এক গুচ্ছ মাধবীলতা- গল্প কন্যা ( পর্ব-১০ ) |
"ওই মা*....
কি কইছোস ঘৃ'ণা লাগে।তোর রূপের দেমা'গ আমি হাসিব ভাই'ঙ্গা দিমু।এখন কেউ এখানে আসবো না,দেখি তোর কোন বাপ তোরে বাঁচায়।"বলেই মধুর হাত খ'প করে ধরে ফেলে।
মধু কাঁদোকাঁদো হয়ে বলে,"দেখেন আমি কিন্তু চিৎকার দিবো..."
"দিবি দে... তোর চিৎকার আমি ছাড়া কেউ শুনতে পাবে না।আর এমন হ'ট হয়ে সামনে আসছিস কাছে আসতে গেলেই দো'ষ।কতোদিন না বললাম আমি ই তোর ভবিষ্যতের জামাই।কিসের যে এতো সং'কোচ তোর..."
"কি করছো এখানে..."
স্নিগ্ধর কথায় ভূত দেখার মতো চমকে উঠে হাসিব।
মুহূর্তেই হাসিবের দুগাল লাল হয়ে যায়, স্নিগ্ধর শ'ক্ত হাতের চ'ড়ে।একের পর এক বেশ কটা চপা'টা'ঘা'তে হাসিব রণ'মু'র্তি ধারন করে। চোখ দুটো রা'গে লাল টুকটুকে হয়ে আছে। মধুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে নিজের মনসকা'মনা পুরো করতে না পেরে।
"অস'ভ্য হয়ে গেছো?আমি এখন তোমার পেছনে পেছন না আসলে তো, জানতেই পারতাম না তুমি এমন ইভটি'জা'রের খাতায় নাম লিখিয়েছো!শাস'নের অভাবে বাউ'ন্ডুলে হয়ে গেছো?ক্ষমা চাও ওর কাছে,সরি বলো ওকে।"
হাসিব বড়োবড়ো করে তাকিয়ে মধুকে সরি বলে।
"ফের যদি কোনো দিন ওর সাথে বা অন্য কোনো মেয়ের সাথে এমন কিছু বলতে শুনি বা দেখি,কি হবে তা আল্লাহ ই জানে।মাইন্ড ইট।"
এই সব কিছু দেখে মধু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে। আ'ক'স্মিক ঘটনায় ভিষণ ভিষণ ভাবে ভয় পেয়ে গেছে।স্নিগ্ধ না থাকলে এখন খা'রা'প কিছু ঘটতো ওর সাথে বুঝতে পারছে।আর এটাও খুব ভালো মতো বুঝতে পারছে আজকের এই ঘটনার পরে হাসিব আরো ভয়া'বহ রূপ ধারন করবে ওর সাথে।এটা ভেবেই হৃদপিণ্ড কেঁপে উঠছে।
মধু দৌড়ে চলে যায় এখান থেকে।নিজের প্রতি নিজের রা'গ হচ্ছে,"কেন এমন হয়ে জ'ন্মালাম,এর জন্য যে স্বা'ধীন ভাবে চলার উপায় নেই।"
__________
দেখতে দেখতে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে।
মধুর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হবে আজকে।চিন্তার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।দুইদিন ধরে নামাজে মন প্রাণ দিয়ে দোয়া করছে।বারবার ভাবছে সকলের এত আশা পূরণ করতে পারবে তো।
দুপুর ১টা বাজে।
মধু ভয়ের চো'টে নড়েচড়ে না।ঘরের কোণে ঘা'পটি মে'রে বসে আছে।এমন সময় উঠানে চি'ল্লাতে থাকে বাবলু।মাজিদা মধু দুজনেই বের হয়ে বারান্দায় আসে।
"কিরে চি'ল্লাস কেন?"
"আম্মা মধুপায় পাশ দিছে।ভালা কইরা পাশ দিছে।"
"কি বলতাছস! আমি কিছু ই বুঝতে পারতাছি না।"
রহমত আলী ফটক ঠেলে হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করে,"মাধবীলতার মা মেয়েরে জলদি তৈরী করে দাও।ওরে নিয়া স্কুলে যাইতে হইবো।হ্যাড মাস্টার এ দোকানে লোক পাঠাইছে।"
"কেন? ও কিরসে যে এমন জরু'রী ভি'ত্তিতে যাওয়া লাগবো?"
