ধ্রবতারা
লিখিকাঃ গল্প কন্যা (ছদ্ম নাম)
বাবা আমার একটা ড্রেস লাগবে..... অনুষ্ঠানের দিন পরার জন্য।
তুহিন : আপু তোর না অনেক ড্রেস আছে ,এখন আবার কিসের ড্রেস?
তুর:তুই এত কথা বলছিস কেন?আজব!!!!তোর লাগলে তুই ও নে...সব কিছুতে নাক গলাস কেন?
তুহিন : কি করলাম?তুই কিনলে আমার ও লাগবে।তোকে যত টাকা দিয়ে কিনে দিবে তার চেয়ে এক পয়সা কমে ও কিনবো না বলে দিলাম।
তুর: বাবা দেখেছো তোমার ছেলে কেমন হিংসা করে,কিছু হলেই বলে তুমি নাকি আমাকে পেয়ে আনছো।
কবির:তুহিন...!ও তোমার বড়ো আপু হয় না..... এভাবে বলে...... তোমাদের দু জনকেই কিনে দিব। যার যেটা পছন্দ সেটা ই নিবে,,কিন্তু কম বেশি দেখা যাবে না।তুরের মা.......।
ওদের নিয়ে বিকেলে মার্কেট যেও তো।
রায়লা : তোমার এই বাদর দুইটা নিয়ে আমি যাব না ,মাফ চাই।
কবির:তাহলে কে যাবে?
রায়লা : সে আমি জানি না,ফাহিমকে সাথে নিয়ে চলে যেতে পারবে।
কবির:আরে ফাহিম নিজে ই তো ছোটো মানুষ।
রায়লা : তাহলে যাওয়া লাগবে না। (বলেই চলে গেলেন )
কবির :কি করবে এখন দুজনে ,ফাহিমের সাথে ই যাও.. আমি বলে দিচ্ছি আর কার্ডাটা সাথে নিয়ে যেও।কোনো ঝামেলা যেন না হয় তুহিন..
দুজন এক সাথে "ওকে বাবা...."
কবির মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন নিচে।লিভিং রুমে সোফায় ছেলেমেয়েরা কেও ফোন টিপছে কেউ টিভি দেখছে।ফাহিম মনোযোগ দিয়ে গেম খেলছে।আবির ও ফোনে তাকিয়ে আছে। দাদি আর নানি বসে বসে পান খাচ্ছে আর গল্প করছে।রাইসা রিয়া ঐশি টিভিতে মুভি দেখছে।কবির ফাহিমের উদ্দেশ্যে বলছে....
:ফাহিম.....
ফাহিম :জি চাচা...(থতমত খেয়ে ফোন রেখে )
কবির : তোমার না এক্সাম সামনে সারাক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকো পড়ো কখন?
ফাহিম :জি চাচা ,মানে.... পড়া থেকেই উঠে এসেছি...
কবির:গুড।রেজাল্ট খারাপ করা যাবে না,মনে রেখো তুমি টপার ধ্রবোর ভাই।
ফাহিম :জি চাচা.... (জীবনে ও ভালো করতে পারবো না,কেন যে আমি ওই টপার টার ভাই হলাম)
কবির:আচ্ছা শোনো,ওই তুর আর তুহিন একটু মার্কেটে যাবে তুমি ও যেও কেমন যেটা পছন্দ নিয়ে এসো।
ফাহিম :জি চাচা...
শাহানা:হ্যা যা ধ্রুবকে ও নিয়ে যা সাথে,আর রাইসা রিয়া ঐশি আবির কে ও নিয়ে যা,ওদের কে ও তো নিয়ে যাওয়ার কথা।
কবির:তাহলে তো হলোই,সবাই সাবধানে যেও...।
ফাহিম : ঠিক আছে.....
আমি.. ভাইয়াকে বলে দিচ্ছি।
ফাহিম ধ্রুবর রুমে যায় গিয়ে দেখে ধ্রুব কারো সাথে লাইভ কনফারেন্সে বিজি।তাই,ওর রুমের সোফায় গিয়ে বসে।আর গেম খেলা শুরু করে।
দশ মিনিট পর ধ্রুবর মিটিং শেষ হয়।লেপটপ অফ করে ফাহিমের দিকে ফিরে...
