আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

জলফড়িং (পর্ব-০৪) - রিধিমা জান্নাত রূপা

অচেনা যুবকের বাজে স্পর্শে ঘিনঘিন করতে লাগলো ভেতরটা। ছেলেগুলোর বয়স বেশি না, দিয়ার চেয়েও বছর খানিক কম হবে হয়তো। হাতে পায়ে বড় হয়েছে মাত্র,
Estimated read time: 8 min
জলফড়িং (পর্ব-০৪) - রিধিমা জান্নাত রূপা

জলফড়িং
লেখনীতেঃ রিধিমা জান্নাত রূপা
পর্বঃ ০৪


[ প্রাপ্তবয়স্ক উম্মুক্ত ]

“কি সমস্যা আপনার? তখন থেকে হেঁটেই চলেছি। কি বলতে এখানে এনেছেন সেটা বলুন।”

নিজের সহ্যশক্তি হারিয়ে বিরক্তির রেশ নিয়ে বলে উঠলো দিয়া। মাথা ঘুরিয়ে পিছন ফিরে তাকালো ইফাজ। তাকে নিয়ে দিয়ার বিরক্তির মাত্রাটা বেশ বুঝতে পারলো। সহসায় কিছু বললো না। একটু সময় নিয়ে ধীর কণ্ঠেই বলে উঠলো,
“বলছি, সামনে চলো।”

“কিইই এমন বলবেন আপনি? যে বাসা থেকে এভাবে মিথ্যে বলে নিয়ে আসলেন? মতলবটা কি আপনার? সেদিনের মতো কি আবারও আমাকে উঠিয়ে....”

“বউ হয় তুমি আমার, উঠানোর প্রয়োজন হবে না।”

“বলছি না বউ বলবেন না আমাকে, করবো না আমি আপনাকে বিয়ে। ভাইয়াকে বলে দিবো সবটা। বলতেই তো গেছিলাম, শুধুমাত্র আপনার জন্য.... ”

“আচ্ছা বলো। চলো এখন।”

বলেই হাটার মাত্রা বাড়িয়ে দিলো ইফাজ, খানিকটা এগিয়েই গেল। এদিকে বেশ অবাক হলো দিয়া। ইফাজের শান্ত স্বভাবটা ঠিক মেনে নিতে পারলো না যেন। বেশ সময় নিয়েই ইফাজের শান্ত স্বভাবটা উপলব্ধি করতে পারলো দিয়া। বাসায় আসার পর থেকেই।
তখন বসার রুমে দিয়া যেতেই ইফাজ সবার সামনে নির্ধিদায় বলে উঠে —দিয়া একটু তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেও প্লিজ! কিছু কেনার আছে, সেগুলো নিয়েই তোমাকে বাসায় নেমে দিবো।
বাবা, মা, ভাইয়ের সামনে জবাব দিতে পারে নি দিয়া। রাগ হলেও চুপ করেই ছিলো। ইফাজের সাথে আসার ইচ্ছে মোটেও ছিলো না, কিন্তু সবাই মিলে তাকে পাঠিয়ে দিলো। রিকশায় উঠে সোজা এই পার্ক'টায় আসতে বলে ইফাজ। এতে রেগে যায় দিয়া, বলে পার্কে কেন? তখনই ইফাজ বলে কিছু কথা আছে তার সাথে।

বিকেলের এই মুহুর্তে পার্কে মানুষের সংখ্যা ব্যাপক, বাচ্চা থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষের আনাগোনা। যে যার মতো দল বেঁধে আড্ডা দিচ্ছে, খেলছে, গল্পে মেতেছে। কপোত-কপোতীরা প্রেমে মত্ত হয়ে উঠেছে।
ইফাজ একটু সামনেই হাঁটছে, একটা নিরিবিলি জায়গা খুঁজছে। দিয়া খানিকটা পিছনে। মনে মনে ইফাজকে হাজারো বকা দিতে দিতে সামনে এগোচ্ছে। আচমকাই এক অচেনা যুবকের সাথে ধাক্কা লাগলো দিয়ার। ধাক্কা লাগার ব্যাক্তিটা চকিতেই দিয়ার পেটে গভীরভাবে স্পর্শ করলো, মুহুর্তেই হাতটা গভীর স্পর্শে বুকের কাছটায় উঠিয়ে থামলো। হিজাবে টান লেগে কাঁধে থাকা পিন কাধেই ফুটে গেল দিয়ার। 'আহ্!' বলে মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো, দু'হাতে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো ছেলেটাকে। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে যাওয়ায় হতবিহ্বল দিয়া। ছেলেটা যে তাকে ইচ্ছেকৃত ভাবে স্পর্শ করেছে তা বুঝতেও বাকি রইলো না। ভদ্রতা দেখিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে ছেলেটা বলতে লাগলো, “সরি! সরি! আপু আমি.... ”

“অসভ্য! দেখে চলতে পারিস না? সরি বলে নাটক করছিস?”