"আরে কইছে ওর রেজাল্ট ভালো হইছে।আগে যাইয়া তুমি ওরে তৈয়ার করো তো তাড়াতাড়ি। "
একথা শুনে মধু নিজেই গিয়ে দ্রুত তৈরী হয়।মনে মনে ভাবতে থাকে মনে হয় A+নয়তো A পেয়েছে।
দ্রুত গতিতে স্কুল আঙ্গিনায় উপস্থিত হয়।মধুকে দেখেই এক স্যার ভিরের মধ্যে থেকে টেনে সামনে নিয়ে যায়।
স্কুল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকরা পুরো মাঠ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে।সামনে একজন শিক্ষক মাইক হাতে একের পর এক জনের রেজাল্ট বলছে।
সবার শেষে বলে মধুর কথা।জানায়,"তোমরা কি জানো আমাদের মধু কি রেজাল্ট হয়েছে?শিক্ষার্থীরা আমাদের মধু আমাদের গ্রাম ও বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করে বিভাগিয় পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।"একথা শুনে মধু স্তব্ধ হয়ে গেছে।চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে স্যারের পাশে।এখনো বিশ্বা'স করতে পারছে না স্যারের কথা।
সব শিক্ষক শিক্ষিকারা ওকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।মধু পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।মধুর বাবা ভি'র ঠেলে মেয়ের কাছে আসে।আনন্দে আ'ত্মহা'রা হয়ে মেয়েকে জ'ড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে।এবার মধুর চোখ বেয়েও জল গরিয়ে পড়ছে।মাঠের সকলে কর'তালি দিচ্ছে।
এই খবর পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।জনে জনে এসে মধুকে দেখে যাচ্ছে।সাং'বা'দিকরা এসে মধুর ছবি তুলে নিয়ে গেছে।পত্রি'কায় মধুর ছবি ছা'পা হবে।
রহমত আলী খুশিতে পুরো গ্রামের মসজিদে মসজিদে মিষ্টি বিতরণ করছে।
পুরো গ্রামের মানুষের তা'ক লেগে গেছে।রহমত আলীর মতো এমন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে কিভাবে এমন দুর্দা'ন্ত রেজাল্ট করে।
__________
বেড়িদিয়া গ্রামের বিদ্যালয়ে আজকে একটি সং'বর্ধ'নার অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরষ্ককৃত করা হবে। যে পুরষ্কার তুলে দিবেন স্বয়ং বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আফজাল শেখ নিজে।অনেক মানুষের আগমন হবে এই অনুষ্ঠানে।
বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের কার্য'ক্রম শুরু হয়ে যায়।
আফজাল শেখ যথাসময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।তার সাথে আরও কিছু লোকজন ও বিভিন্ন চ্যানেল এর সাং'বাদিক উপস্থিত হয়।
শিক্ষকরা আফজাল শেখ কে স্বাগতম জানান এবং কিছু ব'ক্তৃতা রাখেন সবার উদ্দেশ্য।অতঃপর পুরষ্কার বিতরণী শুরু হয়।
একে একে সবাই কে দেয়ার পর ডাক পরে মধুর।মধু স্টেজে উঠে সবাই কে সালাম জানায়।তার পর আজমল শেখের কাছে যায়।আজমল শেখ হাত বাড়ায় হ্যান্ডশেখ করতে।কিন্তু মধু সবাই কে অবাক করে দিয়ে আফজাল শেখের পা ছুঁয়ে সালাম করে।যা এ পর্যন্ত পুরষ্কার গ্রহণ করা শিক্ষার্থীর কেউ করেনি।মধুর এহেন কান্ডে তিনি যতটা অবাক হন তার চেয়ে বেশি খুশী হন।মধুর মাথায় হাত রাখেন।
এবার মধু উনার সাথে হ্যান্ডশেখ করে।আফজাল শেখের বাড়িয়ে দেয়া টফিটা সাদরে গ্রহণ করে।এই সব কিছুর মধ্যে মধুর মুখে মুচকি হাসিটা লেগে আছে।