:কি.... কিছু বলবি?
:হ্যা,মা বলেছে সবাইকে নিয়ে মার্কেটে যেতে।
:তো যা।
:তোমাকে ও যেতে বলেছে।
:যেতে পারবো না কাজ আছে বলে দিব মা কে।
:(মোবাইল টিপতে টিপতে ই)তুর ও যাবে...
:লোভ দেখাচ্ছিস?
:না তো,সত্যি কথা বলেছি।ও পাগল হয়ে গেছে তাই চাচা আমাকে বলেছে যেতে।আর বাকিদের জন্য ও যেতে হবে তাই তোমাকে মা বলছে যেতে।না গেলে প্রবলেম নাই আমি মা কে বলে দিব তোমার কাজ আছে।
:ওকে ঠিক আছে।এতো মানুষের কেনা কাটা একা করতে পারবি না,আমি আমার কাজ পরে করে নিব।
:প্রথমে বললেই পারতে তুর গেলে যাব নয়তো যাব না।
::ফাহিম..... বড়ো ভাই হই তোমার!!!
:তো.... (এতোক্ষণে মোবাইল থেকে চোখ সরায়)
:মাইর চিনিস.....?
:হুম এখন তো মারবা ই,এতো দিন ডিউটি তো আমাকে দিয়ে ই করাইছো।সত্যি কথা বললেই দোষ।
:তুই আমার ভাই না...!! তো ভাই হয়ে ভাই কে হেল্প করবি না...।খোটা দিচ্ছিস?
:কি করবো এমন ভাব নিচ্ছো,আমার বেলা দেখবো কেমন হেল্প করো।
:তোর বেলা মানে...এখনি শুরু করে দিছিস?
:কেন?তোমার চেয়ে দেরিতে ই শুরু করছি।
:মুখটা বেশি ই চলতেছে......
:ওই একটু আরকি......(কথা ঘুড়িয়ে )তাহলে তুমি যাচ্ছ?
:সেটা তো যাচ্ছি,,কিন্তু কে সে?
:বলবো সময় হলে?তোমার থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত....
(দুজনেই হো হো করে হাসতে লাগলো)
ফাহিম আসছি বলে চলে যাচ্ছে.... তখনই আবার ফিরে এসে....
:বাই দা ওয়ে,ভাইয়া...একটা কথা বলা হয়নি.....
::কি!!!!
:যেখানে সেখানে রোম্যান্স করো না।অন্য কেউ দেখে নিলে আমার মতো চুপ করে থাকবে না.....
:কিসের রোম্যান্সের কথা বলছিস?
:কিসের আবার......ওই রাতের বেলা ছাদে....বেশি কিছু দেখিনি চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম।
(বলেই ছুটে চলে গেলো)
:উউফ..... এর সামনে ই পড়তে হলো!!
