আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

এক গুচ্ছ মাধবীলতা - গল্প কন্যা ( পর্ব-০৯ )

গল্প কন্যার ধারাবাহিক গল্পঃ ' এক গুচ্ছ মাধবীলতা ' পর্ব-০৯,প্রেম কাহিনী,এক গুচ্ছ মাধবীলতা,গল্প কন্যা (ছদ্ম নাম),ধারাবাহিক,

এক গুচ্ছ মাধবীলতা - গল্প কন্যা ( পর্ব-০৯ )

৯.
স্নিগ্ধ আজকে ও বের হয়েছিল ফেক্টিরির কাজ কেমন চলছে দেখার জন্য।ঝং'ঙ্গল পেরিয়ে পুরোনো নিমতলার কিছুটা দূরে গাড়ি দাঁড় করায়। গাড়িতে বসেই বাবাকে ফোন করে সব কিছু আলো'চনা করছিলো।কথপো'কথনের এক প'র্যায়ে খেয়াল করে নিম তলার দিকে এতক্ষণ বসে থাকা হাসিব রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে।সামনে দুটো মেয়ে। বাবার কথায় আর মনোযো'গ দিতে পারছে না স্নিগ্ধ।মেয়ে দুটোকে সে দেখেছে।"লম্বা চুলের সেই মেয়েটি!"

কিন্তু দূর থেকে মনে হচ্ছে হাসিব ওদের কে বির'ক্ত করছে।বাবাকে বলে,"আই উইল কল ইউ ব্যাক,বাবা।"কল কে'টে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

হাসিব বেশ কদিন পর মধুর সাথে কথা বলতে এসেছে,"কি রে আজকাল তো আমার দিকে তোর নজ'রই পড়ে না।তবে আমার নজ'র কিন্তু ঠিকি তোর উপর আছে।তুই কি ভেবেছিলি আমি ভয় পেয়ে চুপ করে আছি।একদম ই নাহ!!শিকা'রী সময় মতো ঠিক বের হবে তার শিকা'রের খোঁজে।"

মধু কড়ির হাত খা'বলে ধরেছে।কেন যেন এই হাসিব কে দেখলেই ওর গা রা'গ আর ঘৃ'ণায় রিরি করে।কিন্তু কড়ি হাসিবকে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না।কড়ির কাছে হাসিবকে একটা ছাগল ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।

"হাসিব ভাই ছাগলামি ডা একটু কমাই করেন।রাস্তা ছাড়েন বাড়ি যামু"

হাসিব রে'গে গিয়ে আঙুল তুলে কড়িকে বলে,"তোর কিন্তু অনেক সাহ'স কড়ি।আর কোনোদিন যদি এম্নে কথা কছ খ'বর আছে।আমাগোর মাঝে তুই একদম কথা বলতে আসিস না।"

হাসিব মধুকে বলছে,"কি রে কথা কছ না কেন?তোর রূপের অনেক দেমা'গ তাই না?আমার বি'চার করতে চাইছি..."আর কিছু বলার আগেই একটা কালো রঙের গাড়ি এসে তাদের পাশে দাঁড়ায়।হাসিব চম'কে যায়।গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে তাকায় স্নিগ্ধ।

"ঠিক ধরেছে সেই মেয়ে দুটো।"

স্নিগ্ধ এক নজ'রে মধুর মুখশ্রীর দেখে হাসিবের দিকে তাকায়।মধুর ভয় পাওয়া মুখশ্রী ই পুরো ঘটনা বলে দিচ্ছে।

"হাসিব তুমি এই টাইমে এখানে কি করছো?তোমার ভার্সিটি নেই?বখা'টেদের মতো রাস্তায় মেয়েদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছো কেন?তাছাড়া গাছ তলায় ওই সব ছেলেরা কে?ওদেরকে চেনো?এদের আসেপাশে তুমি কি করছো?"