মধুকে কিছু বলতে বলে একজন শিক্ষক।মধু মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মন থেকে কিছু কথা বলে,"আসসালামু ওয়ালাইকুম শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা।স্কুল কতৃ'পক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃ'ন্দ আসসালামু ওয়ালাইকুম।উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলছি।দয়া করে বির'ক্ত বোধ করবেন না।আপনারা জানেন,যেখানে সারা দেশের স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে।যেখানে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে প্রাইভেট পড়িয়ে তাদের রোজগার বাড়ানোর জন্য ক্লাসে যথাযথ শিক্ষা দিচ্ছে না।সেখানে আমাদের গ্রামের এই ছোট্ট স্কুলটি একটি অনন্য নিদর্শ'ন। এখানে প্রত্যেকটা ছাত্র ছাত্রী কে শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজের সন্তানের মতো যত্ন সহকারে অক্লা'ন্ত অবিশ্রা'ন্ত পড়িয়ে যাচ্ছেন।এখানে স্কুল কর্তৃ'পক্ষ দরিদ্র অসহায় মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদান করছে।সহায়ত করছে পড়াশোনা করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।যার বই নেই বই দিচ্ছে।যার বেতন দেয়ার সা'মর্থ নেই বেতন মাফ করে দিচ্ছে।পরীক্ষার ফিস দেয়ার টাকা নেই,ফর্ম ফিল আপের টাকা নেই,স্কুল ফা'ন্ড থেকে দিয়ে দিচ্ছে।যারা দুর্ব'ল পড়া বুজতে পারে না তাদের আলাদা করে ক্লাসে বুঝিয়ে দিচ্ছে।বিনি'ময়ে কিন্তু কোচিং বাবদ টাকা চায়নি।এই সব কিছু সম্ভব হয়েছে স্কুল ক'র্তৃপক্ষ আপনাদের দু'র্নী'তি মু'ক্ত পরি'চাল'নার জন্যই।আপনাদের বিবেক বিবে'চনার জন্য ই আমরা এতো ভালো মানের শিক্ষক পেয়েছি।শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্তৃ'পক্ষ আপনাদের মতো বিবেকবান ও এমন উদার মনু'ষ্যত্বের জন্যই আমরা এতো ভালো শিক্ষা পেয়েছি। দুর্ব'লদের সব'ল এবং সব'লদের আরো উৎসা'হিত করেছেন আপনারা।আপনাদের কে হাজার সালাম।এই স্কুলের এক একটা দিন স্বর্ণাক্ষ'রে হৃদয় খাতায় খচি'ত থাকবে।
স্যার আফজাল শেখ আপনার কিছু কথা না বললেই নয়। আপনার কথা শুরু করতে গেলে,প্রথমেই আসে আমাদের সকলের পক্ষ থেকে হাজারো হাজারো সালাম।একটা সময় এই গ্রামে কোনো স্কুল ছিলো না।গ্রামের মেয়েদের অনেক দূরের পথ পারি দিয়ে যেতে হতো উপজেলার স্কুলে।সেই স্কুলে যেতে গিয়ে অনেক মেয়েদের বখা'টেদের পা'ল্লায় পড়তে হতো।কয়েকজন মেয়ে ব'খাটে দের পা'ল্লায় পড়ে ধ'র্ষিত হয়েছিলো।কেউ কেউ তো ধ'র্ষণের শি'কার হয়ে আ'ত্মহ'ত্যা করেছে ।সেই ভয়ে পরিবার পরিজনেরা মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চাইত না।দ্রুত মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতো।কতো মেয়ের জীবন যে এভাবেই ঝড়ে পড়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আপনি আপনার উদার মন আর মনু'ষ্যত্ব থেকে এ সব কিছু বিবে'চনা করে এই স্কুল স্থাপন করেছেন।কতো শত ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার সুযো'গ করে দিয়েছেন।গ্রামকে মূর্খ'তা নামক অভি'শাপ থেকে বাঁচিয়ে উজ্জ্ব'ল ভবিষ্যতের দিকে অগ্র'সর করছেন।আপনার উদার'তার জন্য এখন সকলে তাদের জীবনের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারছে।তাদের অন্তর থেকে আসে তৃপ্তি, আর চোখ ভাসে আনন্দ অশ্রুতে।