(ওইদিন তুর কেঁদে চলে যাওয়াতে যখন ধ্রুব ও চলে গেছে,তখন ফাহিম ও ওর নানুর সাথে রেগে বলেছে-"নানু তুর আমার বোন, আর আমরা একি সাথে বড়ো হয়েছি, একি সাথে পড়ি ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।ওর সাথে দুষ্টুমি আজ নতুন না আর ভবিষ্যতে ও হবে হতেই থাকবে নেক্সট টাইম এভাবে বললে বাবা চাচার কানে কথা উঠবে।তাদের কানে উঠলে এর চেয়ে বেশি কথা শুনবে।"বলেই ধ্রুবর পিছনে ছুটলো।আর খুজতে খুজতে ছাদে পৌছাল।গিয়ে দেখে ভাই তার প্রেয়সীর অভিমান ভেঙ্গিয়ে
ফেলেছে।কিন্তু হঠাৎ করেই ধ্রুব তুরকে...... করে বসে।
তখন নিজেই নিজেকে বকে এখানে আসার জন্য।
তার একটু পর ই তুর দিক বেদিক না তাকিয়েই ছুটতে থাকে।
কিন্তু,তুরকে আর লজ্জায় ফেলতে চায়নি তাই আড়ালে দাঁড়িয়ে যায়।)
বিকেলে ৪টায় সবাই শপিং এর উদ্দেশ্য রওনা হয়। যাওয়ার পূর্বে ধ্রুবর জন্য তুর যেতে অমত করলেও বড়ো মার কথায় পরে যেতে রাজি হয়।
বাড়ির বড়ো গাড়িটা নিয়ে বের হয়।
শোরুমে পৌঁছে মেয়েদের জোনে আগে যায় ,কারন তাদের সময় একটু বেশি লাগে। ধ্রুব যার যার ইচ্ছে মতো পছন্দ করতে বলে তুহিনকে আর ঐশিকে নিয়ে বাচ্চাদের জোনে যায় ওদের ড্রেস আনতে।
তুর অনেক খুজে রেড কালার একটা গাউন হাতে নেয় ও এটা ট্রায়াল দিবে,তখনই রায়সা বলছে
-"এটা তোমাকে মানাবে না তুমি একটু বেশি ই ধবধবে,এটা পড়লে তোমাকে ধবল রোগীর মত লাগবে"বলে ই ছো মেরে হাত থেকে নিয়ে গেলো।
তুর বোকার মত তাকিয়ে রইলো,কি বলা উচিত এখন ভেবে পাচ্ছে না।
চুপচাপ দাড়িয়ে থাকলো আর কোনো ড্রেসে নজর ও দিলো না।
এই প্রথম ওর পছন্দ করা কিছু কেউ কেরে নিলো,তাও আবার তাদের বাড়ির মেহমান।
কি বা বলার আছে এখন,কেউ শুনলে কি বলবে!!!!
তাই চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো।কিছুখন পরে ফাহিম আবির তাদের ড্রেস নিয়ে হাজির,রিয়া রাইসা ও।
রিয়া একটা গ্লোডেন কালার গাউন নিয়েছে গরজিয়াস টাইপ বাট সুন্দর দেখতে।
ফাহিমকে দেখাচ্ছে -"দেখো তো ফাহিম ভাইয়া,সুন্দর না?"
ফাহিম : এত্তো গুলা সুন্দর রিয়া এটা পড়লে তোমাকে পুড়া বারবি ডল লাগবে।
রিয়া: থেংক্স ভাইয়্যা...... (কিউট স্মাইল দিয়ে)।
ফাহিম :প্লিজ,রিয়া এতো সুন্দর হাসি দিয়ে এই ভাইয়্যা টা না লাগালে হয় না।
রিয়া:কেন?ভাইয়্যা...
ফাহিম : (ওরে শালার.... কেডায় যে কইলো প্রেমে পড় তুই।)না আসলে কে কখন ভাইয়্যা থেকে সাইয়্যা হয়ে যায় বলা তো যায় না....তাই আরকি।
সবাই জোরে হেসে উঠে তুর শুধু মুচকি হাসি দেয়।
ধ্রুব চলে আসে :কিরে তোদের হলো??
আবির:তুরিনের বোধ হয় কিছু পছন্দ হচ্ছে না।
ধ্রুব : পছন্দ হচ্ছে না কেন?
ফাহিম : আমরা অন্য কোথাও যাই তাহলে, তুর কি বলিস?
তুর:না থাক লাগবে না এমনি অনেক দেরি হয়ে গেছে...
ধ্রুব : আচ্ছা না কিনলে নাই।ফাহিম ব্যাগ গুলো ধর, যা তোরা কাউন্টারের পাশে যেয়ে দাড়া আমি মা আর চাচিদের শাড়ি নিয়ে আসছি।
ধ্রুবর এই কথায় তুর খুব কষ্ট পেলো কিন্তু রইসা খুব খুশি হলো।
রাইসা : আমি ও যাই আপনার সাথে?
ধ্রুব : যাবে? চলো....
সবাই কাউন্টারের পাশে কাস্টমার দের বসার জায়গায় বসে যার মতে ব্যস্ত হয়ে যায়...
