আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

ভয়ংকর রহস্য (পর্ব ০২) - Nayeem Chowdhori

তারা তিনজনে দেখলো সামনে রকির লাশ পড়ে আছে । একটা ছেলে রকির হাত কামড় দিয়ে হাতের মাংস খাচ্ছে আর একটা কালো বোরখা পড়া মেয়ে রকির হাত টা টেনে টেনে......
ভয়ংকর রহস্য (পর্ব ০২) - Nayeem Chowdhori

ভয়ংকর রহস্য
পর্বঃ ০২
লেখকঃ Nayeem Chowdhori


চার বন্ধু একসাথে বসে চা খাচ্ছে আর সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছে । কেউ কোন কথা বলছে না তারাও এই জিনিসটা মেনে নিতে পারছে না যে তার বন্ধু কে কেউ এইভাবে হত্যা করতে পারে । এদের পাচ বন্ধুর কোন শক্তু ওহ ছিল না তাইলে সাগর কে এইভাবে মারলো টাহ কে !

হঠাৎ রকি বললো ,,, আচ্ছা আমাদের তো কারো সাথে কোন শক্তু তাও নেই আর আমাদের বন্ধু কে মারবে এত সাহস ওহ কাউর নেই তাহলে মারলো টা কে সাগর কে ?

জিসান বললো ,,আমি ওহ বুঝতে পারছি না এত ভয়ংকর হত্যা কে করল আর একটা মানুষের পক্ষে এইটা কিছুতেই সম্ভব নয় ?

সজিব বললো,,,, তাইলে এইটা কোন আত্নার কাজ তোহ নয় ? সবাই আত্নার নাম শুনে একটু ভয় পেয়ে গেল ,সবাই নিজেদের নিজেদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে আসলেই এই কাজটা তোহ কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাইলে এই কাজটা কি কোন খারাপ আত্নার .!

রহমান বলল,,, আচ্ছা কালকে সোহাগ যেভাবে একা গিয়েছে আজকে আমাদের মাঝে কেউ ওইভাবে একা যাক সেই রাস্তা দিয়ে আর একটা কথা ক্লিয়ার যে সোহাগের সাথে শক্রুতা মানে আমাদের সাথেও শক্রুতা এইটা বুঝতে পারছিস ।

সবাই রহমানের কথা সহমত হলো সেই ৫ বছর আগের থেকে ওদের বন্ধুত্ব আর ওরা পাঁচজন সবসময় এক সাথেই ঘুরতো তারপর থেকে, যেটাই করুক না কেন পাঁচ বন্ধু একসাথে মিলেমিশেই করবে ।
চারজন ডিসিশন করলো রকি কে ওই জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পাঠাবে আর রকির কানে একটা হেডফোন থাকবে যেটা দ্বারা রকি বাকি তিনজনকে খবর দিতে পারবে আর বাকি তিনজন জঙ্গলের একটু পরেই থাকবে । আর জঙ্গলটা পার করলেই তাদের গ্রাম মাঝখানে খালি এই জঙ্গলটাই ব্যাবধান ।

রকি শিকার হলো যে যাবে আর রকি ওহ মানে এই চারজনের ভেতর সে একটু ঠান্ডা মাথায় কাজ করে । রকি হেডফোন কানে দিয়ে তাদের ভেতর একজনের সাথে কথা বলতে বলতে জঙ্গলের দিকে যেতে লাগল ,

বাকি তিনজন তাদের R15 বাইক নিয়ে জঙ্গল পার করে সামনে বাইক ঠেকিয়ে রকির সাথে কথা বলছে । রকি দোকান থেকে খুব সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগল , তখন রাত ঠিক ১০ টা আশেপাশে এখনো পোকামাকড়ের আওয়াজ আসছে ।

রকি সামনের দিকে যাচ্ছে আর একটা করে নিউজ দিচ্ছে বাকি তিনজন কে । রকি ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । জঙ্গলের কাছে আসতেই রকির গায়ে একটা দমকা বাতাস লাগলো । এতটা ঠান্ডা বাতাস ছিল যে রকির পুরো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেল ।

রকি বললো ,,,ভাই একটা ঠান্ডা বাতাস আমার শরীরে লাগলো এখন । ওইপাশ থেকে বাকি তিনজন বললো,,আরে শা*লা ভয়ের কিছু নেই তুই খারাপ কিছু আভাস পেলে আমাদের বলবি আমরা বাইক নিয়ে জলদি যাব ।