একদল বখে যাওয়া ছেলেদের দেখেও থেমে রইলো না দিয়া। কাঁপা কাঁপা গলায় প্রতিবাদ করে উঠতে চাইলো, তবুও যেন দূর্বল হয়ে পড়লো। এমনটা কখনো হয় নি দিয়ার সাথে, না এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে। অচেনা যুবকের বাজে স্পর্শে ঘিনঘিন করতে লাগলো ভেতরটা।
ছেলেগুলোর বয়স বেশি না, দিয়ার চেয়েও বছর খানিক কম হবে হয়তো। হাতে পায়ে বড় হয়েছে মাত্র, আর বাবার অফুরন্ত টাকায় বিগড়ে গেছে। ছেলেগুলোর চেহারা দেখে এর চেয়ে বেশি কিছু মনে হলো না দিয়ার, রাগের বসে তুই বলেই সম্মোধন করলো। এতেই যেন ছেলেটার রুপ পাল্টে গেল চকিতেই। কয়েকজন ছেলের মাঝে সেই ছেলেটাই সামান্য এগিয়ে এলো দিয়ার কাছে। বলতে লাগলো,
“সরি বললাম কানে গেল না, সিনক্রিয়েট করতে মন চায়? কি করেছি আমি, তুইতোকারি করছিস কাকে, হু?”

“কি হয়েছে?”

এর মাঝেই ইফাজ এগিয়ে এলো। দিয়ার আর্তনাদেই পিছন ফিরে তাকিয়েছিলো ইফাজ। ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে না পারলেও দিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক দল ছেলেকে দেখে এগিয়ে আসে। দিয়ার কথা স্পষ্টভাবে বুঝতে পায় না, কিন্তু ছেলেটার কথা ঠিকই স্পষ্টভাবে শুনতে পারে। জিজ্ঞেস করে —কি হয়েছে? এতে তাদের মাঝে থাকা একজন বলে উঠে,
“তাতে আপনার কি? আপনি আপনার কাজ করেন ভাই।”

“আমার কাজটাই তো করছি।”

বলেই দিয়ার দিকে তাকায় ইফাজ, উত্তরের আশায়। কিন্তু মুখ ফুটে কিছুই বলে না দিয়া, হয়তো হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই দূর্ঘটনায় কিছু বলতে পারছে না। ছেলেটার কথা শুনেই তার চোখ দুটো ছলছল করে উঠেছে, ইফাজকে দেখে তার মাত্রা কিছুটা যেন বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিয়ার অস্বাভাবিক চেহারা দেখে কিছুটা আন্দাজ করলো ইফাজ, ইশারায় আবারও কিছু বলতে বললো। মাথা ঝাকালো দিয়া, বোঝালো —কিছু হয় নি। মানলো না ইফাজ। ছেলেটা আবারও দিয়াকে কিছু বলতে নিতেই এগিয়ে এলো। দিয়ার হাত জড়িয়ে ছেলেগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো,
“এরা কিছু বলেছে? সত্যি করে বলো দিয়া।”

আবারও মাথা ঝাকালো দিয়া। সত্যিটা বলতে চাইলো না, হয়তো পারলো না। ছেলেগুলো এবার বুঝতে পারলো ইফাজের সাথেই মেয়েটা ছিলো। সামান্য পিছিয়ে গেল ছেলেটা, কোন রকমে আমতা-আমতা করে সরে যেতে লাগলো। কিন্তু আঁটকে দিলো ইফাজ, ছেলেটার হাতের বাহু চেপে ধরলো। হালকা চেঁচিয়ে দিয়া কে উদ্দেশ্য করে বললো,
“কি বলছি কথা কানে যায় না? কি বলেছে?”

“আরে ভাই কিছুই বলি নাই। জাস্ট ধাক্কা লেগেছে সরি বলেছি, ব্যাস!”

ছেলেটার কথা কানে নিলো না ইফাজ। দিয়া বললে তবেই যেন শুনবে। বেশ জোরেই ধমক দিয়ে উঠলো দিয়াকে, আশেপাশে কিছু লোকজনও দাঁড়িয়ে গেল। এবার চুপ থাকতে পারলো না দিয়া। বাধ্য হয়েই ধীর গলায় বলতে লাগলো,
“ছেলেটা... ছেলেটা আমাকে বাজেভাবে স্পর্শ....”

