আমাদের সাথে সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন Facebook Follow us!

ধ্রুবতারা-গল্প কন্যা পর্ব-০১

Estimated read time: 9 min

ধ্রুব তারা
 গল্প কন্যা (ছদ্ম নাম)





"এটা খোল "
"না....ভাইয়া... "
"কেন? খোল বলছি"
"খুলবো না।"
"খোল... আমি কতো কষ্ট করে তোর জন্য জামাটা কিনে আনলাম আর তুই পরবি না।"
"না ভাইয়াা।আমি এখন বড়ো হয়ে গেছি।তোমার সামনে পড়তে পারবো না।"
"কোন দিক দিয়ে বড়ো হইছিস আগের মতো ই তো আছিস।"
"না ভাইয়াা মা নিষেধ করছে,কারো সামনে জামা খুলতে।" 
একটানে ছেলেটা জামাটা ছিড়ে ফেলে।

ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে।এ স্বপ্ন টা তুর প্রায় ই দেখে।

ছোটো বেলায় ধ্রুব বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে।মার্কেট থেকে তুরের জন্য একটা জামা কিনে আনে।আর পড়তে বলে।নিজে পড়িয়ে দিতে চায়।কিন্তু চৌদ্দতে পা দেয়া কিশোরী তুর কোনো ভাবে বুঝাতে পারে না ও বড়ো হয়ে গেছে।আগের মতো করে আর সবার সামনে চেন্জ করতে পারবে না।ধ্রুব ওর বড়ো চাচার বড়ো ছেলে।তখন রেগে একটানে পিছনের দিকের জামার এক অংশ ছিড়ে ফেলে।

"শয়তান লোক একটা।"ঘুম থেকে উঠে ই ধ্রুব কে বকে।
আজকে বাড়িতে অনেক মেহমান আসবে।কারণ আজকে বাড়ির বড়ো ছেলে বাড়ি ফিরবে।তিন বছর পরে,সেই সূদুর মালেশিয়া থেকে।তাই বাড়িতে খুশির আমেজ।দুপুরের আগেই সবাই বাড়িতে হাজির।

বিকেলের দিকে ধ্রুব আসে।সবাই ওকে দেখে খুশির সাগরে ভাসতে থাকে।সবাই উপস্থিত থাকলে ও সেখানে ঘাড়ত্যাড়া তুর নেই।

সেতো উপরের করিডোর থেকে উঁকি দিয়ে দেখছে। 
রাতে সবাই ডিনার করতে ডাইনিং টেবিলে বসে।কিন্তু তুর নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে।তিন বছর পর দেখা অথচ কেউ  সাথে কোনো কথা পর্যন্ত বলেনি। খাওয়া শেষে সবাই হরর মুভি দেখতে বসে।তুরে মা তুরকে নিষেধ করে।তুর চুপ করে লিভিং রুমে সোফায় বসে।ধ্রুব রুমে চলে যাবে মেঝো চাচির কথা শুনে দাঁড়ায়।তুর যে চাচির কথা শুনেনি।সে জন্য নিজে যেচে নিষেধ করে।

"হরর মুভি দেখিস না ভয় পাবি।"
তুর তো তুর ই। কোনো কথায় পাত্তা না দিয়ে। মুখ ভেঙচিয়ে বসে থাকে।

চারিদিকে নিরব নিস্তব্ধতা বিরাজমান 
বাড়ির সবাই যার যার রুমে ঘুমাচ্ছে ,
কিছু খন আগে ই খুব বৃষ্টি হয়েছে ,
 প্রকৃতি ও ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে। 
রাত আড়াইটা বাজে।
এক ঘন্টা আগে ই মুভি টা শেষ করে এসেছে। 

তুর এর রুমটা এমন নিস্তব্ধত হয়ে আছে  ,যে ওর নিজের নিঃশ্বাস  এর শব্দ ই ওর কাছে ভয়ংকর লাগছে। 

হঠাত করে ই তুর এর কেমন গা ছম ছম করছে ,

ওর রুমে  ও একা ই থাকে,কখনো ভয় পায় না। 

কিন্তু  আজকে ওর খুব ভয় করছে.....
কত ভুজুংভাজুং মনে করে ভয় দূর করার চেষ্টা করছে,
কিন্তু যেই কিসেই...
 ভয় যেন আশটেপিশটে জড়িয়ে আছে।উফফ!!!!!
কেন যে তখন হরর মুভি টা দেখতে গেলাম,মা আর ধ্রুব ভাইয়ের এতো বারন সত্ত্বেও!!!!ভয়ংকর সিন গুলা ই চোখে ভাসছে। উফফ!!!

চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে। ঘুমানোর চেষ্টা করছে। 
কিন্তু ঘুম তো পগারপার, ঘুমের কোন দেখা ই নাই।

হঠাৎ ই ও শুনতে পাচ্ছে একটা শব্দ......
কিসের  শব্দ......?
কানপেতে শুনছে.... বুঝার চেষ্টা করছে ,কিসের শব্দ....

বাড়িতে তো সবাই ঘুমাচ্ছে ,
তাহলে কে.....কেউ  কি উঠেছে?

কচ্ছপের গতিতে আস্তে আস্তে বালিশের নিচে হাতরিয়ে মোবাইল টা খুজছে আলো জালানোর জন্য, কিন্তু নেই।

গেল কোথায় এখানে রেখেই তো লাইট নিভিয়ে দিয়েছিলাম।

মনে হচ্ছে কেও যেন পা টেনে টেনে হাটছে.........

ওর ভয়টা এখন বেড়ে গেল । 
ওঠে  লাইট জালাবে সেই সাহস টা ও নেই।

মনে মনে নিজেকে হাজার টা বুঝ দিচ্ছে ,তবু ও মনটা ওর বশ হচ্ছে ই না।
মনটা ওকে আরো বেশি ভয় দেখাচ্ছে 
( ওটা ভুত.... আজকে তোর ঘাড় মটকে তোর রক্তের জুস খাবে,তোর চোখ গুলো তুলে লবণ মরিচ মাখিয়ে চটকে চটকে খাবে,তোর কচি হার গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে )

আওয়াজ টা... প্রকট হচ্ছে 
গল্প কন্যার নতুন লেখা ধারাবাহিক রোমান্টিক গল্প হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে গল্পটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন → হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে পড়ুন/link/button
কিসের আওয়াজ ওইটা,..........

ওই আওয়াজটা মনে হচ্ছে কাছে ই আসছে ,..........
ঠিক যেন তুর এর রুমের দরজার সামনে।

ভয়ের চোটে ওর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। 

দরজা টা আস্তে আস্তে একটু একটু করে খুলে  যাচ্ছে। 

তুর ভয়ে চোখ বন্ধ করে ডান হাতের বাহুতে বা হাত দিয়ে আর বা হাত দিয়ে ডান হাত এর বাহুতে চেপে খামছে ধরেছে। 

ওর মনে হচ্ছে ওর পিছন দিকে দরজা টা এখন পুরো পুরি খুলে গেছে .......... 
ভয়ের নড়তে ও পাড়ছে না।

শব্দটা হেচড়ে হেচড়ে ঠিক ওর পিছনে  আসছে.........

নিসঃশাস বন্ধ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।

তুর স্পষ্ট বুঝতে পারছে ঠিক ওর ঘাড় বরাবর পিছনে,খাটের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে কেউ ওকে দেখছে। 

মনে মনে দুআ পড়তে চাইছে কিন্তু ,ভয়ে মুখ দিয়ে কোনো দুআ ও আসছে না ,ঠোঁট কাঁপছে। 

এখনই সেন্সলেস হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।
হঠাৎ ই ওর ঘাড়ে একটা ঠান্ডা হাতের স্পর্শ অনুভব  হচ্ছে .......... 

একদম ঠান্ডা হাতটা,
আস্তে আস্তে ওর গলার দিকে ওঠে আসছে...........

এই বুঝি ওকে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলবে,
দিনের আলো বোধ হয় আর.... দেখা হবে না।

মরার আগে,
যে ভুত ওকে মারছে তাকে দেখে নেবে নাকি!!!
জীবনে ও ভুত দেখে নাই.....!! মরবেই যখন দেখাই যাক.....
ও ভয়ে ভয়ে ওই ঠান্ডা হাতের অধিকারি ভুত কে দেখার জন্য ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকালো ,
তাকাতে ই দেখল...............

 কোটোরে চোখ নেই
দুই পাশে লম্বা দুই টা বিশ্রী দাঁতের বিশ্রী রক্তাক্ত হাসি.....

কি ভয়ংকর ......... 