তুরের এমনি মন খারাপ,,ধ্রুবর কথায় তো খুব কষ্টও পেলো,কিন্তু রাইসা কে সাথে নিয়ে যাওয়ায় রেগে বোম হয়ে আছে।
ধ্রুব তিনটা শাড়ি নিলো ওর মা আর চাচিদের জন্য,দাদি আর নানুর জন্য ও দুইটা শাড়ি নিলো।
একটা লাল টকটকে সিদুর রঙা জামদানী শাড়ি নিল।
শাড়ি টা নেওয়ার সময় রাইসাকে বললো-"সুন্দর না শাড়িটা?পছন্দ হয়েছে? "
রাইসা ও জবাবে বললো -" খুব ই সুন্দর,হ্যা পছন্দ হওয়ার মতো ই তো।আপনার চয়েজ খুবই সুন্দর।অফ কোর্স স্পেশাল পারছনের জন্য ?"
উওরে-"এবসুলিটলি রাইট,ইটস ফর মাই স্পেশাল পারছন,ফর মাই ওনলি ওয়ান পোল স্টার"
রাইসা খুব খুশি হয়,ও ভাবে হয়তো ওর জন্য ই হবে।তাই ওকে পছন্দের কথা জিজ্ঞেস করেছে।আর ইন ডিরেক্টলি ওকে বোঝাচ্ছে।
ধ্রুব পাঞ্জাবির জোন থেকে তিনটা পান্জাবি নেয় বাবার আর চাচাদের জন্য।
তারপর আশেপাশে ঘুরে সব দেখতে থাকে......
তখন দুইটা ডলে পরানো কাপল সেট
দেখতে পায়...
হাল্কা গোলাপি কালার একটা গাউন,যার ওপর পেস্ট কালারের কাজ করা।আর সাথে একটা পেস্ট কালারের সেরোয়ানি টাইপ পান্জাবি,যার গলায় সিম্পল পেস্ট কালার কাজ করা,
একটা কাপল সেট।
দুইটা ড্রেস ই জাস্ট অসাধারণ।যাকে বলে সিম্পলের মধ্যে গরজিয়াছ।
নিউ কালেকশন তাই,দুইটা ড্রেস ই ডলে পরিয়ে রাখা।ওয়ান পিস সেল করা হবে না।কাপল সেট হিসেবে বিক্রি করবে ,কারণ অফার আছে। ত্রিশ হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ টাকার ড্রেস,তারা তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ টাকা ডিসকাউন্টে বিক্রি করবে।
ধ্রুবর চোখ আটকে যায় গাউন টাতে।কল্পনা করে তার চঞ্চল প্রেয়সীকে এটা পড়লে কেমন লাগবে। ড্রেসটা নিয়ে নেয়।
রাইসা ড্রেসটা দেখা থেকে শুধু বারবার বলেছে-"খুবই সুন্দর ড্রেস টা। এক কথায় ওয়াও,আপনার পছন্দ আছে বলেতে হবে। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না।আপনি কাপল সেট কেন নিলেন?"
