আমাজনের গহীনেপর্ব-১০লেখকঃ রকিব হাসান
কিঁচ।
চোখ মেলল কিশোর। ট্রী হাউসের জানালার ধারিতে বসা জেরি।
আমরা ফিরে এসেছি, বলল রবিন।
স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলল কিশোর।
বিকেলের আলোয় আমটা তুলে ধরল রবিন।
ওর হাত থেকে আমটা নিয়ে এম খোদাই করা মেঝেতে রাখল মুসা। মুনস্টোনটার পাশে।
মুনস্টোন…ম্যাংগো, আওড়াল রবিন। অনেকটা জাদুমন্ত্রের মত শোনাল।
আর দুটো অভিযান, বলল কিশোর। তারপরই আমরা মরগ্যানের জাদুর মায়া কাটাতে পারব।
শুনলেন, মরগ্যান? বলল রবিন, যেন মরগ্যান কাছেপিঠেই রয়েছে। শীঘ্রি আপনি মুক্তি পাবেন।
খাইছে, ও এখানে আছে নাকি যে শুনতে পাবে? প্রশ্ন করল মুসা।
আমার মন বলছে আছে, জানাল রবিন।
মৃদু হাসল কিশোর।
কিঁচ। ওদের দিকে চেয়ে রয়েছে জেরি।
আমরা এখন তোকে ছেড়ে চলে যাব, ইঁদুরটার উদ্দেশে বলল কিশোর।
কিঁচ।
ওকে সাথে করে নিয়ে গেলে হয় না? বলল রবিন।
না, ও এখানেই ভাল থাকবে, জবাবে বলল কিশোর।
ঠিক আছে, বলল রবিন। জেরির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। যাই। আমাদের জন্যে এখানে অপেক্ষা করিস, আমরা কাল আবার আসব।
কিশোর আর মুসাও জেরিকে আদর করল।
বাই, জেরি। তোর সাহায্যের জন্যে ধন্যবাদ, বলল কিশোর।
কিঁচ।
রেইন ফরেস্টের বইটা অন্যান্য বইয়ের উপরে রেখে দিল কিশোর।
এবার ব্যাকপ্যাক পিঠে তুলে নিল। ট্রী হাউস ছাড়ল ওরা তিনজন।
দড়ির মই বেয়ে নামতে লাগল ওরা। কিছুক্ষণ পরে পা রাখল মাটিতে।
বনভূমি ভেদ করে এগিয়ে চলল তিন বন্ধু।
আবছায়ায় চোখে পড়ল আলোর নাচন।
কোথাও একটা পাখি ডেকে উঠল।
রেইন ফরেস্টের সঙ্গে এই জঙ্গলের অনেক তফাৎ, ভাবল কিশোর।
এখানে কোন জাগুয়ার কিংবা ফৌজী পিঁপড়ে নেই, বলল ও। ছোট বানরও না।
বানরটা আসলে দুষ্টুমি করছিল না, বলল রবিন। আমাদেরকে আমটা দেয়ার চেষ্টা করছিল শুধু।
জানি, সবাই স্বাভাবিক আচরণই করছিল, বলল মুসা। ফৌজী পিঁপড়েরা নিজেদের মত মার্চ করছিল। জাগুয়ারটা তার বাচ্চার ভালমন্দ দেখছিল।
একটু পরে ফ্রগ ক্রীক উডস থেকে বেরিয়ে এল তিন বন্ধু।
রাস্তা ধরে হেঁটে চলল ওরা। রাস্তাটা সোনালী আলোয় আলোকিত।
রেস ইউ! বলে উঠল রবিন।
তিন বন্ধু দৌড় দিল।
এক দৌড়ে ইয়ার্ড পেরোল ওরা।
দৌড়তে দৌড়তে উঠে গেল সিঁড়ি ভেঙে।
সেফ! তিনজনে চেঁচিয়ে উঠল একসঙ্গে।
দরজার হাতলের দিকে হাত বাড়াল কিশোর।