দেখার সাথে সাথেই এমন চিৎকার দিল ...... যে বাড়ির সাবাই জেগে গেল ,ছোট বড় সবাই ওর রুমে হাজির। 

বাড়িতে মেহমান এসেছিল
"ওর ছোট চাচা (সমির রায়হান )-চাচি (রিনা বেগম )ওনার দুই ছেলে  মাহিন (১২),শাহিন(১০)।ফুফু(আবিদা বেগম) ফুফা (মজিদ খান)ফুপাতো ভাইবোন তন্নি(২০),মনির(২৪)।"
বড় চাচার দুই ছেলে ধ্রুব(২৮) ,ফাহিম (১৮)
ওর ছোট ভাই তুহিন (১২)
ওর দাদি(ফজিলাতুন্নেছা )সবাই এসে হাজির। এমনকি কাজের মেয়ে রাইমা ও ঘুম ঘুম চোখে ওর মা ফরিদা বানুকে ঝাপটে ধরে কাঁপতে কাঁপতে চোর চোর ডাকাত ডাকাত করতে করতে হাজির হয়েছে।

ততক্ষণে তুর মুর্ছা গেছে। 
বাড়ির সবাই তো ওকে এই  অবস্থায় দেখে অবাক.... ভাই বোন  গুলো সব মুখ টিপে হাসছে। 
বড়রা বেশ চিন্তিত ,
হলো কি এই মেয়েটার।
পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে মুখে......

শাহানা বেগম(তুরের বড় চাচি):কি রে মা কি হয়েছে..... কথা বলছিস না কেন... এই তুর.... (চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিল)

আস্তে আস্তে চোখ খুললো,সবাই কে দেখে যেন সস্তি পেল।মা আর চাচি কে জড়িয়ে ধরে সমান তালে কেঁদেই যাচ্ছে। 

রায়লা বেগম(তুর এর মা):কিরে মা কি হয়েছে? কিরে কথা বল?কাঁদছিস কেন?কি হয়েছে......? এই দেখো তো কেমন  লাগে ,
মেয়ে টার কি হয়েছে ,
কিছু বলা নেই কওয়া নেই কেঁদেই যাচ্ছে । 

তুর এর বাবা (কবির রায়হান )আর বড় চাচা (জহির রায়হান )দুজনেই বিচলিত হয়ে গেছেন মেয়ের মুর্ছা যাওয়ায়।
জহির :কি রে মা এমন করে চেঁচালি কেন?কি হয়েছে? ভয়ংকর কোনো সপ্ন দেখেছিস?
কবির :কি হলো মামুনি এভাবে কাঁদছো কেন?কথা বল....(কাঁদতে কাঁদতে হিচকি ওঠে গেছে ,কান্না করতে করতে ভয়ে ভয়ে বলছে )
:ভু..ভু....ভু...ত.....
ভুত....
এই ঘরে আমার ঘাড় মটকে দিতে এসে....ছিল..... 
বাবা......আমার গলা চেপে ধরতে আসছিল...... এ্য...এ্যা.....এ্যাাআ............


আমাদের লাইভ ধারাবাহিক গুলো পড়ুনঃ



জহির :কি বল মামুনি কোথায় ভুত!কিসের ভুত!কি আবোল তাবোল বলছো?
কবির:সপ্ন দেখেছে মনে হয়,হা হা হা.... বোকা মেয়ে কোথাকার। 
এমন ভাবে চিৎকার দিল যে মনে হচ্ছে ডাকাত পড়েছে।বাড়ির সবাইকে এই মেয়ে চোর ডাকাত এর ভয় দেখিয়ে 
শেষে কিনা ভুত।

রায়লা:ও এই কথা.... 
আমি তখনই বলেছিলাম ,সব কটা কে এই রাত করে এই ভুতের ছবিটবি দেখিস না.... ভয় পাবি......,হলো তো.. হুম....।
এখন চেঁচাচ্ছিস কেন 
বাদর কোথার!
বাড়ি মাথায় তুলেছে এইভোর রাতে।
শাহানা:আহ!!!বকছিস কেন,মেয়েটা এমনেই ভয় পেয়ে আছে ,দোয়া পড়ে ফু দে শরীরে। (বির বির করে দোয়া পড়ে ফু দিচ্ছেন )
তুর:না মা এখানে ভুত ছিল,আমি সপ্ন দেখিনি বাবা এখানে ভুত ছিল  আমি দেখেছি।এইখানটায় ছিল বড় আব্বু... আমার বেডের একদম পাশে 
আমার গলা চেপে ধরে মেরে ফেলতে.....
কবির:চুপ কর মা,ঘুমাও কিছু নেই এখানে,এই দেখো।
-এ্যা....এ্যা....তোম...রা.... কেন....বু..ঝতে.... চাইছ না...এ্যা.....দাদি আমি দেখেছি।
সবাই ওর অবস্থা দেখে হাসবে  না কাঁদবে বুঝতে পারছে না।