ধ্রুব খুবই ডিস্টার্ব ফিল করছে,এই মেয়ের প্যানপেনানি,আর আপনি আপনি করা।কতো টা বেয়াদব হলে বড়ো কাউকে এইভাবে কোনো সম্বোধন ছাড়া আপনি আপনি করা যায়।
আর ওই আর একজন আছে,না চাইতে ই মুখে ভাইয়ার ফুল ঝুড়ি নিয়ে বসে।
কাউন্টারে এসে দেখে সবাই হাসা হাসিতে ব্যস্ত শুধু মাত্র তুরই গাল ফুলিয়ে বসে আছে। রাগের চোটে উপরে তাকাচ্ছে না পর্যন্ত।
এদিকে ধ্রুব পেমেন্ট করছে সবার সব কিছুর।ওর হাতে শপিং ব্যাগ থাকায়া ঝামেলা হচ্ছে।তাই রাইসা জোর করে নিতে যায়।
আর ইচ্ছে করে ধ্রুব হাতে ধরে ছুঁয়ে ব্যাগ গুলো নিজের হাতে নেয়।কিন্তু তুর এটা দেখে রাগের চুরান্ত সীমায় পৌঁছে যায়।
আর উঠে কাউন্টারে গিয়ে ব্যাগ থেকে কার্ড বের করে দেয় তুহিনের ড্রেসের জন্য।ধ্রুব ওর টোম্যাটোর মতো মুখের দিকে তাকিয়ে বলে "আমি দিচ্ছি তো,আজকে সবার ড্রেস আমি কিনে দিচ্ছি,কার্ড
লাগবে না"
তুর ওর দিকে না তাকিয়ে ই বলে "আমার বাবা ফকির হয়ে যায়নি যে অন্যের দেওয়া কাপড় পড়তে হবে। "বলে কার্ড রেখেই চলে যায়।
ধ্রুব ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে কার্ড টা ওয়ালেটে ভরে রাখে।
ধ্রুবর কথা শুনে রাইসা খুব খুশি হয়।ধ্রুব তুরিন কে কোনো ড্রেস কিনে দেয়নি অথচ ওর জন্য...... উফফ... কিন্তু এই মেয়ে টা বেশি বারবাড়ি করে সবার সাথে সব জায়গায়।কয়টা কথা না শুনালে নয়।
রাইসা এসব দেখে ধ্রুব কে বলে"মেয়েটা খুব বেশি বেয়াদব,আর অহংকারে দেমাগে ভরা।বড়োদের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় এটা ও শিখেনি।বেশি আদর পেয়ে শাসনের অভাবে আস্ত বেয়াদবে পরিনত হয়েছে।অভদ্র একটা..."
ওর এই কমপ্লিমেন্ট শুনে ধ্রুব যারপরনাই রাগ করেছে, যা বলার ভাষা রাখে না।কিন্তু পাবলিক প্লেস বিধায় দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে আছে।
যদিও কথা ছিল শপিং শেষে সবাই একেবারে ডিনার করে ফিরবে,তবে তুর মাথা ব্যথার অজুহাতে গাড়িতে গিয়ে বসে থাকে তাই আর কেউ যায় না।এ জন্য রিয়া রাইসা খুব খেপে আছে।
গাড়ি তে বসে তো রিয়া বলে ও ফেললো "এই সব মানুষ নিয়ে কোথাও গেলে ও ঝামেলা,একে তো পুরো মার্কেট তল্লাশি করে ও কোনো ড্রেস চুজ করতে পারল না।এতো বাছাবাছি জীবনেও দেখিনি।তার উপর মাথা ব্যথা,তাই বলে সবার এতো সুন্দর প্ল্যান টা স্পয়েল করে দিলো।
এতো ঝামেলা নিয়ে কোথাও গিয়ে ও শান্তি নেই"।
রাইসা ও সাথে তাল মিলালো"আসলে ওর কোনো দোষ নেই,সবার অনেক আদরে এমন হয়ে গেছে,তাই না তুরিন?"(মনে মনে খুব খুশি হয়েছে ওকে কষ্ট দিতে পেরে)
তুর গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রাগে কষ্টে অপমানে চোখের পানি ফেলছে।
পাশ থেকে আবির ধমকে ওঠে "এই চুপ করবি তোরা ,এতো বকবক কিভাবে করিস।"
এদিকে ধ্রুব ভয়ানক রেগে গেছে কনট্রোল করার চেষ্টা করছে।
ফাহিম ভাইয়ের রিয়েকশন আন্ডাজ করে টপিক চেন্জ করে।
তুরকে বলে"তুর.... এই তুর.... শোন না....আগামীকাল রাতে আমরা বারবিকিউ পার্টি করবো,খুব মজা হবে নাচবো গাইবো..
তুহিন,ঐশি,আবির,রিয়া এক সাথে ইইয়্য্যা...করে উঠে.... কিন্তু তুর এ জগতে নেই ও কাঁদছে,ধ্রুবর কান্ড,রাইসা রিয়ার কথা ভেবে কাঁদছে.....
আর ধ্রুবর কষ্ট হচ্ছে ওর প্রেয়সীকে দেখে.......
চলবে...