ে রাখে ।

নাইম একটু অবাক হলো । নাইম আবার বলল ,,,কোন দুইজনের কথা বলছেন আমাকে তাদের নামটা বলেন পিল্জ । হঠাৎ লোকটা নাঈমের পিছনে একটা ছায়া দেখতে পেল । লোকটার চোখ অনেক বড় বড় হয়ে গেল । নাইম বিষয়টা লক্ষ্য করতেই পিছনে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই । নাইম আবার যখন সামনে তাকালো তখন দেখলো সেখানেও কেউ নেই ।

এবার নাইম সত্যি সত্যি অনেক ভয় পেলো । নাইম সেখান থেকে দৌড়াতে লাগল সামনের দিকে । নাইম অনেক জোড়ে দৌড়াচ্ছে । দৌড়াতে দৌড়াতে নাইম রহমান দের বাড়ির সামনে আসতেই দেখল মুগ্ধ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ।

নাইম দৌড়ে গিয়ে সেখানেই বসে পড়ল । মুগ্ধ দেখলো নাঈমের শরীর বেয়ে অনেক ঘাম ঝড়িয়ে পড়ছে । মুগ্ধ কোন কথা না বলে রহমান দের বাড়ির ভেতর থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসল । পানির গ্লাস নাঈমের সামনে ধরতেই নাইম পানির গ্লাস নিয়ে পানি খেতে লাগল ।

মুগ্ধ বলতে লাগলো ,,,কি হয়েছে তোর আর আমাকে একা রেখে কোথায় গেছেলি তুই ,আর আমাদের বাইক টা কোথায় ? সবগুলো প্রশ্ন একসাথে করলো নাইম একটু দম নিয়ে বলতে লাগলো ,,,,ওইসব পড়ে একদিন বলবো কিন্তু তার আগে বল এই পাঁচজন বন্ধুদের ভেতর আর বেঁচে আছে কয়জন ?

মুগ্ধ বললো ,,আর দুইজন বেঁচে আছে কিন্তু তারা দুইজন জিসান দের বাসায় ? নাইম বুঝতে পারলো লোকটা এই দুইজনের কথাই বলছিলো তারমানে এই দুইজনের মৃত্যু খুবই তাড়াতাড়ি হতে যাচ্ছে ? নাইম একটু ভেবে মুগ্ধ কেন বলল ,, তাড়াতাড়ি তাদের বাসায় চল নাহলে আমরা কিছুতেই তাঁদেরকে বাঁচাতে পারবো নাহ ।

মুগ্ধ বুঝতে পারলো নাইম কিছু একটা ভেবে ফেলেছে । মুগ্ধ আর নাইম জিসান দের বাড়ির দিকে রওনা দিল । ঘড়ির কাঁটা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আর নাইম আর মুগ্ধ ওহ জিসান দের বাড়ির দিকে দৌড়াতে লাগল । রাত তখন আনুমানিক ২:০০

নাইম আর মুগ্ধর চোখে অনেক ঘুম । তারা কোন রকম জিসান দের বাসায় চিনতে পারলো । রহমানের আম্মা তখন মুগ্ধ কেন বুঝিয়ে বলেছিল যে জিসান দের বাঁডি কোথায় । নাইম আর মুগ্ধ দরজার কাছে গিয়ে কড়া নাড়তেই ভেতর থেকে একজন বলতে লাগলো,,,,কে কে ?

নাইম স্পষ্ট বুঝতে পারলো ভেতরে যে আছে সে খুব ভয় পাচ্ছে । নাইম বলতে লাগলো ,,ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই আমরা দুইজন পাশের গ্রামের তাত্ত্বিক আমরা এসেছি তোমাদের দুইজন কে বাঁচাতে ।

এটা বলতে সাথে সাথে দরজা খুলল একজন এসে । নাইম দেখলো ভেতরে কোন লাইট নেই । নাইম আর মুগ্ধ ভেতরে প্রবেশ করল । অন্ধকার তবুও একটু একটু বুঝা যাচ্ছে যে দুইজন ছেলে বিছানার কাছে বসে আছে । তাদের ভেতর জিসান উঠে রুমের লাইট দিতেই অনেক ভয় পেয়ে গেল । রহমান ওহ ভয়ে চিৎকার করে বাইরের দিকে দৌড়াতে লাগল । তার দেখাদেখি জিসান ওহ এতটা ভয় পেল যে ভয়ে দৌড়াতে লাগল ।

