আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

ধ্রুবতারা-গল্প কন্যা পর্ব-৩৩

Estimated read time: 7 min

ধ্রবতারা 
লিখেছেনঃ গল্পকন্যা ( ছদ্ম নাম )



পরের দিন সকালে, 
তুরের রুমের বারান্দায় তুরকে প্রচ'ন্ড জ্ব'র আর বে'হু'শ অ'ব'স্থা'য় পায়।দ্রুত হাস'পা'তালে নেয়া হয়।
সারারাত ঠান্ডার মধ্যে ফ্লোরে পড়ে থাকায় নিউ'মো'নিয়া হয়ে যায়।সাতদিন হাস'পা'তালে কা'টা'তে হয়।

এই ঘটনায় তুরের মনের সেই ছোট বেলা থেকে গড়ে ওঠা সুপ্ত ভালোবাসা, মনেই চা'পা পড়ে যায়।পা'হা'ড় সমান অভি'মান জ'মা হয়।সে পা'হা'ড় হয়তো কিছুতেই ট'লা'নো যাবে না।

প্রায় এক বছর ধ্রুবর সাথে কোনো কথা হয় না।ধ্রুব বাড়ির সবার সাথে কথা বললে ও তুরের সাথে কথা বলে না।কথা বলবে দূরে থাক।কারো কাছে ওর কথা জানতে ও চাইতো না।পুরো দ'স্তু'র  নিজের কেরিয়ারে ফো'কা'স করে।

___________ 

এভাবেই কে'টে যায় প্রায় দু'বছর।

ট্রেনিং শেষে লা'ইসে'ন্স পাওয়ার পর,হা'ঙ্গেরি থাকালিন মালে'শি'য়া ইউএস বাংলা এয়ার'লাইন'স এ পা'ই'ল'ট হওয়ার অফার পায়।এরকম কয়েক জায়গা থেকে ভালো ভালো অফার আসে।

ধ্রুব জহির সাহেবের মতামত জানতে চায়।ওনি বলেন,"যেখানে ভালো মনে করো সেখানে করো।কিন্তু দেশের ছেলে দেশেই থাকা ভালো।এত টাকা দিয়ে কি হবে।যদি নিজের ফেমিলি থেকে দূরে থাকতে হয়।"

ধ্রুবর মন তো চায়,দেশের মাটিতে দেশের হয়ে কাজ করে দেশের সুনাম বাড়াতে। কিন্তু পুরোনো ক্ষো'ভে দেশে ফিরছে না।

মা'লে'শি'য়া ইউএস বাংলা এয়ার'লাইন'সে জয়েন করে।
একদিন এয়ারপোর্টে থেকে ফিরে ইউনি'ফর্ম চেন্জ না করে ফোন হাতে নেয়।ফেসবুক স্ক্র'ল করতে করতে।হঠাত কিছু ছবি দেখে যেগুলো অরিনের আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে।

ছবিতে তুর,ফাহিম,অরিন,আয়েশা ,
তাসফি,অরিনের বোন অরিত্রি,আর সেই রাশেদ ছেলেটা।

কিন্তু অবা'ক করার বিষয় হচ্ছে রাশেদ ও অরিত্রি বর কনের বেশে।কোনোটাতে দুজন একা,কোনোটাতে সকলে এক সাথে।আবার কোনোটায় রাশেদ তুরের কাধ জ'ড়িয়ে রেখেছে।কোনোটায় অরিন ও আয়েশা কে জ'ড়িয়ে রেখেছে।আবার কোনোটায় অরিত্রি ওদের মাঝে দাঁড়িয়ে  ওদের জ'ড়িয়ে রেখেছে।বুঝা যাচ্ছে সবাই খুব মজা করছে।

ধ্রুবর ভিতরটা এক অজা'না সং'কা'য় মো'চ'ড় দিয়ে ওঠে।দ্রুত ফাহিমকে ফোন লাগায়।

"আসসালামু ওয়ালাইকুম ভাইয়া।"

"ওয়ালাইকুমুস সালাম।তোরা গতকাল কোথায় গিয়েছিলি?"