হাসিব তাকিয়ে দেখে সব গুলো দুম'চে সি'গা'রে'ট টা'নছে।আর হাসাহাসি করতে করতে মনের সুখে সিগা'রে'টের ধোঁ'য়া ছাড়ছে।হাসিব শুকনো ঢোক গি'লে।এমন সময় জ'মের কাছে ধরা খাবে ভাবতে পারেনি।

"ভাই আসলে এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তো,পরে পাড়া প্রতিবেশী ছোটো ভাইরা ডাকলো তাই একটুখানি দাঁড়াইছিলাম।পরে ওদের দুজনরে দেখে একটু চাচা-চাচীদের খোঁ'জ খব'র নিতে ছিলাম,আরকি।তুমি কি বাড়ি যাবা?"

স্নিগ্ধ হাসিবের এতো বড়ো মিথ্যে শুনে ভ্রুকুচকে তাকায়,"তাই....!কিন্তু এদের ফেস তো তা বলছে না!"

"না ভাইয়া সত্যি বলতাছি।"

কড়ি ও মধুর উদ্দেশ্যে বলছে,"ও কি সত্যি বলছে?"

মধু কড়ি দুজন দুজনের দিকে তাকায়।হাসিব যে ধা'চের মানুষ হিতে বিপরীত হতে পারে ভেবে মধু মাথা না'ড়ায়।

"দেখছো ভাইয়া বলছি না।"

স্নিগ্ধ মধুর ভয় পাওয়া মুখশ্রীর দিকে তাকায়।বুকের ভিতর কোনো এক সূ'ক্ষ্ম ব্যথা অনুভূত হচ্ছে।

হাসিব মনে মনে খুশি হয়। স্নিগ্ধকে বলে,"ভাইয়া তুমি কি বাড়ির দিকে যাইতাছো?"

"হ্যাঁ...!"

"চলো তাইলে।আমিও বাড়ি যাবো,তোমার সাথে যাই।"বলেই গাড়িতে উঠে পড়ে।

কিছুটা মনোক্ষু'ণ্ণ হয়ে স্নিগ্ধ গাড়ি স্টার্ট দেয়।"একবার মুখ ফুটে বলেই দেখতো কি হয়!বি'জ্ঞ ব্যক্তিরা ঠিকি বলে,সুন্দরী রমনীরা বোকা ও বুদ্ধিহী'ন হয়।"

"কতো গুলো অ'শ্লী'ল কথা শোনা থেকে বাঁ'চিয়েছে"নিজের অজান্তেই মনে মনে মধু স্নিগ্ধকে ধন্যবাদ জানায়।ছোট্টো মনের ভয় কা'টিয়ে দম'কা হাওয়ার মতো কোনো ভালো লাগার আমেজ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।মধু আর কড়ি দ্রুত গতিতে প্রস্থান করে।


নিম তলায় অবস্থান রত ব'খাটে ছেলে গুলো পেছন থেকে চলে যাওয়া গাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।


__________


আজকে মধুদের স্কুলে বিদায় অনুষ্ঠান।
সবাই শাড়ি পড়েছে।গ্রামের স্কুল,তাই নির্দিষ্ট কোনো ড্রেস কোড নেই।যে যার ইচ্ছে মতো নানা রকমের শাড়ি পড়বে।

মধু মাজিদার একটা এক রঙা কালো সুতির শাড়ি পড়েছে।মাজিদা ওর চুল গুলো কে বেনি করে দিয়েছে।চোখে গাঢ় করে কাজল টে'নে দিয়েছে।

"মা!তোমরা শাড়ি পড়ে থাকো কিভাবে?আমার তো কেমন শুরশুরি লাগছে।আর মনে হচ্ছে এখনি খুলে যাবে,খুলে যাবে অ'বস্থা।"

"কিচ্ছু হইবো না।ভালো মতোই পড়াই দিছি।খুলবো না।আয় আজকা তোরে আমি স্কুলে দিয়ে আসবো।"

কড়ি নিল রঙের একটা শাড়ি পড়েছে।দুজনকে ই সুন্দর দেখাচ্ছে।

মাজিদা একটা নকশা করা শাল এনে মেয়ের গায়ে চা'পিয়ে দিয়েছে।ওদেরকে ফটকের কাছে দাঁড়াতে বলে,নিজে তৈরী হয়ে নিচ্ছে।

দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কড়ি বলে উঠে,"মধু তোরে আজকে কেমন জানি একটু বেশি সুন্দর সুন্দর লাগতাছে।আমার খুব হিং'সা হইতাছে।"

"কে বলছে,আমার বান্ধবীরে তো পুরা চাঁদের টু'করা লাগতেছে।হিং'সা করার আগে সে কি এটা জেনে নিয়েছে?"