চোখ মেলল কিশোর। ট্রী হাউসের জানালার ধারিতে বসা জেরি।
আমরা ফিরে এসেছি, বলল রবিন।
স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলল কিশোর।
বিকেলের আলোয় আমটা তুলে ধরল রবিন।
ওর হাত থেকে আমটা নিয়ে এম খোদাই করা মেঝেতে রাখল মুসা। মুনস্টোনটার পাশে।
মুনস্টোন…ম্যাংগো, আওড়াল রবিন। অনেকটা জাদুমন্ত্রের মত শোনাল।
আর দুটো অভিযান, বলল কিশোর। তারপরই আমরা মরগ্যানের জাদুর মায়া কাটাতে পারব।
শুনলেন, মরগ্যান? বলল রবিন, যেন মরগ্যান কাছেপিঠেই রয়েছে। শীঘ্রি আপনি মুক্তি পাবেন।
খাইছে, ও এখানে আছে নাকি যে শুনতে পাবে? প্রশ্ন করল মুসা।
আমার মন বলছে আছে, জানাল রবিন।
মৃদু হাসল কিশোর।
কিঁচ। ওদের দিকে চেয়ে রয়েছে জেরি।
আমরা এখন তোকে ছেড়ে চলে যাব, ইঁদুরটার উদ্দেশে বলল কিশোর।
কিঁচ।
ওকে সাথে করে নিয়ে গেলে হয় না? বলল রবিন।
না, ও এখানেই ভাল থাকবে, জবাবে বলল কিশোর।
ঠিক আছে, বলল রবিন। জেরির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। যাই। আমাদের জন্যে এখানে অপেক্ষা করিস, আমরা কাল আবার আসব।
কিশোর আর মুসাও জেরিকে আদর করল।
বাই, জেরি। তোর সাহায্যের জন্যে ধন্যবাদ, বলল কিশোর।
কিঁচ।
রেইন ফরেস্টের বইটা অন্যান্য বইয়ের উপরে রেখে দিল কিশোর।
এবার ব্যাকপ্যাক পিঠে তুলে নিল। ট্রী হাউস ছাড়ল ওরা তিনজন।
দড়ির মই বেয়ে নামতে লাগল ওরা। কিছুক্ষণ পরে পা রাখল মাটিতে।
বনভূমি ভেদ করে এগিয়ে চলল তিন বন্ধু।
আবছায়ায় চোখে পড়ল আলোর নাচন।
কোথাও একটা পাখি ডেকে উঠল।
রেইন ফরেস্টের সঙ্গে এই জঙ্গলের অনেক তফাৎ, ভাবল কিশোর।
এখানে কোন জাগুয়ার কিংবা ফৌজী পিঁপড়ে নেই, বলল ও। ছোট বানরও না।
বানরটা আসলে দুষ্টুমি করছিল না, বলল রবিন। আমাদেরকে আমটা দেয়ার চেষ্টা করছিল শুধু।
জানি, সবাই স্বাভাবিক আচরণই করছিল, বলল মুসা। ফৌজী পিঁপড়েরা নিজেদের মত মার্চ করছিল। জাগুয়ারটা তার বাচ্চার ভালমন্দ দেখছিল।
একটু পরে ফ্রগ ক্রীক উডস থেকে বেরিয়ে এল তিন বন্ধু।
রাস্তা ধরে হেঁটে চলল ওরা। রাস্তাটা সোনালী আলোয় আলোকিত।
রেস ইউ! বলে উঠল রবিন।
তিন বন্ধু দৌড় দিল।
এক দৌড়ে ইয়ার্ড পেরোল ওরা।
দৌড়তে দৌড়তে উঠে গেল সিঁড়ি ভেঙে।
সেফ! তিনজনে চেঁচিয়ে উঠল একসঙ্গে।
দরজার হাতলের দিকে হাত বাড়াল কিশোর।
সমাপ্ত
***