রকি আশেপাশে হাল্কা তাকিয়ে দেখল কেউ নেই । আকাশের চাঁদটা ও আজকে পুরোপুরি ভাবে উঠেনি । রকি আর কিছুদূর যেতেই দেখলো একটা বড় লিচু গাছের উপর দুইটা বিড়াল বসে আছে । রকি এইটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিলো ।

রকি লিচু গাছটা পার করতেই বিড়াল দুটো এত জোরে চিৎকার করে উঠল যে রকি ভয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে গেল । রকির কপাল বেয়ে ঘাম পড়ছে । রকি ফোনের ভেতর বললো ,,,ভাই আমার খুব ভয় করছে এখানে খুব জোরে দুইটা বিড়াল ডাক দিতে !

ওইপাশ থেকে তিনজন হাসতে হাসতে বলতে লাগলো,,,আরে ভাই তুই সামান্য একটা বিড়াল দেখেই ভয় পেলি ছিছিছি মান সম্মান সব খাইলি আমাদের ? রকি একটু লজ্জা পেয়ে সামনের দিকে হাঁটতে লাগল ।

রকির কেমন জানি মনে হচ্ছে তার মাজায় খুব ব্যাথা করছে , হঠাৎ রকির মনে হচ্ছে ওর পিছু পিছু কেউ হাঁটছে । রকির চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল । রকি ভেতর থেকে অনেক ভয় পেয়ে গেল , রকি ধাপ করে পিছন দিকে তাকতেই দেখে পিছনে কেউ নেই !

রকি ফোনে বলল ,,ভাই আমার এইখানে কোন কিছু সুবিধার লাগছে না আমার খুব ভয় করছে আর বার বার মনে হচ্ছে আমার পিছনে কেউ রয়েছে ! বাকি তিনজন বললো ,,তুই তাকে দেখার চেষ্টা কর আর সাহসের সাথে সামনের দিকে আস্তে থাক আমরাও গেতাছি হেঁটে হেঁটে সমস্যা নেই ?

রকি বাকি তিনজনের কথাই একটু সাহস পেল । রকি সামনের দিকে আবার এগিয়ে গেল । রকির আবার মনে হচ্ছে তার পিছনে পিছনে কেউ রয়েছে । রকি মনে মনে ভাবলো যেই রয়েছে কিনা তাকে একটু বোকা বানাই সামনের ক্যামেরা ধাপ করে ধরলেই তাকে হয়ত দেখা যাবে আর চাঁদের রাত বলে কথা ।

রকির আবার মনে হলো ওর পিছনে পিছনে একজন নয় বরং দুইজন রয়েছে । রকি অনেক ভয় পেয়ে গেল এইবার রকি একটু বুদ্ধি করে সামনের ক্যামেরা অন করতেই দেখে তার পিছনে একটা মেয়ে আর এক ছোট ছেলের ছায়া দেখা যাচ্ছে । রকি পিছন দিকে তাকাতেই দেখে সেখানে কেউ নেই । এইবার যেন রকি বিরাট ভয় পেয়ে গেল । রকির পুরো শরীর ঘেমে গেলো ।রকির মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিল না । রকি বুঝেছিলো এই দুইজন কোন মানুষ ছিল না !

রকি বাকি তিনজন কে বললো,,,, আমার বারবার মনে হচ্ছিল আমার পিছনে একজন নয় বরং দুইজন ছিল আমি বুদ্ধি করে সামনের ক্যামেরা অন করতেই দেখি আমার ঠিক পিছনে একটা মেয়ে ছিল যার পরণে কালো বোরখা ছিল আর তার এক হাত ধরে ছিল একটা চোখ ছেলে যার গায়ে অনেক ধুলোবালি জমা পোশাক আর প্যান্ট ছিল কিন্তু সেগুলো খুব ছেরা ছিল । আমি পিছন দিকে ঘার ঘুরাতেই দেখি কেউ নেই , আমার খুব ভয় করছে তারাতাড়ি তোরা আয় ।

বাকি তিনজন বললো ,, তারমানে তোর পিছনে কোন মানুষ নয় বরং হ্যালো হ্যালো রকি কথা বল । রকি তো ফোন কেটে দিল এখন আমরা কি করবো বল ?