শোন ভাই বোনেরা এই স্যার না থাকলে আমাদের স্থান হতো ক্ষেতে খামারে মাঠে ঘাটে।এই প্রতিষ্ঠানে আমরা পড়ার সুযো'গ পেতাম না কখনোই।একটা জিনিস ভেবে দেখো,যেখানে প্রতিটি ধনবান ব্যক্তি ব্যস্ত আছে তাদের বাড়ি গাড়ি ব্যাং'ক ব্যা'লেন্স করতে সেখানে মহানুভব আফজাল শেখ আমার তোমার সকল অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
স্যার আপনার প্রতি যেভাবেই কৃত'জ্ঞতা প্রকাশ করি না কেন কম হবে।আমরা প্রত্যেকে আপনার প্রতি একনি'ষ্ঠ ভাবে অনু'গত।ভিষণ ভিষণ কৃ'তজ্ঞ।আমাদের প্রত্যেকের অন্তরস্থল থেকে আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইলো।স্যার আপনার জন্য আজকে এই আমি,আমার উজ্জ্ব'ল ভবিষ্যতের দিকে অগ্রস'র হতে পারছি। আপনি আমার এবং আমাদের অনু'প্রেরণা।জীবনে মানুষ হলে আপনার মতই হবো।
সবশেষে বলবো, ভাই ও বোনেরা বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষক-শিক্ষিকার স্থান।তাদের সাথে কখনও বেয়া'দ'বি করবে দূরে থাক উচু স্বরে ও কথা বলো না।নিজের লক্ষ্যে অ'টল থেকে এগিয়ে যাও।ইনশাআল্লাহ একদিন এই পুরষ্কার তোমাদের হাতে থাকবে।প্রত্যেকে সুস্থ থাকো ভালো থাকো এই কামনা ই করি।আসসালামু ওয়ালাইকুম।"
প্রাণঢালা ব'ক্তৃতা শেষ হতেই চারিদিক কর'তালিতে মুখরিত হয়ে যায়।শিক্ষক-শিক্ষিকা,স্কুল কতৃ'পক্ষ,আফজাল শেখের সাথে আসা লোকজন,উপস্থিত সকলে মধুর ব'ক্তব্যে খুশী হন।মধুর বুদ্ধিম'ত্তা জ্ঞানের প্রসংশা করেন।
আফজাল শেখ মধুর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে,"মধু তুমি কি হতে চাও?তোমার জীবনের লক্ষ্য কি?"
মধু অবলিলায় বলে উঠে,"মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।চিকিৎসক হতে চাই।জানি না মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে এমন ইচ্ছা পো'ষণ করা ঠিক কিনা ভুল।কিন্তু খুব করে চাই,অসুস্থ অস'হায় মানুষদের সেবা করে মানুষিক তৃ'প্ত লাভ করতে।"সভাব সলুভ মুচকি হাসি দেয়।
আফজাল শেখ মুগ্ধ হয়েছে,বারংবার মুগ্ধ হয়েছে,প্রতিটি কথাতে অনন্তরের গভী'র থেকে গভী'রে পৌঁছেছে এই মেয়েটা।এ যেন কারো ছায়া দেখতে পাচ্ছ চোখের সামনে ।যেমন তার সৌন্দর্য তেমনি তার আচার-আচরণ ও মন-মানসিকতা।খুব খুবই পছন্দ হয়ে গেছে মেয়েটিকে।
সকলের সামনে আফজাল শেখ বলে উঠেন,"তুমি চিন্তা মু'ক্ত থাকো।তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত তোমার পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব আমার।তোমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সব রকমের সহা'য়তা আমি তোমাকে দেবো।এটা আমার এবং আমাদের গ্রামের গর্ব কৃ'তি সন্তানের জন্য আমার পক্ষ থেকে উপহার।আমি এবং আমরা বৃদ্ধ হলে তো তোমরাই আমাদের দেখবে,দুঃস'ময়ের সহা'য় হয়ে দাঁড়াবে। ভবিষ্যৎ প্রজ'ন্মের জন্য তো তোমরাই তাদের অনুপ্রে'রণা হতে চলছো।"মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।
উপস্থিত সকলে খুশী হয়ে যায় আফজাল শেখের কথায়।স্টেজের সামনে মাঠের মধ্যে বসে থাকা রহমত আলি ও মাজিদা বেগমের চারিদিকে মেয়ে সম্পৃ'ক্ত এতো প্রসংশা শুনে গর্ব বোধ হচ্ছে।গর্বে ভেতরটা কেমন ফুলে ফেঁ'পে উঠছে। খুশিতে বারবার চোখ ভিজে যাচ্ছে।
এই খবরটা স্নিগ্ধর কানে ও পৌঁছায়...
শোনার পর থেকে নিজের ভেতর টা কেমন যেন তৃপ্ত তৃ'প্ত মনে হচ্ছে।
চলবে......