নাইম বুঝতে পারলো না কি হচ্ছে । নাইম আর মুগ্ধ দুইজনের পিছনে দৌড়াতে লাগল । নাইম আর মুগ্ধ একটু আগে দৌড়াতে দৌড়াতে জিসান দের বাড়িতে আসার কারণে এখন তেমন দৌড়াতে পারলো না কিন্তু তারা দূর থেকে দেখলো জিসান আর রহমান জঙ্গলের দিকে ভয়ে দৌড়াচ্ছে !

নাইম একটু ভয় পেয়ে গেল কারণ এখন যদি জিসান আর রহমান না থামে তাইলে তাদের জীবনটাই ইসরাত থামিয়ে দিবে । নাইম একটু জোরে দৌড়াতে লাগল মুগ্ধ শ্বাসকষ্ট থাকার কারণে মুগ্ধ সেখানে থামিয়ে বসে পড়ল মাঝ রাস্তার । নাইম অনেক হাঁপিয়ে গেল তাই একটু থামলো ।

নাইম আর মুগ্ধ একটু পর আবার দৌড়াতে লাগল । সামনে যেতেই দেখলো জঙ্গলের ভেতর থেকে কে জেন চিৎকার করছে নাইম আর মুগ্ধ যেতেই দেখে ইসরাতের হাতে রহমানের মাথাটা ঝুলছে আর তার সামনে সেই ছোট বাচ্চা টা জিসানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।

নাইম দৌড়ে গেল জিসানের সামনে । নাইমকে জিসানের সামনে দেখতেই ছোট ছোট বাচ্চা টা বলতে লাগলো ,,, ভাইয়া আপনি এখান থেকে চলে যান ? নাইম কড়া ভাবে বলে দিল ,,,না আমি কোথাও যাব না তুই এখান থেকে যা ?

নাঈমের তুই বলাতে পাশ থেকে ইসরাত রহমানের মাথাটা দিয়ে ছুড়ে মারলো । নাইম সেটা দেখতে না পেয়ে মাথাটারে সাথে একটা ধাক্কা খেল । মাথাটা সোজা এসে নাঈমের কপালে লাগাতে ভ্রু ওইখানে ফেটে গিয়ে রক্ত পড়তে লাগলো ।

নাইম মাথা তুলে বলতে লাগলো ,,, আপনি বড়ই অদ্ভুত কাউকে আঘাত করতে দ্বিতীয় বার ভাববেন ওহ না ! দূর থেকে ইসরাত চোখ দুইটা একটু বড় করে তাকালো । নাইম আবার বললো ,,,,আঘাত টা ছোট হলেও অনেক বড় যাইহোক জিসান কে মারার আগে যদি আমাকে মারতে পারেন তাইলে আপনি আপনার ভয়ংকর খেলা শুরু করতে পারেন !

পাশ থেকে মুগ্ধ কিন্তু বলতে চায়ছিল কিন্তু নাইম হাত দিয়ে না করে দেই । সেই ছোট ছেলেটা বলতে লাগলো ,,,ভাইয়া কেন একটা কুকুরের বা*চ্চার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করছো তুঊখি জানো এরা কতটা খারাপ !

নাইম একটু ভেবে বলতে লাগলো ,,, আচ্ছা আপনাদের দুইজনের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে বলবেন অনন্ত আপনি বলেন মিস ইসরাত জাহান যে আপনি কি জন্য আজকে এখানে আর কি জন্যই বা এভাবে নিরিহ মানুষের প্রাণ নিচ্ছেন আপনি ..!

ইসরাত বলতে লাগলো,,,,হুম নিরিহ তাইলে শুনেন এই নিরিহ পাঁচজন বন্ধুর কথা .....