"কোথায় আবার,অরিনের বোন অরিত্রি আপুর বিয়েতে।কেন কি হয়েছে? "

"কার সাথে বিয়ে হয়েছে? "

"রাশেদ ভাইয়ার সাথে।জানো ভাইয়া,ওনি খুব  ভালো মানুষ।আমাদের কে খুব আ'দ'র করে।"

"ওই ছেলেটার সাথে না তুরের রিলে'শন ছিলো?"

"কি আ'বো'ল তা'বো'ল বলছো?তুরের সাথে কিসের রিলে'শন।ওকে তো নিজের ছোট্ট বোনের মতো দেখে।আর তুর কারো সাথে কখনো রিলে'শন করবে দূরে থাক।ছেলেদের থেকে দশ হাত দূরে থাকে।"

ধ্রুব থম মে'রে আছে।

"রাশেদ ভাইয়ার সাথে আপুর অনেক দিনের সম্পর্ক।একজন আরেক জনকে পা'গ'লের মতো ভালোবাসে।কতো বা'ধা পে'ড়ি'য়ে,কতো ক'ষ্টের পর ফেমিলিকে রা'জি করিয়েছে।অবশেষে কাল এক হয়েছে।এমন ভালবাসা এখনের যুগে দেখা যায় না।জানো,রাশেদ ভাইয়া আমাকে আর তুরকে খুব ভালবাসে।একদম নিজের ছোট ভাই বোনের মতো।ওনাদেরকে আমরা যতটা পেরেছি হেল্প করেছি।"

"কিভাবে স'ম্ভ'ব!আমি নিজে ওদের চিঠি পড়েছি।"

"কিসের চিঠি?"

ধ্রুব কোনো কথার উত্তর দিতে পারছে না।নিজের চুল টে'নে ধ'রেছে।চোখ লা'ল হয়ে গেছে।বুকের ভেতর য'ন্ত্র'ণা'য় ছা'ড়'খা'র হয়ে যাচ্ছে। 

"ভাইয়া কি হয়েছে?এমন ছ'ট'ফ'ট করছো কেন? 
অ'সু'স্থ ফিল করছো?"

ধ্রুব বাচ্চাদের মত কেঁদে দিয়েছে।
"খুব বড় ভু'ল করেছি রে....।খুব বড় ভু'ল হয়ে গেছে আমার দ্বা'রা।এ ভু'ল যে শো'ধ'রা'তে পারবো না।"
এক হাত চোখের উপর রেখে আবারও কাঁদতে শুরু করে।

ফাহিম বুঝতে পারছে নিশ্চয়ই কোনো সি'রি'য়া'স ই'স্যু।না হয় এভাবে কাঁদত না।ভাইয়ের ক'ষ্ট দেখে ওর ও ক'ষ্ট হচ্ছে।একটা ছেলে কতটা ক'ষ্ট পেলে  কেঁদে দেয়।

"আমি কিভাবে ওকে ভু'ল বুঝলাম।কিভাবে ওর সাথে এমন করলাম।কতো বার আ'ট'কা'তে চেয়েছে।কতো বার নি'ষে'ধ করেছে।আমি কোনো কথা শুনিনি।এই হাত দিয়ে ওকে পি'শা'চের মতো মে'রে'ছি।নিজের প্রতি নিজের ঘৃ'ণা হচ্ছে।ফাহিম আমার ম'রে যেতে ইচ্ছে করছে।কি করলাম এটা।নিজের ভালবাসাকে নিজের হাতে শেষ করে দিয়েছি।ও নিশ্চয়ই আমাকে ঘৃ'ণা করে।ওর ঘৃ'ণা নিয়ে এ পৃথি'বী'তে বাঁ'চ'তে পারবো না।"

"কি করেছো ভাইয়া?বলো আমাকে।"

"আমি আমার কলি'জ'টাকে ভু'ল বুঝে আ'ঘা'ত করেছি। ওর হৃ'দ'য়'টাকে পা দিয়ে পি'শে দিয়েছি রে।কোনো দিন আমার দিকে ফিরে তাকাবে না।"

"শান্ত হও ভাইয়া।সব কিছুর সমা'ধা'ন আছে।কি হয়েছে সেটা বলো আগে। "

ধ্রুব 'অ'স্থি'র হয়ে ছোট বেলা থেকে শুরু করে তুরের সাথে ঘটা শেষ ঘট'না সব ফাহিম কে বলে।