"হ তুই খালি বাড়াই বাড়াই বলোছ।আরেক কথা জানোস...! আজকে তো শেখ বাড়ির লোকজনরা স্কুলে যাইবো।হেই ছেড়াডা আছেনা,ছেড়াডা ও মনে হয় যাইবো।"

"কে বলছে তোরে?ঐ লোকটা ঐ বাড়ির কি হয় যে উনি যাবে?"

"মানুষের মুখ থেইকা শুনছি শেখ বাড়ির লোকজন যাইবো।আর কিছু জানি না।আবার এটা ও বলতে শুনছি ঐ ছেড়াডা রে নাকি শেখ বাড়ির বড়ো শেখের মতো লাগে।মনে হয় আত্মীয় বা মেহমান হইবো।"


মাজিদা বোরখা গায়ে ঘরের বারান্দায় দাঁড়ায়।

মেয়ের ভাবুক চেহারার দিকে তাকিয়ে ভাবছে,"কালো রঙের শাড়িটা পড়ানো উচিত হয়নি।ধবধবে শরী'রে একটু বেশি ই ফুটে ওঠেছে।দীর্ঘকা'য় বেনিটা হাটুর নিচে দুলছে।বড়বড় চোখ গুলো নিয়ে যখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে তখন কোনো রাজ্যের রাণীর মতো লাগছে।না জানি কখন কার নজ'রে পড়ে যায়।"কাছে গিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে মেয়ের সারা শরী'রে ফু দিয়ে দেয়।

"চল চল..."

স্কুলের মাঠে বিরা'ট সামি'য়ানা টা'ঙানো হয়েছে।সারি সারি চেয়ার সাজানো রয়েছে।

মাজিদা মেয়েকে গেটের ভিতরে দিয়ে চলে গেছে।মধু সহপাঠীদের সাথে একটা জায়গায় বসে পড়েছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই শেখ বাড়ির লোকজন এসে স্টেজে উঠেছে।সবাই তা'লি বাজিয়ে তাদের অভর্থনা জানায়।


আজকের বিদায় উপলক্ষে স্কুলের কিছু ছাত্র ছাত্রী বিদায় ভা'ষণ দিবে।শিক্ষকরা ও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ব'ক্তব্য রাখবে।এর পর দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

হঠাৎ মাইকে একজন শিক্ষক বলে উঠে,"মধু তুমি যেখানেই থাকো স্টেজের সামনে এসে মহিউদ্দিন স্যারের সাথে যো'গাযো'গ করো।"মধু এমন জ'রুরি তলবে ভরকে যায়।কড়িকে সাথে টে'নে নিয়ে যায়।

"স্যার আমাকে ডেকেছেন?"

মহিউদ্দিন স্যার:-হ্যাঁ...,মধু...। তুমি আমাদের গেস্ট কে ব্যাচ পড়াবে,আর ফুল দিয়ে স্বাগতম জানাবে।স্টোজের কাছে থাকো।

"স্যার কোন গেস্ট?"

"কেন তুমি জানো না! আমাদের বড়ো শেখ কে!"

"বড়ো শেখ!বড়ো শেখ কে,স্যার?"

"বড়ো শেখকে চিনো না! আফজাল শেখের বড়ো ছেলে,শেখ বাড়ির বড়ো নাতি আরহাম শেখ স্নিগ্ধ। বড়ো শেখের(হাকিম শেখ)মতো দেখতে তাই গ্রামবাসী উনাকে বড়ো শেখ বলেই ডাকে। বড়ো শেখ লন্ডন থেকে পিএইচডি করে এসেছেন।উনি দেশের একজন বিরাট বড়ো মাপের ডাক্তার।টেলি'ভিশন পত্রি'কায় উনার ছবি ছা'পা হয়েছে।তুমি আমাদের স্কুলের যো'গ্য মেধাবী ছাত্রী,তাই কাজটা তুমিই করবে। তৈরী থেকো।"