দাদি:ওরে..  ওরে... লোহা পোড়া দেওয়া লবণ পানি খাওয়া.....
ছেমরি ডরাইছে........
না....বইন.....না.....
কাঁনদিছ না......
কিচ্ছু অয় নাই,আমি বুঝবার পারছি রে.... তুই সুন্দরী মাইয়া তো ,দেখতে পরীর লাহান। তাই তেনাগো (জীন )নজর পড়ছে। 

ধ্রুব :এ্যাহ........ সুন্দরী.... পরী.....পরী না পেত্নী ,
দাদি তোমার নাতি তো পেত্নীর মত ,কালিতারা ,তাই ভুত তার বৌ করে নিতে আসছে।ওকে লোহা পোড়া লবণ পোড়া খাওয়ালে ও কোন কাজ হবে না।
(বাকি সব কাজিন গুলো মুখ চেপে হাসছে আর গা টেপাটেপি করছে)
শাহানা:পানি খা তো নে.... 
তুর:(কষ্টে রাগে ফুসছে ,কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতে আসছে ,কে বলেছে আসতে ,হু
গিরগিটি  একটা,তুই পেত্নীর জামাই )দাদি আমি এই সব পোড়া টোড়া খাব না ,মা আমি তোমার সাথে ঘুমাবো।
রায়লা :না একাই ঘুমাবি কথা শুনিস না কেন?যেটা করলে তুই নিতে পারবি না সেটা করবি কেন? হুম ........ বল?
-সরি মা আর হবে না 😥।
ফুফু:থাক না ভাবি মেয়েটা এমনেই ভয় পেয়ে আছে ,থাকতে চাইছে থাকো না আজকে। 
-ঠিক আছে.... 
তুই শুয়ে পড় ,
আমি  আসছি কাপড় টা চেঞ্জ করে , ভিজে গেছে
তুই ও চেঞ্জ করে নে।
 (সবাই যার যার রুমে চলে গেছে ,শুধু ছটো রা ছাড়া )
তুহিন:আপু ভুত কি তোকে কিছু বলেছে? মানে কবে বিয়ে শাদি করবে?পছন্দ করেছে? নাকি... তোকে দেখে ই ভেগেছে??ডেট ঠিক হলে বলিস দুলাভাই কে আমাদের  ট্রিট দিতে..... 😆😆😆😆😆

-তুহিনের বাচ্চা.......... তুহিন। 

মাহিন,শাহিন, ফাহিম ,তন্নি আপু,মনির ভাইয়া আর ধ্রুব ভাইয়া তুহিন এর কথা শুনে হাসছে ,একজনের গায়ে উপর পরে আর এক জন হাসছে। 

মনির :ভাইয়া, ভালো ই হলো ওর জন্য আর কষ্ট করে আমাদের জামাই খুজতে হবে না😀😀😀।
-ঠিকি বলেছিস যে যেমন তার সাথে জুটবে ও তেমনই,কালিতারা আর কালাচনডি দাস!!!

সব গুলা এক সাথে( হুম............. হা হা হা)

-শয়তানের দল(তুর)রেগে বোম হয়ে যাচ্ছে। একখনি ফেটে যাবে যাবে অবস্থা। 

ধ্রুব:এই যা যা সব ঘুমা,আজাইরা মানুষের আজাইরা সব কার্যকালাপ,হুদাই সময় নষ্ট। (সবাই একে একে চলে যাচ্ছে  পেছনে ধ্রুব সে ও পা বাড়িয়েছে যাওয়ার জন্য তখনই )
-ভাইয়া..... 
-কি..........!!!!(অবাক হয়ে )
আজব🫢!!!! 
তুই আমাকে ডাকছিস!!!
সূর্য কোন দিকে উঠেছে....
কি হোলো...
চেঁচাচ্ছিস কেন? (ভেতরে ঢুকে )কি..... চুপ কেন বল?
-মানে..... 
(চুপ)................
মানে........ইয়্যে.......
আপনি  একটু দাড়ান না.....
মা এসে নেক পরে যান,সবাই তো চলে গেল। 
-কেন রে ,আমাকে কি তোর বডিগার্ড মনে হয়.......!!!!! 
যে তোকে আমি পাহাড়া দিব ,হুম!!!!
আমি এখন ঘুমাবো ,তুই বরং তোর ভূত বয়ফ্রেন্ড কে বল পাহাড়া দিতে,আলবিদা।
-দিকবেদিক না ভেবে ,বেড থেকে দ্রুত নেমে দুই হাতে ধ্রুব র ডান হাত চেপে ধরেছে। 

-প্লিজ..... 