বাকি দুইজন বললো ,,চল তাড়াতাড়ি দৌড়ে ওর কাছে চলে যায় আমরা নাহলে কোন অঘটন ঘটাতে পারে । তারা তিনজনে জঙ্গলের দিকে দৌড়াতে লাগলো । তিনজন খুব দ্রুত দৌড়াচ্ছে কারণ তাদের মনে একটা ভয় কাজ করছে ।

৫ মিনিট পর তারা দৌড়াতে দৌড়াতে থেমে গেল ভয়ে । তারা তিনজনে দেখলো সামনে রকির লাশ পড়ে আছে । একটা ছেলে রকির হাত কামড় দিয়ে হাতের মাংস খাচ্ছে আর একটা কালো বোরখা পড়া মেয়ে রকির হাত টা টেনে টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে । ছোট ছেলেটা ওই হাতের ওহ মাংস খাচ্ছে ।

চোখের সামনে এমন ভয়ংকর দৃশ্য দেখে তিনজনে চিৎকার করে উঠে । তাদের চিৎকার দেখে কালো বোরখা পড়া মেয়েটা রকির মাথা টা এক টান দিয়ে বডি থেকে আলাদা করে ফেলল । রকির মাথা থেকে অজোড়ে রক্ত পড়ছে । ছোট ছেলেটা তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে রকির দুইটা চোখ তুলে ফেলল ।

এমন দৃশ্য দেখে সেখানে সজিব অজ্ঞান হয়ে গেল । বাকি দুইজন ভয়ে চুপসে গেছে মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিল না । তাদের হ্যাটবিট অনেক কাঁপছিল দুইজন ভয়ে একদম পানি হয়ে যাচ্ছিল । তাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে বোরখা পড়া মেয়েটা বলতে লাগলো ,,,, দোস্ত চিনতে পেরেছিস আমাকে ?

রহমান আর জিসান বলতে লাগলো ,,, ইসরাত তুই ! এইটা হতে পারে না আমরা তোহ তোকে নিজ হাতে কবর দিয়ে এসেছি তাইলে তুই কিভাবে এখনো ?

ইসরাত বলতে লাগলো ,,, দোস্ত তোদের আমি এতটা ভালবাসি যে তোদের কেও আমার দুনিয়াতে নেওয়ার জন্য এসেছি হাহাহাহাহা !

( কালো বোরখা পড়া মেয়েটার নাম ইসরাত তাই এখানে নামটাই ব্যবহার করলাম )

রহমান আর জিসান ভয়ে সামনের দিকে ছুটতে লাগলো । তারা দুইজন এতটা জোরে দৌড়াচ্ছে যে তাদের সাথে চিতাবাঘ ওহ দৌড় হয়তো এখন পারবে না । তার দুইজন দৌড়ে দৌড়াতে গ্রামে প্রবেশ করলো । তারা দুইজন গ্রামে চিৎকার করে করে রকির মৃত্যুর কথা বলল । কিন্তু ইসরাত যে আত্না হয়ে ফিরে এসেছে এইটা গোপন করলো । গ্রামের সব মানুষ রাতেই দৌড়ে সেখানে গেল রকির বাবা মা কাঁদতে কাঁদতে সেখানে গেল । রহমান আর জিসান ভয়ে জিসান দের খাটের নিচে চুপটি মেরে বসে রয়ল দরজা আটকে । তাদের মনে খুব ভয় ।তারা দুইজন ঘেমেই চলছে শুধু তারা নিজেদের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছে না যে তারা কি দেখেছে আর কিভাবে তাদের বান্ধবী ইসরাত ফিরে এলো । রাত তখন আনুমানিক ১২ টা বাজে ।


অন্যদিকে ,,,,,,

নাইম আর মুগ্ধ বসে আছে বাইরে তারা আজকে অনেক খুশি । এদের দুইজনের কাজ ধান্দাবাজি করা ‌। লোকজন কে রাতের আঁধারে ভয় দেখাবে । আবার তারাই লোকজনের সামনে গিয়ে বলবে আপনার রাশিতে ভূতের চাপ পরেছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে লোকজন কে নাইমের কাছে আসবে । তারপর নাইম আর মুগ্ধ সেই বাড়িতে তান্ত্রিক বাবা সেজে গিয়ে টাকা খেয়েদেয়ে চলে আসবে । তারা এই ধান্দা টা অনেক আগে থেকেই করে আসছে । কিন্তু তারা দুইজন এতটা ভিতু যে একজন আরেকজনকে ছাড়া রাতে একা একা ইয়ে করতেও বের হয়না । মুগ্ধ একটু সাহসী কারণ অন্ধকার রাতে মানুষ জনকে ভূত সেজে ভয় মুগ্ধই দেখায় । আর নাইম সে তো রাজা সেজে বসে থাকে আর মানুষ জনকে র বাড়িতে গিয়ে কয়ডা তাবিজ দিয়ে লাখলাখ টাকা নিয়ে আসে ।