"কবে এতো কিছু ঘটে গেছে।আমরা কিছু টের পেলাম না। এজন্যই তুরের এমন হয়ে ছিলো।"

"তুমি যেদিন চলে গেলে তার পর দিন সকালে তুরের রুমের বারান্দায়,অ'চে'ত'ন আর র'ক্তা'ক্ত অ'ব'স্থা'য় তুরকে পাওয়া যায়।সেদিন বাড়িতে তো পুরো ম'রা কান্না শুরু হয়েগিয়েছিল।তুরকে হাস'পাতা'লে ভ'র্তি করাতে হয়।মাথার সামনের দিকে চুলের ভিতরের দিকে কে'টে যায়।কয়েকটা সে'লা'ই ও লাগে।সারারাত ঠান্ডার মধ্যে ফ্লোরে পড়ে থাকায় নিউ'মো'নিয়া হয়ে গিয়েছিলো।কিন্তু এতো কিছুর ভিতরে ও আমাকে দিয়ে চিঠিটা অরিত্রি আপুর কাছে পৌঁছায়।প্রায় এক মাস কারো সাথে ঠিক মতো কথা পর্যন্ত বলেনি।পরে আ'স্তে আ'স্তে সাভাবিক হয়।"এর পরের সব ঘ'টনা ধ্রুবকে বলে।

সব শুনে ধ্রুব আরো অ'স্থি'র হয়ে পড়ে।দেয়ালে ঘু'ষি দিচ্ছে।প্রচ'ন্ড পা'গ'লা'মি করছে।পা'গ'লের মতো আ'বো'ল তা'বো'ল বলছে।

"কি করছো ভাইয়া।এসব করো না প্লিজ।"

"ওর সাথে জে'দ করে,কতো গুলো দিন ওর সম্পর্কে কিছু  জানতে ও চাইনি।এসব য'ন্ত্র'ণাই আমি পা'ও'না।ওর কাছ থেকে ভালোবাসার বদ'লে ঘৃ'ণাই পাওনা আমি।"চিৎ'কা'র করে মাটিতে বসে  কাঁদতে শুরু করে।

ভাইয়ের কান্না দেখে ফাহিমের ও খুব ক'ষ্ট হচ্ছে।ও নিজে ও ভাইয়ের ক'ষ্ট দেখে কেঁদে দিয়েছে।অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ,খুব ক'ষ্টে ধ্রুবকে সা'মা'ল দেয়।

"যেহেতু তোমার অ'জা'ন্তে ভু'ল হয়েছে।আর তুর এখনো অন্য কাউকে পছন্দ করে না।সেহেতু আমরা ক্ষ'মা চাওয়ার চে'ষ্টা করি।ওর কাছে ক্ষ'মা চেয়ে বিষয়টা বুঝালে ও একদিন না এক দিন বুঝবে।তুমি কোনো টেন'শ'ন করো না।কোন টেন'শ'ন করো না আমি আছি তোমাকে সাহায্য করার জন্য।"

এরপর থেকে শুরু হয় দুই ভাইয়ের চেষ্টা।ফাহিম বিভিন্ন ভাবে ধ্রুবর সাথে কথা বলানোর চেষ্টা করে।কিন্তু,প্রতি বার ই ব্য'র্থ হয়।কোনো ভাবেই ক্ষ'মা চাওয়ার কোনো উ'পায় হয়ে উঠে না।

দুজনেই হা'ল ছেড়ে দেয়।ধ্রুব তখন প্ল্যান করে শীঘ্রই মালে'শি'য়া এয়ার'লাই'ন্স ছেড়ে বাংলা'দেশে চলে আসবে।ততোদিন ফাহিমকে তুরের সব আপ'ডে'ট দেয়ার দায়িত্ব দেয়।