ব্যাস! আর কিছু শোনার প্রয়োজন করলো না ইফাজ, না সময় ব্যায় করলো। সে এমনটায় কিছু আন্দাজ করেছিলো, কিন্তু দিয়াকে যে বাজেভাবে স্পর্শ করেছে তা বুঝতে পারে নি।
তরিতেই ছেলেটার টি-শার্টের কলার ধরে অপর হাতে বেশ জোরেসোরে থাপ্পড় দিলো ইফাজ। মুখ ফুটে বেশ বাজে শব্দ উচ্চারণ করে বলে উঠলো,

“শ্লা কু'ত্তা'র বা'চ্চা ওর গায়ে হাত দেবার সাহস হলো কি করে? তোকে তো আজ....”


বলেই মা'র'তে শুরু করলো ছেলেটাকে। সাথের ছেলেগুলো আটকাতে আসলে তাদেরও মা'র'লো। বেশ বড়সড় ঝামেলা বেঁধে গেল মুহুর্তেই। আশেপাশের লোকজন আরও জড়ো হয়ে গেল। হঠাৎ এতটা সিনক্রিয়েট হতে দেখে বেশ ঘাবড়ে গেল দিয়া। ইফাজকে আটকাতে চাইলো, কিন্তু পারলো না। এমতাবস্থায় ইফাজকে কখনোই দেখে নি দিয়া, এভাবে রেগে যাবে সেটাও ভাবে নি। শেষমেশ দিক-বিক না পেয়ে ইফাজের হাত টেনে ধরলো, জড়িয়ে ধরে থেমে যেতে বললো। হঠাৎ পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শে চকিতেই থেমে গেল ইফাজ, ঘাড় ঘুরিয়ে দিয়ার দিকে নজর দিলো। ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে মেয়েটা, মুখ ফুটে কিছু না বলেও বলতে চাইছে অনেক কিছু। মুহুর্তেই যেন কিছু একটা হলো ইফাজের, শীতল হয়ে গেল তার রাগান্বিত শরীর। উপেক্ষা করতে পারলো না দিয়াকে। এতক্ষণে ছাড়া পেয়ে ছেলেগুলো উঠে দাঁড়িয়েছে। চলে যাবার উদ্যোগ নিতেই চকিতেই সামনে তাকালো ইফাজ, ছেলেটার পুরুষাঙ্গ বরাবর লাথি দিয়ে খুব বাজে ভাবে একটা গালি দিলো। ছেলেটা আবারও পড়ে গেল মাটিতে, আর্তনাত করতেই বাকিরা এসে ধরলো। সেখানে আর দাঁড়ালো না ইফাজ। অপর হাতে দিয়াকে আলতো ভাবে জড়িয়ে নিয়ে চলে এলো সেখান থেকে।


দিয়াকে নিয়ে পার্কের মাঝেই একটা ছোট দোকানে আসলো। এক বোতল পানি কিনে তা দিয়ার দিকে এগিয়ে দিলো, চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে সামান্য খেতে বললো। কোন কথা না বাড়িয়ে দিয়াও তাই করলো, বেশ খানিকটা সময় পর স্বাভাবিকও হয়ে উঠলো। আর থাকতে চাইলো না দিয়া, মৃদুস্বরে জানালো বাসায় যেতে চায়। ইফাজও দ্বিমত পোষণ করলো না। দিয়াকে নিয়ে চলে এলো, বাসায় গিয়েই রেখে আসলো।
এ বিষয়ে বাসার কাউকেই জানালো না দিয়া, রাতে দিহানের সাথেও কথা বললো না বিয়ের ব্যাপারে। ভাবতে থাকলো ইফাজের রাগান্বিত চেহারা এবং তার প্রতি হঠাৎ এতটা কেয়ারিং হওয়া।


গত হলো আরও দু'টো দিন, বাকি রইলো ইফাজ ও দিয়াও গুণে গুণে নয় দিন। এই দুটো দিনে সেদিনের ঘটনা বারংবার দিয়ার মস্তিষ্কে হানা দিয়েছে দিয়ার। ছেলেটাকে বাজেভাবে গালমন্দও করেছে, আফসোস করে ভেবেছে —ইস্! ছেলেটাকে যদি তখনই জোরেসোরে থাপ্পড় লাগাতাম। বেশ করেছে ছেলেগুলোকে মে'রে'ছে ইফাজ, আমারও উচিত ছিলো লাগালো।
আবারও সেই একই কথা ভাবলো দিয়া, মনে পড়লো সেদিন রাতে ইফাজের ফোন কলের কথা। সেদিন রাতে ফোন করে ইফাজ তাকে, কথা হয় বেশ খানিকক্ষণ। তার অবস্থার কথা জেনে নিয়ে সাবধানে থাকতে বলে ইফাজ, আরও নানান সাবধানতা অবলম্বন করতে বলে। এতেই যেন বেশ বিরক্ত হয় দিয়া, বলে উঠে তাকে নিয়ে যেন আর না ভাবে।ইফাজ বলে উঠে,
“বিয়ে ভাঙার সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলাম তোমায়, নিজেই বিয়েতে না করতে চেয়েছিলাম। বাট.... আপাতত প্ল্যান চেঞ্জ।”

বলেই একটু থামে ইফাজ। এবার বেশ শব্দ করেই হেঁসে উঠে। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বলে,
“শোন মেয়ে, বিয়ে তোমাকেই করছি আমি, আর এটাই ফাইনাল।”

“কেন করছেন আপনি এমনটা? আমাকেই বা কেন বিয়ে করতে চাইছেন? দিশা যদি....”

