সাসপেন্স-মোহাম্মাদ হোসেন |
১.
আয়নার সামনে বসে চুল আঁচড়াচ্ছিল অর্নি। এমন সময় ঠিক তার পেছনে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, চমকে পেছন ফিরে তাকায় সে! কিন্তু পেছনে কাউকেই দেখতে পায় না!
চোখের ভুল ভেবে আবার যখন আয়নার দিকে ফিরে তাকায়। আতঙ্কে তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়! অর্নি এখন নিজেকেই আয়নায় দেখতে পাচ্ছে না!!
২.
অর্নি কে গুড নাইট বলে অমিত পাশ ফিরে শুতেই, খেয়াল করে ঘরের দরজাটা খোলা! অমিত শোয়া থেকে উঠে দরজা বন্ধ করতে যায়।
দরজা বন্ধ করার আগ মুহূর্তে, ঘরের বাইরে থেকে অর্নি বলে ওঠে, "কি গো আমায় ঘরের বাইরে রেখেই দরজা বন্ধ করে দিবে নাকি??"
৩.
আম্মুর ভয়ে অরিন টানা এক ঘন্টা যাবত মোবাইলে হাত না দিয়ে, পড়ায় মন দিয়েছে। অথচ আম্মু এরমধ্যে একবারও তাকে দেখতে আসলো না!
হঠাৎ একটা নটিফিকেশন আসায় সেকেন্ডের জন্য মোবাইলটা হাতে নিতেই, অরিনের আম্মু এসে হাজির!!
৪.
রোজ রাতে একটা বাচ্চা মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায় অনিমা। কিন্তু তাদের বাড়ি তো দূরে থাক, আশেপাশের বাড়িতেও কোনো বাচ্চা নেই!
মেডিকেলের ছাত্রী সে– কাজেই তার ঘরে অনেক মেডিকেল সরঞ্জাম আছে। সেই সাথে আছে একটা কঙ্কাল সেট! কঙ্কালটা অনেকটা ছোট একটা বাচ্চার আকৃতির মতো!!
৫.
গত বছর ঈদের ছুটিতে নানুর বাড়ি গিয়েছিল অনু। নানু বাড়ি থেকে যখন কয়েক গজ দূরে ছিল, তখন সদর দরজার সামনে নানুকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে!
বাড়ি ঢুকে প্রথমেই অনু চিৎকার করে বলে, "কোথায় লুকিয়েছো নানু? জলদি বেরিয়ে এসো! আমি কিন্তু আগেই তোমাকে দেখে ফেলেছি!" অনুর কথা শুনে সবাই ওর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে!
ব্যাপারটা বুঝতে অনুর কিছুটা সময় লাগে। তারপর হঠাৎই মনে পড়ে যায়, নানু আজ তিন বছর হলো মারা গেছে!!
_
সমাপ্ত