তাঁরা দুইজন বসে চায়ের সাথে বিস্কুট খাচ্ছে আর গল্প করছে ।

নাইম ,,,, দোস্ত আজকের ধান্দা টা কিন্তু দারুন ছিল যাইবলিশ এর পরের ধান্দা টা করে আমি একটা বাইক কিনবো আমার খুব ইচ্ছা একটা প্রিয় মানুষ কে নিয়ে বাইকে ঘোরা !

মুগ্ধ মাথায় একটা থাপ্পর মেরে বলতে লাগলো ,,,আইছে বাইক কিনতে আমরা যে ধান্দা করিনা সেটা যদি কোন মেয়ে জানে না সে আমাদের গার্লফ্রেন্ড তো দূরের কথা আমাদের বোন ওহ হতে চাইবে না ।

নাইম ,,, আচ্ছা পাশের গ্রামে ভয়ংকর ভাবে লোকজন মরছে চল না ধান্দা টা কালকে ওইখানেই করি ?

মুগ্ধ একটু ভয় পেয়ে গিয়ে বলতে লাগলো,,,,না না ওইখানে কিছু তো একটা গড়বড় আছে নাইলে ওইরকম ভয়ংকর মৃত্যু কিভাবে হতে পারে । আর ওইখানে যদি সত্যি সত্যি আত্না থেকে থাকে তাইলে তো আমাদের কপালে শনি আছে !

হঠাৎ মুগ্ধর ফোনে ফোন আসল । মুগ্ধ নাইম কে চুপ থাকতে বলতেই নাইম চুপ হয়ে গেল । মুগ্ধ ফোনটা ধরতেই ,,,, তান্ত্রিক বাবা আপনি তাড়াতাড়ি ভেওয়ামারা গ্রামের শেষ মাথায় এসে আমার ছেলেকে রক্ষা করুন আর এইখানে আরেকটা লাশ পাওয়া গেছে তাড়াতাড়ি আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন তার বিনিময়ে আপনার যতটাকা লাগবে আমরা গ্রাম বাসী দিতে রাজি !

মুগ্ধ কিছু বলার আগেই নাইম ফোনটা কেড়ে নিয়ে বলতে লাগলো,,,, আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কিন্তু আপনি টাকাটা একটু গরম করে রাখবেন । এই বলে নাইম ফোন কাটতেই মুগ্ধ নাইমের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়লো ।

নাইম মুগ্ধ কে বলল ,,,পিল্জ দোস্ত মেনে যা না শুধু এইবারের টাই এরপর আমি আর এক লাইন বেশি বুঝবো না তোর সাথে যা ‌ । মুগ্ধ কোন কথা না বলেই তাদের টমটম মার্কা বাইকে চরে বসল । বাইকের সবকিছুই ভাঙ্গা শুধু বাইক টা চলে এটাই নাইম আর মুগ্ধর কপাল ।

নাইম কালো একটা শার্ট আর কালো একটা লুঙ্গি পড়েছে । মুগ্ধ ওহ ওইটাই পড়েছে দুইজনে প্রায় সময় এইটাই পড়ে ধান্দাবাজি করতে যায় । নাইম বাইক স্টাট দিয়ে চোখে কালো একটা চশমা পড়ল । বাইক স্টাট দিতেই প্রচুর শব্দ হলো । নাইম আর মুগ্ধ দাঁত কেলানি দিয়ে কানে হেডফোন পড়ে নিলো । তারপর তারা রওনা দিলো তাদের গন্তব্য স্থানে যেখানে রয়েছে তাদের জমমমম ?.....




#চলবে.....




বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গল্পে নতুন ইসরাত টা কে ,কেন এইভাবে ভয়ংকর মৃত্যু দিচ্ছে সবাইকে ,এই পাঁচজন বন্ধুর সাথে ইসরাতের কি সম্পর্ক , আর ওই ছোট্ট ছেলেটাই বা কে , নাইম আর মুগ্ধ কি পারবে রহস্য বের করতে নাকি তাদের এতদিনের ধান্দার ফল কালকে হারে হারে টের পাবে সবকিছু জানতে চোখ রাখুন সাহিত্যবক্সে.....

Post a Comment

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.