থেমে যায় দিয়া। নিশ্চুপে বার কয়েক নিশ্বাস টেনে নেয়। একটু সময় নিয়ে ধীর গলায় শান্ত কণ্ঠে বলে উঠে,
“দেখুন ইফাজ, যা হয়েছে সেসব ভুলে নতুনভাবে সবটা শুরু করেন। দিশা তো ঠিকই সুখে আছে আপনাকে ছাড়া, তাহলে আপনি কেন পারবেন না? ও আপনার ভালোবাসা ছিলো ঠিকই কিন্তু আপনাদের সংসার এক ছিলো না। আগেও বলেছি, এখনো বলছি সবটা ভুলে নতুন করে জীনটা সাজিয়ে নেন।”

“হু! সেদিনও তোমার কথাগুলো নিয়ে বেশ ভেবেছি, আর তোমার বেইমান বান্ধবীকে ভুলেও গেছি।”

“পাশে কাউকে পেলে মানষিক প্রশান্তি পাবেন, স্বস্তি পাবেন, একেবারে যাবেন দিশা কে। আপনি তাকে নয়, সে আপনাকে বুঝবে, সাপোর্ট করবে, যত্ন নিবে, ভালোবাসবে। আমার বিশ্বাস এমন কেউ আপনার জীবনে আসবে ইফাজ।”

“হয়তো তার আগমন অনেক আগেই হয়েছে।”

ইফাজের কথাটা কর্ণপাত হতেই খানিকটা অবাক হয় দিয়া। পরমুহূর্তেই কিছু ভেবে যেন স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। ভাবে —যাক এবার হয়তো বুঝতে পেরেছে ইফাজ। কেউ হয়তো তাকে এই মুহুর্তে সাপোর্ট করেছে, তার কথায় হয়তো বলছে। এখন বিয়েতে না করলেই হয়। দিয়া বলে,
“তাহলে তো হয়েই গেল। প্লিজ! ইফাজ বিয়েতে না করে দিন।”

অনুরোধের গলায় বলে দিয়া। তাতে শব্দ করে হাসে ইফাজ। চট করে বলে উঠে,
“আমার মানষিক শান্তি, সাপোর্ট, স্বস্তির জন্য হলেও আমার তোমাকেই লাগবে দিয়া।”

বলেই কল কেটে দেয় ইফাজ, আর হতভম্বের ন্যায় বসে থাকে দিয়া। বাজতে থাকে ইফাজের বলা কথাটা।

“বুড়ি! করছিস-টা কি, হ্যাঁ? সেই কখন থেকে ডেকে চলেছি।”

বলতে বলতে রুমে ঢুকলো দিহান, চকিতেই দিয়ার করা ভাবনা গুলো ছুটে গেল। রাতের খাবার জন্যই ডাকছিলো তাকে। কিন্তু নিজের ভাবনায় এতটায় মসগুল ছিলো যে কারোরই ডাক কানে আসে নি দিয়ার। ভাইয়ের কথায় বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, চট করে বলে উঠে,
“কি হয়েছে ভাইয়া, কিছু বলবি?”

“খেতে ডাকছে সবাই। মিথিলা ডাকলো, মা ডাকলো, তবুও শুনতে পাস নি? কি এত ভাবছিস, হ্যাঁ?”

“আসলে ভাইয়া, আমি তো....”

“আচ্ছা বাদ দে, খেতে চল।”

“ভাইয়া কিছু বলার আছে তোকে।”

যেতে লাগছিলো দিহান, তাকে থামিয়ে দিলো দিয়া। পিছন ফিরে তাকালো দিহান। জানতে চাইলো কি বলতে চায় দিয়া। কিন্তু হঠাৎই যেন দিহানের কিছু মনে পড়লো। দিয়াকে বলে উঠলো,
“উফ্! তোকে বলতে তো ভুলেই গেছিলাম। শোন বুড়ি, আজকে দিশার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম সন্ধ্যার পর।”

বলেই একটু থামলো দিহান। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বললো,
“আদিবের সাথেও দেখা হয়েছিলো, ওদের দু'জনকেই তিন দিন আছে আসতে বলেছি। দিশা না আসলে কি মজা হবে বল?”

“মজা হবে ভাইয়া... অনেক মজা হবে।”






চলবে.....

Post a Comment

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.