ফাহিম ও নিয়মিত তার ডিউটি পা'ল'ন করে।দিনে দুবার ভি'ডি'ও কলে দেখানো।সারাদিনে কলেজ কোচিং বাসা সব মিলিয়ে দশ বারোটা ছবি পাঠানো।সময় সু'যো'গ বুঝে তুরের কানের কাছে ধ্রুবর গুনা'গুণ করে।মাঝে মধ্যে এসব কারণে তুরের হাতের পায়ের স্পে'শা'ল মা'র ও খায়।ধ্রুব আসার আগের দিন তুরকে জানায় ধ্রুব আসবে।তখন তুরের চোখে মুখে এক অ'স্থি'র'তা দেখতে পায়।ফাহিম তখন শি'উ'র হয় যে তুর ও ধ্রুব কে ভালোবাসে।

___________ 

"এটা খো'ল "
"না....ভাইয়া... "
"কেন? খো'ল বলছি"
"খু'লবো না।"
"খো'ল... আমি কতো ক'ষ্ট করে তোর জন্য জামাটা কিনে আনলাম আর তুই পরবি না।"

"না ভাইয়াা।আমি এখন বড়ো হয়ে গেছি।তোমার সামনে পড়তে পারবো না।"
"কোন দিক দিয়ে বড়ো হইছিস আগের মতো ই তো আছিস।"
"না ভাইয়া মা নি'ষে'ধ করেছে,কারো সামনে জামা খু'লতে।" 
এক'টা'নে জামাটা ছি'ড়ে ফেলে।

ধ'র'ফ'রিয়ে ঘুম থেকে উঠে।ধ্রুব চলে যাওয়ার পর এ স্ব'প্ন টা দু তিন বছর অনেক বার দেখেছে।

ধ্রুব যেদিন বাড়ি ফিরে সেদিন তুর কে সবাই ডাকে নিচে যেতে।কিন্তু তুর মাথা ব্যা'থার অজু'হাতে রুমে বসে থাকে।

ধ্রুব যখন বাড়িতে প্রবে'শ করে।নিচের শব্দে তুর অ'স্থি'র হয়ে পড়ে।কতো দিনের তৃ'ষ্ণা যে জমে আছে মনে।আর কতো সো'শ্যা'ল মিডি'য়া'য় ছবি দেখে মন ভারাবে।চাতক পাখির মতো একটু দেখার জন্য যে অ'ধী'র হয়ে আছে।
কিন্তু সেই অভি'মা'নের পাহা'ড়,মনে হলেই যেতে পারে না।এভাবেই দো'টা'না'য় ভু'গ'তে ভু'গ'তে ,বিশ মিনিটের যু'দ্ধে নিজের সাথে নিজে প'রা'জি'ত হয়ে করিডোর থেকে উঁ'কি দিয়ে ধ্রুব চে'হা'রা'টা দেখে।

হা'স্কি ক'ন্ঠের বাক্য শ্র'ব'ণ করে।বুক ফে'টে কান্না আসছে।পুরোনো কথা মনে করে বে'হা'য়া মনকে গা'ল'ম'ন্দ করতে করতে নিজের ঘরে ছু'টে যায়।আর বালিশে মুখ গুঁ'জে হাউ'মা'উ করে কাঁদতে থাকে।

"কেন আমাকে একটু বি'শ্বা'স করতো পারলেন না।কেন একটা বার জানতে চাইলেন না সত্যিটা কি।আপনার হাতে ম'রে গেলে ও আমার কোনো দুঃখ থাকতো না।কিন্তু ভু'ল বুঝার আগে কেন একটা সু'যো'গ দিলেন না।কেন নিছক একটা কথার ভি'ত্তি'তে ঘৃ'ণা করে হৃ'দ'য় ভে'ঙে চলে গেলেন।আমার হৃ'দ'য়ের এতো অনু'ভূ'তিকে শূন্য করে দিয়ে চলে গেলেন।এরপর ও যাওয়ার আগে একটা বার বুকে জ'ড়ি'য়ে বলে যেতেন তুর" আমি স'রি।"আমি তো সব ভু'লে যেতাম।একবার বুকে জ'ড়ি'য়ে আ'দ'র করে আপনাকে ছেড়ে একা থাকার সা'হ'স যু'গি'য়ে যেতেন।কি এমন হতো। কতো ক'ষ্টে আপনাকে ছাড়া থেকেছি জানেন।বারবার শুধু লা'ল টুক'টুকে ঘৃ'ণা ভ'রা চোখ দুটো ভে'সে উঠেছে।আপনার ভালোবাসা অনু'ভব করতে পারিনি।প্রতি রাতে আপনার জন্য কেঁদেছি।একটু দেখার জন্য ছট'ফট করছি। কতোদিন আমার মাথায় হাত বু'লি'য়ে দেননি।সে ক'ষ্টে কেঁদেছি।আপনি তো আমাকে ঘৃ'ণা করেন।এখন তো অনেক বড় মা'পের মানুষ হয়েছেন টিভিতে নি'উ'জে আপনাকে দেখায়।আমি তো আপনার ন'খে'র পরি'মা'ণ যো'গ্য'তা ও রাখি না।এখন তো আরো ও বেশি দেখতে পারবেন না। দেখেন,এতো দিন আমাকে এতো কাঁদানোর শা'স্তি আপনি পাবেন।আপনি ও ক'ষ্ট পাবেন আমার মতো।আমি আপনাকে ভু'লে যাবো।কেউ না আপনি আমার।কেউ না।"এসব আবো'ল তাবো'ল ভাবছে আর কাঁদছে।এক'পর্যা'য়ে ক্লা'ন্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