এরই মধ্যে পুন'রা'য় কর'তা'লির শব্দ আসে।মানে কা'ঙ্ক্ষিত সে গেস্ট চলে এসেছে।মধুর বুকটা কেমন ধর'ফর ধর'ফর করছে। স্যারের কথা তো ফেলা যায় না।করতেই হবে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই স্টেজে মধুর ডাক পড়ে।বুকে সাহ'স জ'মিয়ে আল্লাহর নাম নিয়ে উঠে পড়ে।একজন শিক্ষিকা হাতে একটা ফুলের বুফে ধরিয়ে দেয়,বলে এগিয়ে যেতে।মধু ও এগিয়ে যায়।

সারি সারি আরাম দায়ক আসনে আজমল শেখ,প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষক,অন্যান্য শিক্ষক ,স্কুল কমিটির সদস্য,গ্রামের মান্যগণ্য কিছু লোকজন,আর একজন হুজুর বসে আছে।সবার মাঝে বসে আছে সেই লোকটা।তার পাশেই হাসিব শেখ।

মধুর আ'পাদ'ম'স্তক অস্বস্থিতে ভরে গেছে।কেন যেনো এই লোকটার সামনে এলেই অজানা অনুভূতি হয়।

একজন স্যার স্নিগ্ধর নাম এনাউন্স করতেই সবাই দাঁড়িয়ে যায়।সাথে স্নিগ্ধ ও।মাইক নিয়ে সবাই কে সালাম দেয়। এদিকে স্টেজের এক কোণায় দাঁড়ানো মধুর এটা দেখে হাটু কাঁপুনি শুরু হয়েছে।মনে হচ্ছে পায়ে পা বে'জে পড়ে যাবে।

তক্ষুনি স্যার বলে উঠেন,"স্নিগ্ধ শেখকে ফুল দিয়ে স্বাগতম জানাবে আমাদের স্কুলের প্রীতি ছাত্রী মাধবীলতা মধু।"

নামটা শুনে স্নিগ্ধ ভ্রকু'ঞ্চিত করে তাকায় মধুর আগমনীর পানে।মুহূর্তেই চোখ আ'টকে যায়।হুট করে হৃদপি'ণ্ডের গ'তিবি'ধি অসাভাবিক হারে বেড়ে গেছে।

"তার মানে যা ভাবছে তাই!মনে মনে অনেক হিসেব মিলিয়ে নিচ্ছে,নাহ!আপনা আপনি মিলে যাচ্ছে।"

চারিদিকে মুখরিত করতা'লিতে।

কিন্তু স্নিগ্ধ ডুবে গেছে কারো অপার সৌন্দর্যে।এ কোন মেঘ সম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী!তার অতুলনীয় ভ'য়ং'ক'র রূপের ঝলকা'নিতে ঝ'লসে দিতে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে।লম্বা মোটা বিনুনিটা সাপের মতো এদিক সেদিক দুলছে।কাজল চোখে ঘনঘন পলক ফেলে এগিয়ে আসছে।

ভেতরের শ"ক্ত খো'লসে আ'বৃত ক'ঠো'র হৃদয় আজ নিয়'ন্ত্র'ণ করা সম্ভব হচ্ছে না।লা'গাম ছাড়া হয়ে গেছে।চোখ ফেরানো দা'য় হয়ে পড়েছে।

মধু তার রূপের অফুরন্ত আবেশ ছড়িয়ে ফুলের বুফেটি হাতে নিয়ে স্নিগ্ধর পাশে কিছুটা দূরত্ব রেখে দাঁড়ায়।কাঁপাকাঁপা হাতে বুফেটি এগিয়ে দেয়।স্নিগ্ধ দু হাত বাড়িয়ে তা গ্রহণ করে।তার পর ব্যাচ হাতে স্নিগ্ধর সামনে,অতি সন্নি'ক'টে দাঁড়ায়।

মুহূর্তেই কোনো এক মেয়েলী মিষ্টি সুবাস নাসিকা ভেদ করে সারা শরী'রে ঝি'ম ধরিয়ে দেয়।

এতো কিছুর মধ্যে স্নিগ্ধ চোখ সরাতে স'ক্ষম হয়নি।আঁখি'দ্বয় যেন পলক ফেলতে ভুলে গেছে।

