আমাজনের গহীনে
পর্ব-০২
লেখকঃ রকিব হাসান
বইটা তুলে নিল কিশোর
আরি, বলে বইটা তুলে নিল কিশোর। কে খুলল এটা?
বইটা বন্ধ করে প্রচ্ছদ দেখল ও।
সবুজ এক অরণ্যের ছবি। গাছগুলো লম্বা-লম্বা আর জড়াজড়ি করা।
প্রচ্ছদে লেখা: দ্য রেইন ফরেস্ট।
বাহ, বলল কিশোর।
না, বলল রবিন।
খাইছে, বলল মুসা।
সমস্যা কী? রবিনকে প্রশ্ন করল কিশোর।
স্কুলে রেইন ফরেস্ট সম্পর্কে পড়েছি। ওখানে বড় বড় পোকা আর মাকড়সা থাকে।
জানি, বলল কিশোর। তাদের অর্ধেকের এখনও নামকরণ হয়নি।
খাইছে, বলে উঠল মুসা।
ভয়ঙ্কর জায়গা, বলল নথি।
ভয় পাচ্ছ কেন? বলল কিশোর। রেইন ফরেস্ট সম্পর্কে নোট নিতে চায় ও। হয়তো অচেনা কয়েকটা পোকাকে নামও দিতে পারবে।
ভয় পাব না? শিউরে উঠে বলল রবিন।
আমরা তো আগেও কত জায়গায় গেছি, বলল মুসা। তখন তো ভয় পাওনি। এখন এত ভয় পাওয়ার কোন মানে হয় না।
কিশোর দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
আমাদেরকে ওখানে যেতে হবে। মরগ্যানকে হেল্প করার জন্যে। সেজন্যেই বইটা খোলা পড়ে ছিল।
জানি, বলে ভ্রু কুঁচকাল রবিন।
তা ছাড়া, রেইন ফরেস্ট কেটে ফেলা হচ্ছে, বলল কিশোর। উজাড় হওয়ার আগেই দেখতে চাও না?
রবিন গভীর শ্বাস টেনে ধীরে ধীরে মাথা ঝাকাল।
ঠিক আছে, চলো তবে, বলল কিশোর।
বইটা আবারও খুলল ও। নীল আকাশ, সবুজ গাছ-পালা আর রঙিন ফুল নিয়ে এক ছবি। তাতে আঙুল রাখল।
আমরা ওখানে যেতে চাই, বলল।
বাতাস বইতে শুরু করল।
কিঁচ।
তুই এখানে থাক, জেরি, বলে জেরিকে তুলে পকেটে রাখল রবিন।
বাতাস জোরাল হলো। ঘুরতে আরম্ভ করল ট্রী হাউস। চোখ বুজে ফেলল কিশোর।
শিসের শব্দ তুলে বয়ে যাচ্ছে বাতাস। বন-বন করে ঘুরছে ট্রী হাউস।
এবার সব কিছু স্থির। একদম নিথর। বুনো শব্দ নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করল। তীক্ষ্ণ, কর্কশ ডাক। গুঞ্জন। কিচিরমিচির।
চলবে.........