ঘটনা"""
আমি তখন ক্লাস ১০ এ এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম । আমাদের স্কুলেই ছিলো পাঁচজন ছেলে যারা খুব ভালো ছিল সোহাগ , সজিব , রহমান, জিসান , রকি । তারা আমার সাথে বন্ধুত্ব করাতে আমি ওহ ক্লাসমেট হিসেবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করি । তাদের সাথে আমি স্কুলে গিয়ে অনেক আড্ডা দিতাম । ওরা পাঁচজন সিগারেট খেত আমি এইটা জানতাম শুধু । আমার বাবা মা না থাকায় আমি চাচার বাড়ীতে মানুষ হয় তাই প্রায় সময় ওদের সাথে কথা বলতাম । কিন্তু একদিন আমি আমার একটা বান্ধবীর থেকে শুনতে পারি গ্রামে তিনটা মেয়ে নিখোঁজ আর তিনজন মেয়েই এই স্কুলের ছিল । আরো জানতে পারি তাদের কে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে তারপর মেরে ফেলা হয়েছে । একদিন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সাদিয়া রাতের অন্ধকারে গিয়েছিল কাছের এক ফার্মাসিতে ওষুধ কিনতে । কিন্তু যাওয়ার সময় দেখতে পায় গ্রামের ভেতরে পুরনো একটা বাড়ির ভেতর ঢুকছে আমার পাঁচজন বন্ধু কিন্তু তাদের সাথে একটা মেয়ে ছিল যার মুখে কাপড় বাঁধা ছিল দেখে মনে হচ্ছে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে । তখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সাদিয়া আমাকে ফোন দিয়ে সব বলাতে আমি বিশ্বাস করি না তাই রাতের আঁধারেই দৌড়ে যায় আমি । তারপর আমি আর সাদিয়া সেই পুরাতন বাড়িতে ঢুকে দেখি ওরা পাঁচজন নেশা করছে আর পাশেই পড়ে রয়েছে একটা মেয়ের উলঙ্গ দেহ । আমি এইটা দেখে সহ্য করতে না পেরে গিয়ে ওদের পাঁচজন কে পাঁচটা থাপ্পড় মারি । কিন্তু ওরা আরো রেগে গিয়ে সেই বাড়িটার দরজা বন্ধ করে দেই , তারপর আমাকে আর সাদিয়াকে অনেক মারধর করতে থাকে । আমার ওরনা ধরে টান দিলেই আমি ওদের মুখে থুথু ছুড়ে মারি কিন্তু ওরা রাগে আমাকে সজোরে লাথি মারে যারফলে আমি নিচে পড়ে যায় কিন্তু নিচে একটা খাড়া রড থাকায় ওইটা আমার পেটের ভেতর ঢুকে পড়ে । আমার চোখ বেয়ে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়তেই আমার রুহুটা দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায় ।

কিন্তু ওরা সাদিয়া কে আরো মারধর করতে থাকে তারপর ভয়ে সাদিয়া কেও ওরনা দিয়ে প্যাচ দিয়ে মেরে ফেলে । সেইদিন রাতে একটা বস্তায় আমার আর সাদিয়ার লাশ ভরে নেই তারপর গাড়ি করে নিয়ে যায় পুরান ব্রিজ পার কাছে যেইটা জঙ্গলের ভেতরে ছিল । ঠিক ওই ব্রিজের নিচে ছিল সিফাত মানে এই ছোট ভাই সে সেখানে কিছু খাবার সংগ্রহ করছিল ঠিক তখনই আমাদের লাশ ওই ব্রিজ থেকে ফেলতেই আমরা সোজা গিয়ে সিফাতের উপর গিয়ে পড়ি যার ফলে সিফাতের মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায় আর সিফাত সেখানেই মারা যায় ‌ ।

ওরা একসাথে তিনটা খুন করাতে আরো ঘাবড়ে যায় তাই ওরা আমাদের তিনজনের লাশ জঙ্গলের ভেতর মাটি চাপা দিয়ে দেয় । এই সমাজ বাঁচতে দেই নি আমাদের এই সমাজের সব ছেলেরাই মেয়েদের দেহ লোভি হয়ে থাকে । তাই আমি ফিরে এসেছি এদের পাঁচজন কে ভয়ংকর মৃত্যু দিতে ।

"""""

নাইম লক্ষ্য করলো সেখানের সবার চোখেই পানি । নাইম আরো লক্ষ করলো যে তার চোখ বেয়ে ও পানি পড়ছে । একটু পর ইসরাত বললো,,,, তাইলে আপনি বলেন এদের মতো কু*কু*রে*র বাচ্চা দের কি করা উচিত ।

নাইম জিসান এর কাছে গিয়ে বললো ,,,,, আজকে তোদের মতো কিছু ছেলের জন্য পুরো ছেলে জাতি মেয়েদের কাছে দোষী , শুধু তোদের জন্যই বাঁচতে পারেনি এই সমাজের কিছু মেয়ে , শুধু তোদের মতো ছেলেদের কারণেই এরা পারেনাই একটু স্বাধীন ভাবে চলতে পারেনি একটু দ

সুন্দর করে শ্বাস নিতে ...