(দু'জনের শরীরে কেমন যেন একটা শীহরণ অনুভব হল। তিন বছর ধরে,একজন আর একজনের সংর্স্পশে আসবে দূরে থাক ভালো করে কথা পর্যন্ত হয়নি,বলেনি।দীর্ঘ তিন বছর পর বাড়ি  এসেছে। তাইতো বাড়ির বড় ছেলেকে দেখার জন্য সবাই হাজির।সবার সাথে ই ধ্রুবর সখ্যতা শুধু তুর ছাড়া। ছোটো থেকেই ,ওদের দু'জনের আদায় কাঁচ কলা সম্পর্ক। দুজন দুজন কে সহ্য ই করতে পারে না , ভাই বোন এর চোখে তো দেখতেই পারে না।তুর ভাবে ধ্রুব কোনো এংগেলেই ওর ভাই হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।)

ধ্রুব তুর এর ধরা ওর হাতের দিকে তাকিয়ে মাথা তুলে ওর দিকে তাকাল:কি.....হয়েছে!!! এতোবড় মেয়ে হয়ে ভয় পাস কেন?তখন তো না করা সত্ত্বেও শুনিস নি,এখন হাত ধরা হচ্ছে।(ঠান্ডা সরে)
-সরি ভাইয়া আর জীবনে  এমন হবে না ,যা বলবেন সব শুনব।একটু থাকেন না প্লিজ।
 -তুই কবে থেকে আমাকে এমন জান প্রাণ দিয়ে ভাইয়া বলিস,হুম...।

-না আসলে............. (চুপ)

-আচ্ছা থাকব তবে একটা শর্তে।
-কি?(কিছুখনের মধ্যে মা ই এসে পরবে আর একটু চালিয়ে গেলে ই হবে)
-যদি তুই আমার কথা শুনে চলিস ।
আমার সাথে কথা....না....
নেক্সট টাইমে আমার কথার খেলাপ না করিস ,তো থাকবো।
তা না হলে ,বেয়াদবির জন্য কঠিন শাস্তি....
 লাশ কাটা ঘরে রেখে আসবো ...রাজি?(তুর আরো জোরে ওর হাত  চেপে ধরে)
-জ্জি... জি..... জি...ভাইয়া!!!!(হাতটা এতো ঠান্ডা কেন এই রাতের  বেলা )
আচ্ছা ভাইয়া.....?(চিন্তার সুরে)
 আপনার হাতটা এতো ঠান্ডা কেন...!!!!?? মনে হচ্ছে ঠান্ডা পানিতে হাত চুবিয়ে এসেছেন!!!!
 - এ্যই সেরেছে  রে.... ও.....এই হাতটা... এই হাতটা তো.... ওই যে... তখন আব...ব্যথা.. হ্যা ব্যথাইতো পেয়ে ছিলাম তাই মা বলেন ,পানিতে চুবাতে তাই ঠান্ডা....
 -সত্যি!! (ভ্রু কুচকে)ব্যথা পেয়ছেন? কখন  কিভাবে পেলেন? সত্যি করে ব্যথা পেয়ছেন! তো!নাকি? 
আচ্ছা ,ওটা কি..... আপনার টি শার্টের পিছনে!!!!
-কোন টা?
 -ওই যে ওটা,পিছন দিক টা কেমন ফুলে আছে! (বলেই দেরি না করে টিশার্টা উঠিয়ে ফেললো ,হাতে নিয়ে যা দেখলো তাতে রেগে লাল হয়ে গেল। দেখলো একটা ভুতের মাস্ক।বুঝতে বাকি রইলো না যে হাত ঠান্ডা কেন,তার মানে আমাকে এই শয়তান লোকটা ভয় দেখিছে)
গল্প কন্যার নতুন লেখা ধারাবাহিক রোমান্টিক গল্প হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে গল্পটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন → হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে পড়ুন/link/button
-আপনি.... আমাকে... আমি যদি হার্ট অ্যাটাক করে মরে যেতাম তখন আমার বাবা মায়ের কি হতো ,দাড়ান দেখাচ্ছি মজা.... এর সাজা তো দিব ই। বাবা.... বড় আব্বু.... (মুখ চেপে ধরে ফেলেছে)
-উম..... উম.....(হাত  ছাড়িয়ে )কি করছেন কি.... আমি একখনি সবাই কে বলব।
 (ওর দুই হাতের বাহুতে ধরে আটকে )
-বলিস তবে সকালে ,,এখন সবাই ঘুমাক।

রায়লা:কি রে.... 


চলবে.....
গল্প কন্যার নতুন লেখা ধারাবাহিক রোমান্টিক গল্প হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে গল্পটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন → হৃদয়ের নিকুঞ্জ নিড়ে পড়ুন/link/button

إرسال تعليق

অনুগ্রহ করে স্পাম করা থেকে বিরত থাকুন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.