আর এদিকে বাড়ি ফিরে ধ্রুব একটু দেখার জন্য ম'রিয়া হয়ে ঘুরছে।কিন্তু সেই দেখা মিলে রাতে খাবার টেবিলে।তুর মাথা নিচু করে খাচ্ছে।একটি বারের জন্য ও তাকাচ্ছে না।

ধ্রুবর কলি'জা'য় যেন কেউ ছু'ড়ি'র আ'ঘা'ত করছে।তুরের এহেন আচ'র'ণে বুঝতে পারছে, কতটা য'ন্ত্র'ণা কতটা ঘৃ'ণা ওর বুকে পু'ষে রেখেছে।কিন্তু তবু বে'হা'য়া মনটা যে একটু কথা বলতে চাইছে।

 তুর এক আকাশ অভি'মা'ন নিয়ে জে'দ করে সবার সাথে হরর মু'ভি দেখতে বসে যায়।ওর মায়ের বা'র'ণ ও শোনে না।ধ্রুব তো এমনি অজু'হাত খুঁ'জ'ছিল।মেঝ চাচির কথা শুনে সিড়ির মুখ থেকে ফিরে আসে।

"তোর এই রাতের বেলা হর'র মু'ভি দেখতে হবে না"

অন্য দিকে তাকিয়ে মুখটা ভে'ঙ'চিয়ে টি'ভিতে মনো'যো'গ দেয়।কিন্তু ধ্রুব সেটা দেখে নেয়।

"কি বলেছি?তোর এই রাতের বেলা মু'ভি দেখতে হবে না।যা রুমে যা,ঘুমা গিয়ে।"

তুর কিছু শুনছেই না এমন ভাবে বসে আছে।

"কি হলো।চাচি কি বলে গেছে কানে যায় নি।"
------ 
"বড়রা কিছু বললে উত্তর দিতে হয় জানিস না।"
---------
এবার ধ্রুব ভাবে কেমন ঘাড় ত্যা'ড়া মেয়ে।

"যেতে বলিনি।রাত দুপুরে যদি ভ'য় পেতে দেখি বুঝবি মুভি কাকে বলে।"

ধ্রুব রুমে যেতে নিয়ে ও আবার ওদের সাথে মুভি দেখতে বসে।কিন্তু মুভি কম তুরকে দেখে বেশি।তুর ওযে চোরা চোখে কয়েক বার ধ্রুবকে দেখে।মুভি শেষ হলে তুর আগেই রুমে চলে আসে।আর ড্রেস চে'ন্জ করে শুয়ে পড়ে।

কিন্তু ওই দিকে সব গুলো মিলে প্ল্যা'ন করে।ধ্রুবকে দিয়ে তুরকে ভ'য় দেখাবে।আর ধ্রুব ও  রাজি হবে না হবে না করেও,তুরের স'ন্নি'ক'টে যাওয়ার লো'ভ সাম'লা'তে না পেরে রাজি হয়ে যায়।আর তুরকে ভ'য় দেখায়।তুর ও মা'রা'ত্ম'ক লে'ভে'লের ভ'য় পায়।

বাকিটা তো সবার জানাই আছে।


চলবে.......

إرسال تعليق

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.