নাইম কথাগুলো বলে একটা বড় গাছের শেকড়ের থেকে একটা বড় শেকড়ে তুলে ফেলে বলতে লাগলো,,, আসলেই এই সমাজে ছেলেদের জন্য মেয়েরা বাঁচতে পারে না , তাইলে তোদের ওহ বাঁচার কোন অধিকার নাই ওমন সমাজে !

এটা বলেই নাইম সেই শেকড়ে টা জিসানের গলার ভেতরে ঢুকে দিলো । অনেক রক্ত এসে পড়ল নাঈমের মুখের উপর । সবাই হা করে নাঈমের দিকে তাকিয়ে আছে । রক্তাক্ত দেহ নিয়ে লুটিয়ে পড়ল জিসান । জিসান সেখানেই মারা গেল ।

নাইম বলতে লাগলো ,,,,এই সমাজে যদি প্রত্যেকটা মানুষ তাদের ভাগের এক বিন্দু খাবার সিফাতের মতো কাউকে দিতে তাইলে আর কেউ রাস্তায় থাকতো না , এই পৃথিবীতে যদি সবাই সিগারেট নেশা না করে সিফাতের মতো কাউকে খাবার কিনে দিত তাইলে কেউ রাস্তায় থাকতো না , সবাই খাবার মাটিতে ফেলে দিতে জানে কিন্তু সিফাতের মতো ছেলেকে দিতে পারে না ,, মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে কুকুর বা বিড়াল পোষা বানাচ্ছে কিন্তু সিফাতের মতো ছেলেকে নিয়ে বাঁচার সুযোগ দিচ্ছে না ,

নাইম কিছু বলতেই সিফাত দৌড়ে এসে নাইম কে জড়িয়ে ধরল । সিফাতের চোখে পানি নাইম ওহ্ আজকে অনেক দিন পর কান্না করল । নাইম বললো ,,,, আমার জন্য তুই আজকে একটা আত্না সেইদিন যদি আমি তোকে নিয়ে যেতাম তাইলে তুই আজকে এইখানে দাড়াতি না মাফ করে দিস আমাকে ভাই ।

সিফাত কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো ,,,এই সমাজে যদি তোমার মতো আরো কিছু মানুষ থাকতো তাইলে আমার মতো সিফাত কখনোই রক্ত নিয়ে খেলা করতে না , ভাইয়া আজকে আমি চলে যাচ্ছি কিন্তু তোমার কথা দিতে হবে তুমি এই সমাজে আর কোন সিফাত হতে দিবে না সবাইকে খাবার দিবে আর শিক্ষা গ্রহণ করাবে কথা দেও ভাইয়া ।

নাইম এক ফোঁটা জল গড়িয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,,আমি কথা দিচ্ছি এই সমাজে আর কোন সিফাত তৈরি করতে দিব না সবাইকে নিয়ে আমার বাসায় এসে তাদের কে নতুন গল্পের আলো বানিয়ে দিব ।

কথাগুলো বলতেই সিফাত আস্তে আস্তে চলে গেল । নাইম তাকিয়ে দেখলো ইসরাত এখনো দাঁড়িয়ে আছে ‌ ‌ ‌ । নাইম মুগ্ধ কেন বলল ,,, গ্রামের মানুষ নিয়ে এসে বলল রহস্য শেষ আর জঙ্গলের ভেতর থেকে এদের লাশগুলো বের করে দাফন কাফন কর । মুগ্ধ নাঈমের কথাই চলে গেল .