সুঠাম দেহি স্নিগ্ধর বক্ষ বরাবর দাঁড়ায় মধু।অতি সন্নি'কটে।দুজনের মধ্যে এক হাত দুরত্ব অবশিষ্ট।অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী নারী কোমল হাতে দ্রুত ব্যাচ পরানোর কাজটা সারতে চাচ্ছে।কিন্তু অস্ব'স্তি ও হাত পা কাঁপনের জন্য কিছুতেই পেরে উঠছে না।মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক'ঠি'ন কাজটি ওকে দেয়া হয়েছে।

স্নিগ্ধর হার্টবি'ট অসাভাবিক গতিতে বেড়ে এবার দ্বিগুণ হয়ে গেছে।বুক সমান লম্বা পুচকে মেয়েটির মুখশ্রী দিকে ভালো করে লক্ষ্য করে।

মধু বেশ বুঝতে পারছে স্নিগ্ধ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।মাথা উঁচু করে তাকাতেই স্নিগ্ধর চোখে চোখ পড়ে।সঙ্গে সঙ্গে ব্যাচের পি'নটা স্নিগ্ধর বুকে বি'ধে যায়।

"উহহহ..!"স্নিগ্ধ আ'র্ত'না'দ করে উঠে।

মধু ভরকে যায়,"দুঃখিত!আমি দুঃখীত!আসলে...আমি...বুঝতে পারিনি!"

বুকে মা'লিশ করতে করতে বলে,"ইটস ওকে,ইটস ওকে,নো প্রবলেম।"

মধু সাবধা'নে ব্যাচ পড়িয়ে দ্রুত গতিতে প্রস্থান করে।

এখনো শরী'রের কাঁপুনি যাচ্ছে না।

"কি কাজটা ই না করলাম!কি ভাববে উনি!নাহ..!আমার মতো ভিতু কে দিয়ে কিছু হবে না।"

ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।পানি খেতে কল পাড়ে ছুটে যায়।এই দিকটা একদমই ফাঁকা।পানি খেয়ে ফেরার সময় সামনে হাসিব শেখ দাঁড়ায়।

"কি মধু কেমন আছো?তোমারে তো আজকে পুরা আ'কর্ষ'ণীয় লাগছে।যারে বলে পুরো সেক্*!"

"ছিহ...!

আপনি জ'ঘ'ন্য'তম খা'রা'প!

সরুন যেতে হবে।"

মধু হাসিব কে এড়িয়ে যেতে চায়,কিন্তু হাসিব হাত আগলে বা'ধা দিয়ে দাঁড়ায়।

"আরে যাইবা ই তো আগে একটু আদর ভালোবাসা করে নেই।আসেপাশে কেউ নাই,আসো তো এই দিকে আমার কাছে।"

স্টেজে ব'ক্তৃ'তা শুরু হয়েছে।ব'ক্তৃ'তার আও'য়াজে চারিদিক গম'গম করছে।

"কি সব যা তা বলছেন!

ছিহ!

শুধু আপনি না আপনার মনটাও নিচু আর জ'ঘ'ন্য!আপনাকে দেখলেই আমার ঘৃ'ণা লাগে। সামনে থেকে সরেন...! "



"ওই মা*....

কি কইছোস ঘৃ'ণা লাগে।তোর রূপের দে'মা'গ আমি হাসিব ভাই'ঙ্গা দিমু।এখন কেউ এখানে আসবো না দেখি তোর কোন বাপ তোরে বাঁ'চায়।"বলেই মধুর হাত খ'প করে ধরে ফেলে।

মধু কাঁদোকাঁদো হয়ে বলে,"দেখেন আমি কিন্তু চিৎ'কার দিবো..."

"দিবি দে... তোর চিৎ'কার আমি ছাড়া কেউ শুনতে পাবে না।আর এমন হ'ট হয়ে সামনে আসছিস কাছে আসতে গেলেই দো'ষ।কতোদিন না বললাম আমি ই তোর ভবিষ্যতের জামাই।কিসের যে এতো সংকো'চ তোর..."

"হাসিব কি করছো এখানে..."

স্নিগ্ধর কথায় ভূত দেখার মতো চ'মকে উঠে হাসিব।



চলবে...

Post a Comment

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.