নাঈম বলতে লাগলো,,, জানেন এই সমাজে শুধু ছেলেদের ই দোষ নেই , যদি এই সমাজে প্রত্যাকটা নারী আল্লাহ কে ভয় করতো ,যদি পর্দা ব্যাবহার করতো তাইলে কোন ছেলেই তাদের দিকে চোখ দিত না ,,, জানেন এই পৃথিবীতে যদি সব মেয়েই পর্দা ব্যাবহার করতো তাইলে কোন পুরুষ ই পারতো না একটা নারীকে দেখে তার ভেতরের দেহ লোভটা সামনে আনতে । আসলে আপনাদের মতো কিছু মেয়ে আছে যারা বেপর্দা হয়ে ঘুরবে আর যখনই কোন ছেলে ধর্ষণ করবে তখন বলবে সব ছেলেরাই দেহ লোভি । আসলে মেয়েরা যদি চাইতো তাইলে ঠিকি পারতো তাদের নিজেদের রক্ষা নিজেরা করতে । আচ্ছা আপনি আগে পর্দা গ্রহণ করতেন না তাইলে এখন কেন পর্দা একটু বলবেন ইসরাত চৌধুরী ।

ইসরাত বলতে লাগলো ,,,, এখন আল্লাহর ভয় করি ? তখন নাইম বলল,,,যদি সেই ভয়টাই আগে করতেন তাইলে কখনোই কেউই আর মরতো না তখন সবাই পর্দা নিয়ে থাকতো আর কোন ছেলেই পারতো না আপনাদের মেয়েদের উপর চোখ দিয়ে শরীর দেখতে , কেউই আর চেষ্টা করতো না কাপড়ের উপর দিয়ে ভেতরের সব কিছু দেখার । আসলে এই সমাজে মেয়েদের জন্যই ছেলেরা খারাপ হচ্ছে । যদি আপনি পর্দা ব্যাবহার করতেন তাইলে এতগুলো বন্ধু ওহ বানাতেন না আর কখনো রাতের আঁধারেই বাইরে বের হতেন না । নাইম এইগুলো বলে সেখানেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল ।

ইসরাত বলতে লাগলো ,,আমি মানছি আমরা মেয়েরা পর্দা না করাই আমরা দোষি কিন্তু আপনি যেটা করতে চেয়েছিলেন আমার সাথে সেটা কি মিষ্টার নাইম চৌধুরী .

নাইম বলতে লাগলো,,,, আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি কিন্তু কখনো পারিনি কথাটা বলতে আমি সবসময় চেয়েছি আমার মতো এতিম ছেলেটাকে কেউ ভালোবাসুক ,কেউ এসে আমাকে এতটা ভালোবাসুক যে আমি মায়ের ভালোবাসা না পাওয়ায় কষ্ট বুঝতে পারি , আমি চেয়েছিলাম আমি ইন্জিনিয়ার হয়ে আপনাকে বিয়ে করবো কিন্তু দেখেন আমার কপালে হয়তো সেই ভাগ্য টাও লিখা নেই । ইসরাত হয়ত নাঈমের ভালোবাসা বুঝতে পারলো।

ইসরাত বলতে লাগলো ,,,, আমার শেষ সময়ে একটু কি দিবেন আপনার হাতটা ধরে এই রাস্তা টুকু হাঁটতে । নাইম চোখের পানি মুছে হাতটা বাড়িয়ে দিল ইসরাতের কাছে । ইসরাত হাতটা শক্ত করে ধরল । নাঈমের অনেক ঠান্ডা লাগছিল ইসরাতের হাত ধরতে তবুও ভালোবাসার মানুষের হাতটা ধরতে পেরে বেশ খুশি হলো । নাঈমের অন্যরকম অনুভূতি হতে লাগলো ।

কিছুদূর যেতেই ইসরাত বিদায় দিয়ে চলে যায় না পেরার দেশে । নাইম আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,,এই শহড়ে প্রতিটা ছেলেমেয়ে যদি আল্লাহ কে ভয় পেত ,যদি সবসময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো তাইলে কেউই ধর্ষণ হতো না । এই শহড়টা নোংরামিতেই সেরা ..




সমাপ্ত ....




বিশেষ দ্রষ্টব্য: ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর কারো কোন প্রশ্ন থাকলে বলতে পারেন । গল্প পড়ে কি কী শিখলেন অবশ্যই বলবেন !....

Post a Comment

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.